পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাখা দিয়া তাহাকে মৃদ্ধ মৃত্যু বাতাস করিতেছে। নিৰ্ম্মলা নতমুখে বলিয়া লুচি বেলিতেছিল । অনভ্যস্ত হাতে কিছুই পরিপাট করিয়া হইতেছে না। তবু নিঃশব্দে যথাসাধ্য চেষ্টা করিতেছিল। কলিকাতায় এ-সময়টা সে ছাদে পায়চারি করিয়া বেড়াইত, স্পেন্সার কিংবা বার্গসে"। লইয়া পড়িত। যেখানটা বুঝিতে পারিত না পিতা আসিয়া বলিয়া দিতেন । কলিকাতার অন্নজল মান স্বৰ্য্যাস্তের সময় নির্জন আকাশের তলায় পিতাপুত্রীর মাঝে একটি অখণ্ড ভাবলোক স্বজিত হইয়। উঠিত । আজও হয়ত তেমনি নিঃশব্দ দীপ্তির সমারোহে সূৰ্য্যাস্ত হইতেছে, ঘোমটার আড়াল হইতে নিৰ্ম্মল চাহিয়৷ দেখিল দিবসের শেষ রক্তিম ছট আঙ্গিনার প্রান্তে সঞ্জিন গাছটার উপর আসিয়া পড়িয়াছে। এমন সময়ে ঘরকন্নার এই বাধনের মাঝে এই হট্টগোল কোলাহলের মধ্যে অবগুণ্ঠনে বদ্ধ হইয়া থাকিতে তাহার কষ্ট হইতেছিল। কিন্তু কষ্টের কথা বলেই চাপির রাখিয়াছে, কাহাকেও বলে নাই। কাহাকে বলিবে ? সবাই তাহার অপরিচিত। যামিনীও এখন তাহার কাছে অপরিচিত । অন্তঃপুরের এই ঘরকল্পার কাজের মাঝখানে যেখানে টুকরা টুকরা হাসি গল্প নিলা ঠোট-বাকান, হাতের চুড়িবালার রিনি ঠিমি আওয়াঙ্গ সব মিলিয়া জড়াইয়া সৃষ্ট रुहब्राप्रु ७को श्रृश्युश्श, नथाप्न गाबिनौ इो९ ঝড়ের মত অপ্রত্যাশিত রূপে গিয়া হাজির হইল । একেবারে কৰ্ম্মনিরত নিৰ্ম্মসার হাত চাপিয়া ধরিয়া কহিল, “ছাদে চল । কথা আছে ।” নিৰ্ম্মলার মাথা হইতে অবগুণ্ঠন খুলিয়া গেল। বিস্মিত দৃষ্টিতে যামিনীর দিকে চাহিয়| লেই একঘর গুরুজনের সামনেই সে প্রশ্ন করিল, “কেন ?” নিৰ্ব্বোধ তরুণীর এই অসঙ্কোচ প্রশ্নের পরিবর্তে उभनई जञ्जग्न गब्रिग्न शिग्न यांथाब्र आवाज़ अवस*न इनिद्र क्विाड कथाऽो७ यान ब्रश्लि ना ? जांछब्र द्रष টেপটিপি করিয়া হাসিতে লাগিলেন। জামিনী পুনর্যায় కమ్స్లో থাকা বেগে তাহার হস্ত আকর্ষণ করিয়া কছিল, ”চল,

  1. ंषि ॰क्षब्रज़ङ्गं चitछ् ।”

গঞ্জ ৰেলুম পড়িয়া লি। হাতের কাঙ্ক কেলির ఇసాBS বধু উঠিয়া উপরে গেল। শাশুড়ী মুখ গল্পীর করির থাকিলেন । অনেকে ঠোট বাকাইয় আড়ালে একটু হাসিয়া লইল । উপরে যামিনীর শয়নঘর-সংলগ্ন ছাদে সামনা-লামনি দু-থানি চেয়ার পাতা ছিল । চারিপাশে টব সাজান । চাকরে পাশে একটি ছোট টেবিল রাখিয় তাহার উপর শুভ্র আস্তরণ বিছাইয়া দিয়া গিয়াছে । মাঙ্গী আলির প্রকাও দুইটা গোলাপ ও ক্রীসানুর্থীমামের তোড়া রাখিয়৷ গেল। আয়োজন মুসম্পূর্ণ। সন্ধ্যার রক্তরাগ পশ্চিম দিগন্তে তখনও একেবারে মিলাইয়া যায় নাই । নিৰ্ম্মলাকে ছাদে আনিয়া যামিনী চেয়ারে বসাইল । কিছুক্ষণ চুপ করিয়৷ থাকিয়া নিৰ্ম্মল বলিল, “আমাকে ডেকেছ কেন ?” কেন ডাকিয়াছে আজও তাহার উত্তর যামিনীর জানা নাই। তাই প্রত্যুত্তরে সে কেবল ভাষাহীন নীরব ব্যাকুলতায় নিৰ্ম্মলার বাঁ-হাতথানি নিজের হাতে টানিয়া লইল । ময়দা মাখিতে গিয়া নিৰ্ম্মলার নীলার আংটির পাথরের থ"াজে ময়দা লাগিয়াছিল, কুসুমমুকুমার হাতখানি নিজের হাতে তুলিয়া লইয়। ঐটুকুতে নজর পড়িতেই যামিনীর সমস্ত মন ব্যথায় ভরিয়া উঠিল । কিছুই না, এইটুকু মাত্র একটুখানি ব্যাপার, কিন্তু তাহাতেই যেন খোঁচ থাইয় তাহার বক্ষের সমস্ত স্নেহ এবং করুণ উম্বেলিত হইয়া উঠিল। সে মনে মনে উচ্ছ্বসিত হইয়া ভাবিতেছিল, এ কে ? ইহাকে আমি কোথা হইতে আনিলাম ? এমন সুন্দর সুকোমল হায়খানি, ইহাকে আমি কেমন করিয়৷ রক্ষা করিব ? সংসারের স্থল হস্তাবলেপ হইতে তাহাকে যেমন করিয়া পারি আমি দূরে সরাইয়া রাখিবই । সে যেন কোনদিন মন না করে যে তাহার স্নিগ্ধ জীবনক্ষেত্র হইতে আমি তাহাকে লোভের বশে ভুলিয়া অনিয়াছি । যামিনীর সমস্ত মন নিৰ্ম্মলার জন্ত কিছু একটা করিতে, কোন একটা দুঃসহ ত্যাগীকার, কোন একটা কঠিনতম পণ করিৰার জন্ত ব্যাকুল হইয়া উঠিল। 했r . নিৰ্ম্মগা বিমলা হইয়া ফুলের তোড়ার দিকে তাকাইয় ছিল। তাহার স্বামী তোক্ষাটা খুলিয় সে-সমস্ত ফুল অঞ্জঙ্গি ভরিয়া তাহার আঁচলের উপর রানীকৃত.