পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীবণ বিবাহ দেওয়া । বলবিধবাদের বিবাহ দেওয়া মহা পুণ্যের কাজ । ইহা খুব উৎসাহের সহিত চালান উচিত। অনেক অস্তঃপুরে সধবা ও বিধবার উপর জঘন্ত অত্যাচার হয় । ইহার দমন ও নিবারণ চাই । কাগজে দেখিলাম, কলিকাতার বিধবাবিবাহসহায়ক সমিতি ১৯২৫ সাল হইতে ১৯৩৩ পর্যান্ত কয় বৎসরে ৪২৯৬টি বিধবার বিবাহ দিয়াছেন । ই ভাল, কিন্তু ইহ। অপেক্ষ শতগুণ অধিক বিধবার বিবাহ হওয়া আবশ্যক । বর্তমানে সমিতির সন্ধানে ৩৫০ জন পাত্র ও ১৭০ জন বিধবা পাত্রী অাছে । নারীহরণ সম্বন্ধে ভাই পরমানন্দ সম্প্রতি ভাই পরমানন্দ বলিয়াছেন— “যে পৰ্য্যন্ত হিন্দু সমাজের মধ্যে আত্মসন্মানবোধ জগত না হয় এবং যে-পণ্যস্ত হিন্দু সমাজ গুণ্ডার কবল হইতে হিন্দু বালিকাদিগকে রক্ষা করিবার মত শক্তি অর্জন না করে, তত দিন হিন্দু বালিকাদিগকে পরদার আড়ালে রাখা ও অশিক্ষিত রাপা উচিত।" ভাই পরমানন্দের উদ্দেশ্র ভাল, কিন্তু তাহার পরামর্শ গ্রচণীয় নহে । যে-সকল পুরুষ নারীরক্ষার জন্স প্রাণপণ করে না, তাহার। মানুষ নামের যোগ্য নয় । সে-সকল পুরুষের দরজ। ভাঙিয়া বাড়ির ভিতর হইতেও গুণ্ডার নারীচরণ করিতে পারে এবং কোন কোন স্থলে করেও অবশু, অপহৃত প্রত্যেক নারীর আত্মীয়েরাই সে কাপুরুষ তাহা নহে । অনেক সময় তাহীদের অনুপস্থিতির সময় নারী অপহৃত হন এবং কখন কথন তাহাদিগকে আঘাত দ্বার। অসমর্থ করিয়! নারী হরণ করা হয় । নারীহরণ অধিকাংশ স্থলে পল্লীগ্রামে হয় । পল্লীগ্রামে কি মেয়েদিগকে অবরুদ্ধ করিয়া রাখা সম্ভব ? পুরুষদের পৌরুষ জাগ্রত করা এবং তাহীদের দেহমনের শক্তি বৃদ্ধি করা যেমন আবশ্বক, নারীদেরও দেহমনের শক্তি বৃদ্ধি সেইরূপ আবখক । তাহারা ত জড়সম্পত্তিবৎ কিছু নহেন। তঁহদেরও আত্মরক্ষার সামর্থ্য জন্মান ও বাড়ান দরকার। ইহা নৈতিক, মানfপক ও দৈহিক শিক্ষাসাপেক্ষ । বালিকা ও নারীদিগকে অশিক্ষিত রাখিলে নারীহরণ কমিবে, এ বড় অদ্ভুত কথা । যত বালিকা ও নারী অপহৃত হন, তাহার সমস্ত বা অধিকাংশ কি শিক্ষিত ? বঙ্গীয় মহিলাদের কৌন্সিল বঙ্গীয় মহিলাদের কোন্সিল বঙ্গীয় অশ্লীল সিনেমাচিত্র ও সিনেমার অশ্লীল বিজ্ঞাপন বন্ধ করিবার জন্ত একটি কমিটি নিয়োগ করিয়াছেন। আমরা তাহীদের সাফল্য कांगनां कन्नेि । BBBB BBBSSSBBBB BBB BBSBBBBuBBDD DBBBBS BHHBS eee বেথুন কলেজ ও বঙ্গে নারীশিক্ষা বাংলা দেশে নারীদিগকে কতকটা উচ্চশিক্ষা দিবীর ইচ্ছা যে ক্রমশ: বাড়িতেছে, তাহ ছেলেদের অনেক কলেজে ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি হইতে বুঝা যায়। অথচ গবন্মেণ্ট নারীশিক্ষায় কোন উৎসাহ দেখাইতেছেন না, ইহা বড় পরিতাপের বিষয়—যদিও অশ্চির্য্যের বিষয় নহে । আমেরিকার মত দেশে, যেখানে অবরোধপ্রথা নাই, সেখানেও মেয়েদের জন্ত আলাদা কলেজ অনেক আছে, আবার ছাত্রছাত্রীর একই প্রতিষ্ঠানে পড়িবার ব্যবস্থাও বহু স্থানে আছে । তাহার কারণ, মেয়েদের কোন কোন প্রকার শিক্ষা কেবলমাত্র ছাত্রীদের জন্তই অভিপ্রেত কলেজেই হইতে পারে। আমাদের দেশে ত শুধু মেয়েদের জন্ত অভিপ্রেত বিদ্যামন্দির আরও দরকার। সেই জন্ত, ছেলেদের কলেজে মেয়েদের শিক্ষালাভের বিন্দুমাত্রও বিরোধিতা না করিয়া, আমরা গবন্মেণ্টকে এবং দেশের শিক্ষিত ব্যক্তিদিগকে বেথন কলেজের উপযোগিতা ও উপকারিত। অধিক পরিমাণে বাড়াইতে অনুরোধ করিতেছি । ঢাকাতে যে সামান্ত বন্দোবস্ত আছে, তাত ছাড়িয়া দিলে, বেথুন কলেজ বঙ্গের একমাত্র সরকারী মহিলা-কলেজ। অথচ দুঃখের বিষয়, আমরা শুনিলাম, ইহার ছাত্রীনিবাসে ১ম ও ৩য় বার্ষিক ছাত্রীদের জন্ত মোটে ৮ জনের জায়গা আছে । কলেজের ক্লাস-কক্ষদির ব্যবস্থাও নিকৃষ্ট ও অপ্রচুর । বেথুন কলেজের সন্নিহিত ক্ৰাইষ্ট চার্চ স্কুলের জায়গা ও বাড়ি গবন্মেণ্ট অনেক বৎসর হইল তিন লক্ষ টাক দিয়া কিনিয়! রাখিয়াছেন—তাহার প্রকাশিত উদ্দেশ্রী বেথুন কলেজের বিস্তৃতিসাধন । কিন্তু এ-পর্যন্ত ত কিছুই কর। হইল না । তবে কি পাদ্রি সাহেবদিগকে তিন লাখ টাকা পাওয়াইয়; দিবার জন্ত উহ! কেন হইয়াছিল ? কলেজের পশ্চাৎ দিকেও ত বড় একট। খালি জায়গা কলেজের আছে । তাহাতেই বা ঘরবাড়ী নিৰ্ম্মিত কেন হইতেছে না ? সেনহাটী মহিলা-সমিতির সৎকাৰ্য্য সেনহাটীর মহিলা-সমিতির একটি পুকুর পরিষ্কার করিবার যে ছবি অন্ত্যত্র প্রকাশিত হইল, তাহার জন্ত আমরা উহার সম্পাদিকা শ্ৰীযুক্ত লীল দাসগুপ্তার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছি । নিখিল ভারত নারীসম্মেলনের কলিকাতা শাখা নিখিল ভারত নারীসম্মেলনের কলিকাতা শাখার ছুটি প্রস্তাব বিশেষ প্রশংসার যোগ্য । প্রথমটি সভানেত্রী প্রযুক্ত মণিকা মহলানবীশ উখাপিত করেন । যথা—