পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

г ” e ਾ उट्[ष्व _ - * সঙ্গে মিলচে না । সে আছে উদ্ধত হয়ে স্বতন্ত্র হয়ে । তাঁর উপর দিয়ে কালের প্রবাহ বইতে থাক, বৎসরের পর বৎসর এগিয়ে চলুক। বর্ষার জলধারায় প্রকৃতি তার অভিযেক করুক, রৌদ্রের তাঁপে তাঁর বালির বাঁধন কিছু কিছু খস্ত থাক, আখি শৈবালের বীজ লাগুকু তার গায়েএসেতখন ধীয়ে ধীরে বনপ্রকৃতির রং লাগবে এর সর্পাঙ্গে, চারিমিকের সঙ্গে এর সামঞ্জস্ত সম্পূর্ণ হ’তে থাকৃবে। বিষয়ী লোক আপনার চারদিকের সঙ্গে মেলে না ; সে অপিনীতে আপনি পৃথক, এমন কি জ্ঞানী লোকও মেলে না, সে স্বতন্ত্র, মেলে ভাবুক লোক । সে আপন ভবিরসে বিশ্বের দেহে আপন রং লাগায়, মামুদের রং । স্বভাবত বিশ্বজগৎ আমাদের কাছে তায় বিশুদ্ধ প্রাকৃতিকতায় প্রকাশ পায়। কিন্তু মানুষ তো কেবল প্রাকৃতিক নয়, সে মানসিক । মামুন তাই বিশ্বের উপর অহরহ আপন মন প্রয়োগ করতে থাকে । বস্তুবিশ্বের সঙ্গে মনের সামনস্ত ঘটিয়ে তোলে। জগৎটা মানুষের ভাবানুষঙ্গে অর্থাৎ তীয় এসোসিয়েশনে মণ্ডিত হয়ে ওঠে। মামুনের ব্যক্তিস্বরূপের পরিণতির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বপ্রকৃতির মামধিক পরিণতির পরিবর্তন পরিবর্ধন ঘটে । আদিযুগের মান্বয়ের কাছে বিশ্বপ্রকৃতি বা ছিল আমাদের কাছে তা নয়। প্রকৃতিকে আমাদের ঘনিবভাধের যতই অন্তভুক্ত করে নিয়েছি স্বামীদের মনের পরিণতিও ততই বিস্তীর ও বিশেষত্ব লাভ করেচে। আমাদের জাহাজ এসে লাগচে জাপান বন্দরে। চেয়ে দেখলুম দেশটার দিকে—নতুন লাগল, স্বন্দর লগিল । জাপানী এসে দাড়ালে ডেকের রেলিং ধরে । সে কেবল সুন্দর দেশ দেখলে না, সে মেধলে যে-জাপালের গাছপালা নদী পৰ্ব্বত যুগে যুগে মানব-মনের সংস্পর্শে দিশের রসের রূপ নিয়েছে, সেটা প্রকৃতির নয় সেটা মানুবের । এই রসরূপটি মনুষই প্রকৃতিকে দিয়েছে, দিয়ে তীয় সঙ্গে মানবজীবনের একান্ত সাহিত্যু ঘটিয়েচে । মানুণের মেশ যেমন কেবলমাত্র প্রাকৃতিক নয় তা মানবিক, সেই জন্তে মেশ তাঁকে বিশেষ অনিন্দ দেয়—তেমনি করেই মানুষ সমস্ত জগৎকে হৃদয়রসের যোগে আপন মানবিকতায় অৰ্বিত করচে, অধিকার করচে, তর সাহিতা ঘটতে সৰ্ব্বত্রই। মামুঘেরা সৰ্ব্বমেবtবিশfস্ত । বাহিরের তথ্য থা ঘটনা যখন ভাষের সামগ্রী হয়ে সাহিত্যের তাৎপর্যন্ত ○R参 আমাদের মনের সঙ্গে রসের প্রভাবে মিলে যায় তখন সাক্ষর স্বভাবতই ইচ্ছা করে সেই মিলনকে সৰ্ব্বকালের সৰ্ব্বজনের - অঙ্গীকারভুক্ত করতে। কেননা রসের স্বভূতি প্রবল হলে সে ছাপিয়ে যার স্বামীদের মনকে । তখন তাকে প্রকাশ করতে চাই নিত্যকালের ভামার ; কবি সেই তাকে । মানুষের অনুভূতির ভাষা করে তোলে ; অর্থাৎ জ্ঞানের - ভাষা নয় হলয়ের ভাষা, কল্পনার ভাব । আমরা যখনি বিশ্বের যে কোনো বস্তুকে বা ব্যাপারকে তাবের চক্ষে দেখি তখদি সে অরি বন্ধের দেখা থাকে ল', ফোটোগ্রাফিক লেন্সের থে যুগান্ত দেখা তার থেকে ত'র শ্বতই প্রভেদ বটে। সেই প্রভেদটাকে অবিকল বর্ণনায় তার প্রকাশ করা যায় না । - মায়ের চোখে দেখা থোকার পায়ে ছোটো লাল জুতেকে জুতো বললে তাঁকে যথার্থ করে বলাই হয় না। মাকে তাই বলতে হ’ল “মোক যাবে নীয়ে লাল জুস্থা পারে।” অভিধানের কোথাও এ শস্য নেই। বৈষ্ণব পদাবলীতে - যে মিশ্ৰিত ভাষা চলে গেছে সেটা যে কেবলমাত্র হিনী - ভাষার অপভ্রংশ তা নয়, সেটাকে পদকর্ষীর ইচ্ছা করেই ৷ রক্ষা করেচেন, কেননা অনুভূতির অসাধারণত ব্যক্ত করবীর পক্ষে সাধারণ ভাষা সহজ নয় জনে মাতি । মাত্রেই এমন একটা তার স্বই হয় বে-চ’ৰা কিছুব বলে কিছুব গোপন করে, কিছু যার অর্থ আছে, কিছু আছে কুর। এই ভ’লকে কিছু ভাড় কয়ে বাকা করে, এর সঙ্গে রূপক মিশিয়ে, এর অর্থ,ক উলট-পালট করে তবেই বস্তুবিশ্বের প্রতিঘাতে মানুষের মধ্যে বে ভাবের বিশ্ব স্বাক্ট হ’তে থাকে তাকে সে প্রকাশ করতে পারে। নইলে কবি বলবে কেন, “দেখিবারে আৰি পাৰ্থী ধায়।” দেখবার আগ্রহ একটা সাধারণ ঘটনা মাত্র । সেই ঘটনাকে বাইরের জিনিৰ ক’য়ে না রেখে তাঁকে মনের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হ’ল বধন কবি একটা অদ্ভুত কথা বললে, “দেখিবারে আঁথি পার্থী ধায়।” আগ্রহ যে পার্থীর মতন ধায় এটা মনের স্বই ভাষা, বিবরণের ভাল নয়। -- গোধুলি মেলায় অন্ধকায়ে রূপসী মন্ত্রির থেকে ৰাইরে এল, এ ঘটনাট বহু বটন এবং অত্যন্ত সাধারঘ । কবি বললেন, মব বীর দেব বিষ্যতর রেখা যেন স্বত্ব প্রসারিত করে កុំ។ গেল। এই উপমার বোগে ঘাfছরের ঘটনা