পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লুই পাস্তয়র ও র্তাহার গবেষণা আচার্য শ্ৰীপ্রফুল্লচন্দ্র রায় ও শ্ৰীসত্যপ্রসাদ রায় চৌধুরী, ডি-এসসি y লোকচক্ষুর অন্তরালে নীরবে বৈজ্ঞানিক তাহার পরীক্ষাগারে যে-সকল তত্ত্বের আবিষ্কার করেন, তাহা চিরস্থায়ী এবং সমস্ত মানব তাহার ফল ভোগ করে ৷ যে-সকল স্বনামধন্য নীষী নিজেদের ঐকান্তিক সাধনা বলে জগতের বিজ্ঞান|ಿ; অমূল্য রত্বরাজি সঞ্চিত করিয়া গিয়াছেন, মানুষ যুগযুগান্তর ধরিয়া তাহদের স্মৃতির উদ্দেশ্বে অর্ঘ্য দান করিতেছে। লুই পাস্তয়ুর ইহাদেরই অন্যতম। ১৮২২ খৃষ্টাব্দের ২৭শে ডিসেম্বর ফ্রান্সের অন্তর্গত ডোল Hামক ক্ষুদ্র পল্লীতে পাস্তরের জন্ম হয়। পাস্তরের পূৰ্ব্বপুরুষগণ - লুই পান্তর ব্যবসায়ী ছিলেন। র্তাহার পিতা জিন যোসেফ বংশানুগত শঁকারের বৃত্তি অবলম্বন করেন, কিন্তু নেপোলিয়নের রাজত্ব w প্রায় তিন বৎসর তৃতীয় সৈনিকবিভাগে সৈনিকের Wধ্য করিয়া সম্রাট কর্তৃক যুদ্ধক্ষেত্রে সন্মানিত হন। পাস্তমুরের শৈশবকালে জিন্‌ যোসেফ আবৃবোয় শহরে বসবাস করিতে আরম্ভ করেন এবং এই স্থানেই পাস্তমুরের প্রথম বিদ্যাশিক্ষা আরম্ভ হয়। তিনি প্রথমে একো প্রিমিয়ারে এবং পরে আরবোয় কলেজে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। কলেজের পরীক্ষায় পদক, পুরস্কার প্রভৃতি লাভ করা সত্ত্বেও শিক্ষকের মনে তিনি ভাল ছাত্র বলিয়া দৃঢ় ধারণা ছিল না—কারণ তিনি কোন বিষয়ই তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করিতে পারিতেন না। পাস্তয়রের সদাই ইচ্ছা হইত যে তিনি প্যারীর বিখ্যাত একো নমাল ( Ecole Normale ) নামক প্রথিতনাম বিদ্যালয়ে ভৰ্ত্তি হইয় সেখানকার প্রথম উপাধি পরীক্ষায় ( bacclaureat–Bachelor’s degree ) FE-fi‘J KR I ১৫ বৎসর বয়সে তাহার এই স্বযোগ ঘটে এবং তিনি এক বন্ধুর সহিত প্যারীতে উপস্থিত হন। কিন্তু বাল্য মুখস্থতি জড়িত গ্রাম হইতে শহরের বিলাসভূমিতে আসিয়া তাহার অত্যন্ত মনঃকষ্ট হয়—এবং তিনি অনুস্থ হইয় পড়েন। বহু চেষ্টা সত্ত্বেও প্যারীর আবহাওয়া তাহার সহ হইল না—সুতরাং বাধ্য হইয়াই একোল নমালে বিদ্যালাভ করার আশায় জলাঞ্জলি দিয়া পুনরায় স্বগ্রামে ফিরিয়া আসিলেন। প্যারীতে শিক্ষালাভের আশা হুদুরপরাহত দেখিয়া তিনি দুই বৎসর পরে পিতার অনুমতিক্রমে আরবোম্বা হইতে পচিশ মাইল দূরে বেসাকে৷ ( Besacon ) কলেজে শিক্ষা লাভ করিতে যান এবং অত্যন্ত্রকাল মধ্যেই অতিরিক্ত শিক্ষকের পদে নিযুক্ত হইয়া আহারাদির ব্যয় ব্যতীত প্রতি বৎসর তিন শত ফ্রাঙ্ক বৃত্তিলাভ করেন । এই সময়ে তিনি কি প্রকার পরিশ্রম করিতেন তাহ তাহার কনিষ্ঠ ভগ্নীর নিকট লিখিত এক পত্র হইতে জানা যায় । “তোমরা পরস্পরকে ভালবাসিবে এবং অলস হইবে না। একবার কাজ করার অভ্যাস হইয় গেলে বিনা কাজে বসিয়া থাকা যায় না । আর জানিও যে পৃথিবীর সমস্তই মানুষের কৰ্ম্মক্ষমতার উপর নির্ভর করে।” sistątza trátoš (Charles Chappuis )ần ***