পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাত্র - - সাহিত্যের তাৎপৰ্য্য - - ట్రాల్సి ফেলি। মহাভীয়তের খণ্ডববনদীহ বাস্তবতীর একস্তি নৈকট্য থেকে বহু দূরে গেচে—সেই দূরত্ববশত সে ভকর্তৃক হয়ে উঠেচে। মন তাঁকে তেমনি করেই সম্ভোগবৃষ্টিতে দেখতে পরে গেমন ক’রে সে দেখে পৰ্ব্বতকে সয়েfবরকে । কিন্তু যদি পবর পাই অগ্নিগিরিশাবে শত শত লেfকালয় শস্যক্ষেত্র পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্চে, দগ্ধ হচ্চে শত শত মহিষ পশুপক্ষী তবে সেটা আমাদের করুণ অধিকার ক’রে চিত্তকে পীড়িত করে। ঘটনা যখন বাস্তবের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে কল্পনার বৃহৎ পরিপ্রেক্ষিতে উত্তীর্ণ হয় তখনি আমাদের মনের কাছে তার সাহিত্য হয় বিশুদ্ধ ও বাধাহীন । মানব ঘটনাকে স্বম্পষ্ট ক’রে দেখবার আর একটি ব্যাঘাত আছে। সংসারে অধিকাংশ স্থলেই ঘটনাগুলি সুসংলগ্ন হয় না, তীয় সমগ্রতা দেখতে পাইল । স্বামীদের কল্পনার দৃষ্টি ঐক্যকে সন্ধান করে এবং ঐক্যস্থাপন করে । পড়ার কোনো দুঃশাসনের দৌরাত্মা হয়তো জেনেচি বা থব:রর কাগজে পড়েচি। কিন্তু এই ঘটনাটি তাঁর পূর্ক্সবন্ত্রী পরবর্তী দুর শাখাপ্রশাখীবন্ত্রী একটা প্রকাও টুজেডিকে অধিকার ক’রে হয়তে রয়েচে,—আমাদের সীমূনে সেই ভূমিকাটি নেই—এই ঘটনাটি হয়তো সমস্ত বংশের মধ্যে পিতামাতা চরিত্রের ভিতর দিয়ে অতীতের মধ্যেও প্রসারিত, কিন্তু সে আমাদের কাছে অগোচর। আমরা তাকে দেখি টুকরো টুকরো করে, মাঝখানে বহু অবাস্তর বিলয় ও ব্যাপারের দ্বারা সে পরিচ্ছিন্ন, সমস্ত ঘটনাটির সম্পূর্ণতরি পক্ষে তাদের কোনগুলি সার্থক, কেন্থিগুলি নিরর্থক ত৷ ভীমরা বাছাই করে নিতে পারি মে । এই ক্ষন্তে তার বৃহৎ তাৎপর্য ধরা পড়ে না। বীকে বলচি বৃহৎ তাৎপর্য তাকে যখন সমগ্র করে মেধি তখনি সাহিত্যের দেখা সম্ভব হয়। ফরাসী রাষ্ট্রবিপ্লদের সময় প্রতিদিন ষে-সকল থও থও ঘটনা ঘটছিল সেদিন তাদের চরম অর্থ কেই বা দেখতে পেয়েছে, কাল'ইল তাদের বাছাই করে নিয়ে আপনার কল্পনার পটে সাজিয়ে একটি সমগ্রতায় ভূমিকায় যখন দেখালেন, তখন আমাদের মন এই সকল বিচ্ছিন্নকে নিরবচ্ছিন্নরূপে অধিকার করতে পেরে নিকটে পেলে । খ্ৰীটি ইতিহাসের পক্ষ থেকে তার বাছাইয়ে অনেক সৌষ থাকতে পারে, অনেক অভূক্তি অনেক উনোক্তি হয়তো আছে এর বধ্যে ; বিশুদ্ধ তথ্যবিচারের পক্ষে ফেলব দৃষ্টান্ত অত্যাব্যক তার হয়তে অনেক বাদ পড়ে গেছে । । কিন্তু কাল'ইলের রচনায় যে শুনিবিড় সমগ্রতার ছবি আঁকা হয়েচে তীয় উপরে আমাদের মন অব্যবহিতভাবে যুক্ত ও । ধ্যাপ্ত হতে বাধা পায় না, এই জন্তে ইতিহাসের দিক থেকে যদি বা সে অসম্পূর্ণ হয় তবু সাহিত্যের দিক থেকে সে পরিপূর্ণ। - এই বর্ধমান কালেই আমাদের দেশে চারদিকে খণ্ড । থও তাবে রাষ্ট্রক উদ্যোগের নানা প্রয়াস নানা ঘটনায় - উৎক্ষিপ্ত হয়ে উঠচে। ফৌজদারী শাসনতন্ত্রের বিশেষ বিশেষ আইনের কোঠার তাদের বিবরণ গুছি সংবাদপত্রের নানাজাতীয় আগুবিলীয়মান মর্শ্বরধ্বনির মধ্যে। । ভারতবর্ষের এ যুগের সমগ্র রাষ্ট্ররূপের মধ্যে তাদের পূর্ণভাবে দেখবায় হযোগ হয় নি—থখন হবে তখন তার মানুসের সমস্ত বীৰ্য সমস্ত বেদন সমস্ত ব্যর্থতা বা ঘৰ্থিকত “ সমস্ত ভুলক্রটি নিয়ে সংবাদপত্রের ছায়ালোক থেকে উঠবে । সাহিত্যের জ্যোঙ্গিলোকে। তখন জজ भाॉछिाझे আইনের বই পুলিসের বষ্টি সমস্ত হবে গৌণ, তখন আজকের দিনের ছিন্নবিচ্ছিন্ন ছোট বড় স্বস্থ-বিরোয় একটু বৃহৎ । ভূমিকায় ঐক্য লাভ করে নিতাকালের মানব মনে বিরাট মূৰ্ত্তিতে প্রত্যক্ষ হবার অধিকারী হবে। - মহিষের সঙ্গে মানুদেব নানাবিধ সম্বন্ধ ও সংঘাত निप्लग्न পৃথিবী জুড়ে আমাদের অভিজ্ঞতা বিচিত্র হয়ে চলেচে। সে একটা মানস জগৎ, বহু যুগের রচনা। তাঁকে আমিরা নৃতত্বের দিক থেকে মনস্তত্বের দিক থেকে ঐতিহাসিক দিক থেকে বিচার ক’রে মানুযের সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করতে পারি। - সে হ’ল তথা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কাজ । কিন্তু এই অভিজ্ঞতার জগতে আমরা প্রকাশ-বৈচিত্রাবান মল্পিরের নৈকট্য কামনা করি । এই চাওরাটা আমাদের মনে অত্যন্ত গভীর ও প্রবল। শিশুকাল থেকে মানুষ বলেচে গল্প বলে, সেই গল্প তথ্যের প্রদর্শনী নয়, কোলে? একটা মানব পরিচয়ের সমগ্র ছবি, আমাদের জীবনের অভিজ্ঞত দীনা বেঁধেচে তার মধ্যে। রূপের মোহিনী - - শক্তি দি পৰে ধীয়ৰ প্ৰকা, লভে সালে ।