পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

で5ー5 - অক্ষমতার নিদর্শন স্বরূপে এই সমস্ত ব্যত্যয়কে স্বীকার করে তবুও মোটের উপরে এ-কথা মানতে হবে, যে, সমস্ত শহরটা শহরবাসীর গৌরব করবার উপযুক্ত ঘাতে হয় এই ইচ্ছাটাই সত্য। কেউ বলবে না শহরের সত্য তার কদর্য বিকৃতিগুলো । কেননা শহরের সঙ্গে শহরবাসীর অত্যন্ত নিকটের যোগ, সে-যোগ স্থায়ী যোগ, সে-যোগ আত্মীয়তার যোগ, এমন যোগ লয় ঘাতে তাঁর স্বাত্মবিমাননা । সাহিত্য সম্বন্ধেও ঠিক এই কথাই বলা চলে। তার মধ্যে রিপুর আক্রমণ এসে পড়ে, ভিতরে ভিতরে দুৰ্বলতার নানা চিহ্ন দেখা দিতে থাকে, মলিনতার কলঙ্ক শাগতে থাঁকে যেখানে-সেখানে, কিন্তু তবু সকল হীনতা দীনতাকে ছাড়িয়ে উঠে ষে সাহিত্যে সমগ্রভাবে মহিযের মহিমা প্রকাশ না হয় তাকে নিরে গৌরব করা চলবে না, কেননা সাহিত্যে মানুষ আপনারই সঙ্গকে, আপনার পঞ্চম পরিচ্ছেদ R দাদা কালীগঞ্জে একটা বাতাসার কারখানায় কাজ করে। অনেক দিন তার সঙ্গে দেখা হয় নি, কিছু টাকার দরকারও ছিল, কারণ কলেজের কিছু বাকী আইনে ও পরীক্ষার ফি-এর টাকার অভাব হওয়াতে শৈলদি লুকিয়ে যৌলট টাকা দিয়েছিল। যাবার আগে সেটাকাটা তাঁকে দিয়ে যাওয়া দরকার, যদিও সে চায় নি। বঁাশবেড়ের ঘাটে গঙ্গা পার হয়ে ওপারে যাব, খেয়ার নৌকা আসতে দেরি হচ্চে, আমি প্রকাণ্ড একটা পুরোনো বাধীঘাটের সিড়িতে বসে অপেক্ষা করচি। ঘাটের ওপরে একটা জীর্ণ প্রাচীন শিবমন্দির, তার ফাটলে ফাটলে বট জখখের গাছ, মন্দিরের চূড়ায় ত্রিশূলটা ध्रुट्टैि - দৃষ্টি-প্রদীপ শ্ৰীবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় NEa সাহিত্যকে প্রকাশ করে স্থায়িত্বের উপাদান। কেননা fচরকালের মানুষ বাস্তব নয়, চিরকালের মানুষ ভাবুক ; চিরকালের মানুষের মনে ষে আকাঙ্ক্ষণ প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে কাজ করেচে তা অভ্ৰভেদী, তা স্বর্ণাভিমূখী, তা অপরাহত পৌরুষের তেজে জ্যোতিৰ্ম্ময় । সাহিত্যে সেই পরিচয়ের ক্ষীণতা যদি কোনো ইতিহাসে দেখা যায় তা হ'লে লজ্জা পেতে হবে, কেননা সাহুিতো মানুষ নিজেরই অন্তরতম পরিচয় দেয় নিজের অগোচরে, যেমন পরিচয় দেয় ফুল তাঁর গন্ধে, তার তার আলোকে। এই পরিচয় সমস্ত জাতির জীবনবন্দ্রে জালিয়ে তোলা অগ্নিশিখার মতে, তরি থেকে জলে তার ছাত্ৰীকালের পথের মশাল, তার ভাবীকালের গৃহের এীপ • - भांछिनिएकठन - 23. 4. ÖR - কপিৰাগ বিশ্ববিদ্যালয় পীত - - - -- - --- পশ্চিমে হেলে-পড়া সন্ধ্যার হুর্য্যের আলোয় মনে হচ্চে খেন সোনার । ভারি ভাল লাগছিল মন্দিরট, জরি uहे छनविद्रग रॉtशांशाः ।। ७हे ममिश्tद्र पत्रि थांब्रठि হ’ত, এই সন্ধ্যায় বন্ধনারত নরনারীর দল ওই ভাঙা চাতালে দ্বাড়িয়ে রইত-তবে আমার আরও ভাল লাগত। কথাটা ভাবুচি, এমন সময়ে আমার শরীরটা নে কেমন ক’রে উঠুল, কানের পাশটা শিরশির করতে লাগলো। হঠাৎ আমার মনে হ’ল এই ঘাটের এই মন্দিরে খুব বড় এক জন সাধুপুরুষ আছেন, তার দীর্ঘ চেহারা, মাথায় বড় বড় চুল, প্রসন্ন হাসিম খানে মুখ। আমি তাকে দেখতে পেলাম না। কিন্তু তার উপস্থিতি অনুভব করলাম। তিনি এখানে । অনেক দিন আছেন, ভাজ ঘাটের রানায় বলে ওপারের }