পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ଝl8୫ হাত ধরে তুলুন– কাদামাথা কাপড়ে বট দিশহারা ভাবে উঠে ধীড়াল, আমি তার সঙ্গের লোকদেয় পেীজ নিয়ে ভিড়ের ভেতর থেকে অতি কষ্টে খুজে বার করলাম— তিড়ের দ্বার চালিত হ’য়ে তারা অনেক দূর গিয়ে পড়েছিল। এত করেও অনেকেরই দেবদর্শন ঘটল না, পাণ্ডার সকলকে মলিল চন্তে দিচ্চে লা শুনলুন, কেন তা জানিনে । মেয়েদের স্থঃথ দেখে আমার নিজের ঠাকুর দেখার ইচ্ছে আর রইল না । अीक्षां মাসের শেয দিন। বৈকালের দিকটা মেজবাবু, সেটরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, বেলা পাঁচটার সবরে ফিরে এসে আমায় হিসাবের খাত দেখাতে ডেকে পাঠালেন। রোজ তিনি দুপুরের পরে অপিসে বলে থাত সই করেন, আজি তিনি ছিলেন দা। মেজবাবুকে থাত দেখানে বড় মুঙ্গিলের •বাপায়, একে সেঞ্জবাবুকে আমার একটু ভয় হয়, তার ওপয়ে তিনি প্রত্যেক থকুচের খুটিনাটি কৈফিয়ৎ চাইবেন। . খাত দেখতে দেখতে মুখ দা ভুলেই বললেন—তামাক ওয়ালার ভাউচার কোথায়? মি বললাম--তাধাকওয়াল ভাউচার দেয়নি। খুচরো দোকান—ওরা ভাউচার রাখে লী মেজবাবু ক্র কুচকে বললেন—কেন নবীন মুহুরী তো ভাউচার অনুতে ঃ তার মুখ দেখে মনে হ’ল তিনি আমায় অবিশ্বাস করচেন। আমি জানি নবীন মুহুরী যেখানে ভাউচার মেলে দী-মনিবকে বুঝিয়ে দেবার জন্তে সেখানে ভাউচার নিজেই বানাতে । আমি সে লিথ্যের আশ্রয় নিই ল ৷ বললাম-আপনি জেনে দেখবেন ওরা ভাউচার কখনো দেয় না। আমি এসে পর্যন্ত তো দেখচি– আমি যেখানে দাড়িয়ে কথা বলচি, তার সামনেই বড় জানালী—তার ঠিক ওপরে—মেজবাবুর আপিসারের সামনা-সামনি একটা শনিবাধীনে চাতাল । অন্যরমহলের একটা দোৱ দিয়ে চাতালটায় আসা যার বলে জানালায় প্রায়ই পরদা টাঙানে থাকে। আজ সেটা গোটানো ছিল । । o আমি একবার মুথ তুলতেই জামাল দিয়ে নজর পড়ল অনারের দরজার কাছে দ্বাড়িয়ে কাদের ছো,একট - - - - ఏ98S - থোকা, নিত্যস্ত ছোট, বছর হুই বয়েস হবে। বোধ । হ’ল যেন দরজা খোল না পেরে চুপ ক'রে দরজার । বাইরে দ্বাড়িয়ে আছে । আমি ভাবচি বেশ পোকাটি ভো, কাদের খোকা ? এ বাড়িতে যতদূর জানি অত ছোট ছেলে কারুর তো নেই ? ওখানে এল কার সঙ্গে ? মেজবাবু বললেন—এদিকে মন দাও, ওদিকে কি দেথচ ? আমি বল্লাম—কাদের পোকা দাড়িয়ে রয়েচেওখানে— আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে যমূলম—ওই যে দ্বাড়িয়ে রয়েচে চাতালের দরজায়, বাড়িতে ঢুকতে পাচ্চে না বোধ হয়। মেজবাবু সেদিকে চেরে বলুলেন—কই ? কোথায় কে ? ঠিক সেই সময় অন্দরের দরজা খুলে মেজবাবুর স্ত্রী (তাকে অনেকবার মোটরে উঠতে নমিতে দেখেচি ) বার হয়ে এলেন এবং পোকাকে কোলে তুলে নিলেন। আমি চোখ নামিরে নিলাম। মেজবাৰু বললেন—কোথায় তোমার থোকা লা কি ? আমি বিস্মিত হয়ে বললাম—-বারে, ওই তো উলি খোকাকে কোলে নিলেন ? চোখ তুলে চাতালের দিকে চেয়ে মেঙ্গবাবুর স্ত্রীকে অর দেখতে পেলাম না, অন্দরের দরজাও বন্ধ, নিয়ে বোধ হয় বাড়ির মধ্যে চলে গিয়েছেন। মেজবাবু বললেনকে নিয়ে গেলেন ? উনি মানে কি ? কি বক্‌চ পাগলের মত ?--- সেজবাবু আমার দিকে কেমন এক ধরণে চেয়ে রয়েচেন দেখলাম । আমি তার সে দৃষ্টির সামনে থতমত থেয়ে গেলাম—আমার মনে হ’ল মেজবাবু সন্দেহ করচেন আমার মাথা খারাপ আছে লা কি ? সঙ্গে সঙ্গে বিশ্মিত হলুম একথা ভেবে যে, এই ওঁর স্ত্রী দরজা খুলে এলেন, থোকাকে কোলে তুলে নিলেন, এই তো দিনমানে আর এই ত্রিশ হাতের মধ্যে চাতাল, এ উনি দেখতে পেলেন দা কেন ? পরক্ষণেই চট করে আমার সন্দেহ হ’ল আমার সেই পুরোনো রোগের ব্যাপার এর মধ্যে কিছু অাছে নাকি ? এত সাধারণ ও স্বাভাবিক ঘটনার মধ্যে বে অন্য কিছু আছে বা হ’তে পারে, এ এতক্ষণ আমার মনেই ওঠেনি। তঃ হ’লে কোনো কথা