পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখী পাস্তমুরের দাম্পত্যজীবন সম্বন্ধে তাহার এক অন্তরঙ্গ বন্ধু লিয়াছেন যে, মারি লোর কেবল গৃহিণী ছিলেন না, গবেষণকর্য্যেও তিনি পাস্তয়রের প্রধান সাহায্যকারিণী ছিলেন । ফ্ল্যাকালে পাস্তয়ুর তাহার দৈনিক কাৰ্য্যাবলী বলিয়া যাইতেন এবং তাহার উপযুক্ত সহধৰ্ম্মিণী সেই সমস্ত একত্রে লিপিবদ্ধ করিয়া পাস্তম্বরকে উহা ব্যাখ্যা করিতে বলিতেন। ইহাতে পাস্তয়রের এই সুবিধা হইত যে, ঐগুলি ব্যাখ্যা করিবার সময়ে তাহার মনে নুতন নূতন চিন্তার ধারা প্রবাহিত হইত এবং গবেষণাকার্য্য সত্যপথে পরিচালিত করিবার শক্তি সঞ্চার ইষ্টত । তাহার দাম্পত্যজীবন নিরবচ্ছিন্ন স্বথের না হইলে পাস্তয়র এক জীবনে এত লোকহিতকর কার্য্য করিতে সমর্থ হইতেন কি-না সন্দেহ । এই সময়ে তিন্তিড়িকাম সম্বন্ধে গবেষণা সম্পর্কে তাহার দৃষ্টি অন্য দিকে আকৃষ্ট হয় । তিনি ‘সন্ধান’ বা ‘গাজন প্রক্রিয়া’ (tາກentation) সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করিতে રાજા হইয় পড়েন এবং সৌভাগ্যক্রমে তাহার সুযোগও জুটিয়া যায় । তিনি এই ময়ে লিল ( Lille ) নগরে বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ধ্যক্ষের পদে নিযুক্ত হইয়া আসেন। তিনি ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে ললের বিজ্ঞান সমিতিতে দুগ্ধায় ( lactic acid )* ‘সন্ধান’ বষয়ে এক প্রবন্ধ লিখিয়া পাঠান । এই প্রবন্ধের বক্তব্য iমাদের কাছে বিশেষ বিস্ময়কর বলিয়া মনে হয় না । স্তু তৎকালে এই নূতন মতের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ঠিয়াছিল। ক্রমাগত বিশ বৎসর পরীক্ষার পর পাস্তমুর হার মত প্রতিষ্ঠিত করিলেন এবং দীর্ঘ বিরোধ অবসানের সকলেই স্বীকার করিলেন যে, জীবাণু ব্যতীত ‘সন্ধান না ! তাহার প্রিয় শিমল-মন্দির একোল নম্যালের দুরবস্থা থয়া তিনি স্বহস্তে ইহার বিজ্ঞান শিক্ষার ভার গ্রহণ করেন। সময়ে কতকগুলি পারিবারিক দুর্ঘটনার জন্য র্তাহার বষণাকার্য্যের সময় সংক্ষিপ্ত হইয় পড়ে । মাত্র ছেচল্লিশ বৎসর স তিনি সন্ন্যাস রোগে আক্রাস্ত হন। তাহার বন্ধুবান্ধব লেই ভাবিলেন যে, এইবার তাহার কৰ্ম্মজীবনের অবসান

  • দধি তৈয়ার করিবার সময় দুধে যে দম্বল দিতে হয় তাহতে এক রি জীবাণু থাকে। এই দম্বল দেওয়ায় জীবাণুর প্রসার বৃদ্ধি হয় এই কারণে দুগ্ধ জম্নাক্ত দধিতে পরিণত হয় । - .

লুই পাস্তয়র ও র্তাহার গবেষণা & 2 ঘটিল। কিন্তু ভগবানের কৃপায় পাগুয়র আরোগ্য লাভ করেন এবং কিছুকাল পরেই গুটীপোকার সংক্রামক রোগের দুইটি জীবাণু আবিষ্কার করিয়া তাহার প্রিয় মাতৃভূমির নষ্টশিল্পের পুনরুদ্ধার করেন । এইখানে বলা অপ্রাসঙ্গিক হইবে না যে, পান্তয়রের প্রবর্তিত পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া ফরাসী দেশে লিম ( Lyons ) নামক স্থানে কোটি কোটি টাকার রেশমের ব্যবসা হইতেছে । জাপানও এই উন্নত পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া রেশমের ব্যবসায়ে প্রভূত লাভবান হইতেছে । কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয় যে, আমাদের দেশে মালদহ, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি স্থানে রেশমশিল্প প্রায় লুপ্ত হইবার উপক্রম হইতে চলিল, কিন্তু তথাপি আমাদের দেশের লোকের চোখ ফুটিল না। আমাদের দেশের রেশমশিল্প উন্নত করিতে হইলে বর্তমান বিজ্ঞানসম্মত প্রণালী অবলম্বন করা আবশুক । তৎকালে কোন যুদ্ধের সমক্ষে শত শত পীড়িত এবং f— & ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল আহত ব্যক্তি উপযুক্ত পরিচর্ষ্যার অভাবে অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হইত। যুদ্ধক্ষেত্রের হাসপাতালগুলির উন্নতির কথা