পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

संछंतु - কাশেয়ার ষান্ত্রী اہیمی) সেবন করিভে দিয়া থাকিবে । এইটাই সম্ভব ; কারণ তাহার পূৰ্ব্বে তিনি বৈশালীতে ক্রিয় শিয়া আনন্দকে এই বলিয়া কুশীনগরাভিমুথে যাত্রা করিয়াছিলেন যে তাহার নিৰ্ব্বাণ সন্নিকট। সেজন্য ভক্ত যে উৎকণ্ঠীর বশে কোন আরোগ্যজনক রসা-ন বা ঐ জাতীয় কোন দ্রব্য দিখে ভাঁহাই যুক্তিসঙ্গত ।” তাহার সহিত কিছুক্ষণ আলাপ করিয়া আমরা উঠিলাম। মহাপরিনিৰ্ব্বাণ-সূপটিকে কেন্দ্র করিয়া চারিদিকে প্রায় পঞ্চাশ-যাট বিষার উপর শ্রমণদিগের জন্ত বিহায়-গৃহ ছিল। বর্তমানে সবগুলিরই উপরকার ছাত পড়িয়া গিয়াছে, শুধু জায়গায় জায়গায় কোন কোন গৃহের অদিলট বঙ্গীয় আছে । ঠিক গুপের সামনেই বেটা, সেটা সব চেয়ে বড় এবং প্রায় বুক পৰ্য্যন্ত দেওয়ালে তাহার আদলটা বজায় অাছেও সব চেয়ে বেশ । বাড়িটা চতুষ্কোণ, চারিদিকে ছোট ছোট প্রায় আটাশটি ঘর ছিল বলিয়া বোধ হয়। ঘরগুলার সামনে ভিতর দিকে বারান্দা, মাঝথানটিতে একটি প্রশস্ত উঠান। দেওয়ালগুলা উপরে প্রায় চার-পাচ ফুট করিয়া চওড়া । ইটগুল আজিকালকার ই.টর চেয়ে ছোট, কিন্তু বেশ সুগঠিত। বে চত্বরটির উপর মহানিৰ্মাণ-স্তুপ ট্রাড়াইয়া—তাহার কাণিসে অনেকগুলি নানারকম কাজ-কর স্বকৃষ্ঠ ইট । গাথুনিও বেশ চমৎকার, জায়গায় জায়গায় ইটগুলা যেন মিশিয়া এক হইয়া গিয়াছে,—কি মশলা দিয়া গাথা ধরা বায় না। জমি হইতে গাঁথুনি লক্ষ্য করিয়া আপিলে দুই-তিনটি যুগের নিশানা পাওয়া যায় বলিক্স বোম হয়, অর্থাৎ পুনর্গঠন এই প্রথম নয়, এর পুৰ্ব্বেও কয়েক বার হইয়া গিয়াছে। মাঝে মাঝে এক-একটা কুপ, প্রায়ই বুঞ্জিস্থা গিয়াছে, এ-ছাড়া মাঝে মাঝে শ্রমণদিগের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমাধি-স্তু,প্ৰও বর্তমান । আড়াই হাজার বৎসর পূৰ্ব্বেকার কীৰ্ত্তির মহাশ্মশানে ইiড়াইয়া আমরা মাঝ মাঝে অতীতের মধ্যে নিজেদের হীরাইয়! ফেলিতেছিলাম । দিশ্বের হিতে সমস্ত জীবন বায়িত করিয়া জ্বর-কবলিত, রোগক্লিয় তথাগত মল্পরাজধানীতে উপস্থিত হইলেন। বৈশাখী পূর্ণিমার সন্ধা । ঐ শুপটি যেখানে তাহার সামনে, দুইটি শালবৃক্ষের মাঝখানে, শোককম্পিত হস্তে শিয্যবৃন্দ শয়ন করাইল । তাহার পর gعدني مb মহানিৰ্ব্বাণ ! পৃথিবী যেন মুহূর্তেই নিম্প্রত হইল গেল -- মহাকালের নিরবচ্ছিন্ন শ্রোত বহিয়াই চলিয়াছে। ক্রমে এই মহাশ্মশান আশ্রয় করিয়া যুগের পর যুগ ব্যাপিং বিরাট ভাবের উচ্ছ্বাস সূপে, চৈতে, বিহারে মূর্ত হইয়া উঠিল। কত মহাপ্ৰাণতার অলিথিত কাহিনী যে হেথায় বিদ্যমান, কে বলিবে ? মাথার উপর সেই সব মহিমময় কীৰ্ত্তির শাশ্বত সাক্ষী স্থৰ্যদেব, পায়ের নীচে ধ্বংসাবশ্যে আর চারি দিকের দৃষ্ঠের বিরাট খুল্লতা—ধাহাতে বর্তমানের কোন বিশিষ্টতর ছাপই পড়ে নাই,—এই সব মিলাইয়া অতীতের সঙ্গে যেন একটা অদ্ভুত রকম আত্মীয়তা স্থম্ভব করিতেছিলাম। এই প্রধান বিহারটির পূর্কে, গা ধোবা স্তুপের চত্বরটা ; এর সামনের দিকটা একটি লম্বা-গোছের নাতিউচ্চ মন্দির। তাহার মধ্যে প্রায় পচিশ-ছাব্বিশ ফুট দীর্ঘ বুদ্ধদেবের একটি শয়নমুৰ্বি, লাল পাথরে তৈরি, সমস্তটা সোনালী রং মাথান। মন্দিরগাত্রসংলগ্ন একখানি ধাতুকলকে উৎকীর্ণ আছে ১৮৭৭ খৃষ্টাব্দে গবৰ্ণমেন্টের প্রত্নতত্ত্ববিভাগের ডিরেক্টর এ. সি. কাবুলাইল সাহেব এই মুক্তিটিকে পুরানো মন্দিরের ভয়স্তুপের মধ্যে শতখণ্ডিত অবস্থায় আবিষ্কার করেন। এইরূপ গুলশ্রুতি বে, যেখানে আজকাল মুক্তিটি শয়ান, সেইপানেই দুইটি শালগাছের মাধখানে বুদ্ধদেবের মহানিৰ্ব্বাণলাভ হয় । সে-সময় সমস্ত স্থানটি একটি শালবন ছিল এবং ইহারই কোল বেধিয়া হিরণাবর্তী নদী প্রবাহিত হইত। নদীটি একটা সোতার জঙ্কিারে আজিও বিদ্যমান, তবে প্রায় মাইল-দেড়েক পূর্কে সরিয়া গিয়াছে । স্থানীয় ভাষায় এর নাম এখন "রামাণ্ডার । বৌদ্ধযাত্রী ও এখানকার শ্রমণের এই মুটিরই পূজা করেন। মন্দিরটি ব্ৰঙ্ক, চীন, জাপানদেশীয় নানাবিধ পতাকা ও পুজার উপটৌকনে পুর্ণ। ধৰ্ম্মশালার একটি কক্ষে আরও চারিটি মূৰ্ত্তি রক্ষিপ্ত আছে; তিনটি শ্বেতপাথরের, একটি পিতলের । এত সুন্দর বুদ্ধমূৰ্ত্তি খুব কমই দেখিয়ছি । ছোট মন্দিরটির গায়েই মহাপরিনিৰ্ব্বশ-সুখ । গুগুটি বহুদিন যাবৎ ভগ্ন, হুতন্ত্ৰী হইয়াপড়িয়া ছিল । বিগত নবেম্বর ১৯২৬ সাল ফু-পো-কিও নামক কোন এক ব্ৰহ্মদেশীয় &