পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ص وٹاوا আসিয়াছে। প্রথমে চিনিতে পারে মাই ; চিনিবেই বা কি করিা বিশ বৎসর পরে দেখা। এখন দশাসই শীর, ধ, খব, করিতেছে রং—ওখানকার টিকিট-বাৰু। মাষ্ঠাকরুণকেই সে আগে দেখিয়ছে, থোকাবাবুর বাসার। সেইদিক দিয়া সে আসিতেছিল। “আহা সে স্থিরি আর—” কালী ডাক্তার ধমক দিয়া উঠিলেন—“থামূ। আমার কেউ নয়—” রূপের মা চুপ করিল। কিন্তু স্বভাবহুলভ বাঁচালতার ফলে ঔষধ লইয়া গৃহে ফিরিবার পথে বfলতে বলিত্তে চলিল—“নিজের বউ-ছেলেকে পর ক’রে দিলে গে+—” ডাক্তার বিচলিত হইয়া উঠিলেন । সংবাদটি শুভ নয়। কৃষ্ণপুরে তাহীকে প্রায়ই বাইতে হয় । জায়গাটা সেখান হইতে চার ক্রোশ দূর। ওধান দিয়া রেলপথ গিয়াছে। জেলাশহর হইতে মামুদপুরে আসিতে কৃষ্ণপুরে নামিতে হয় । সেখান হইতে জেলাবোর্ডের কঁচাপাকা রাস্ত ধরিয়া বরাবর - দক্ষিণে চলিলে চার ক্রোশের মাথার মামুদ্রপুর। দূর হইতে গ্রামখনিকে মনে হয় সবুজপাখীরে একটি দ্বীপ। কালী ডাক্তার মনে মনে হিসাম করিলেন, ষ্ট্ৰেীড়ীটায় বয়স এখন বাইশ বৎসর হইবে । কিন্তু এতদিন ছিল কোথায় ? এখানে স্বসিল কেন, বিয়ের লোভে ? দুরাণ | তবে দেহধস্থ বিকল হইতে বিলম্ব হয় না । তিনি সহুল মরিলে-অধিক দূর চিস্তা করিলেন না। স্বগতোক্তি করিলেন—“একটু সবুৰ্ব কর । দু-বেটীকেই জন্ম করব—” দ্বিতীয়টি এক নবীন চিকিৎসক। প্রায় বৎসরখানেক হুইগ মামুদপুরে অসিয়া বসিয়াছে। তাঁহায় অভিজ্ঞতা নাই, বিদ্যা আছে ; উপাধিও কালী ডাক্তায়ের উপাধির উচ্চে সকলে ত কালী ডাক্তার নয় ; উপাধির মোহ অধিকাংশকেই আচ্ছন্ন করে। এই রিপুটি চতুর্থ স্তরে অবস্থান করিলেও সবরে ইহা প্রবল বেগে প্রথম স্তরে উঠিয়া বিপর্যয় ঘটায় । ইহার ফলে আজকাল অনেকে উহাকে ডাকিতেছে । ছোড়াটা জমাইতেছেও বেশ । কালী ডাক্তারের অবস্থাটা হইয়া উঠিয়াছে ছিদ্রযুক্ত বেলুনের মত, উঠিবর শক্তি নাই, একটু একটু নামিয়া পড়িতেছেন। ছিদ্রটিকে যদি কোনমতে বদ্ধ করা ধায়, তাহা হইলে Rপ্রবাসী % S98S প্তাহীর পক্ষে পুনরার আকাশমার্গের উর্ধ-ঊৰ্দ্ধতর—এমন কি উদ্ধতম স্তরেও উড্ডীন হওয়া অসম্ভব নয় ; কিন্তু কি উপায়ে যে তাঁহা সম্ভব বুঝিভে পরিলেন না । ছিদ্র হইয়াছে একেবারে সেই শীর্ষভাগে। ভবে র্তাহীর গতি নিম্নমুখী হইলেও জলে বা কঠিন ধরায় পড়িবেন না, লক্ষ্মীর ধরে—শুল্পেরই কোন এক স্তরে অবস্থান করিবেন। উহাকে পরে দেখা যাইবে ; আগে ঐ টিকিট-বাৰু | অশ্বিনী বোন উকিলের মুহুরী ছিল, কিন্তু জমাইতে পারে নাই। এখন গ্রামেই থাকে—জমি-জমা কিছু আছে। কিছুদিন হইতে সে সখের ঘটকালি করিতেছিল। সে আদিতেই কালী ডাক্তার ভfহীকে গোপনে ডাকিয়া বলিলেণ—“পাত্রের কথা এথন থাক । বেশ বয়স্থ। পাত্রীর সন্ধান রাধ " অশ্বিনী প্রথমে বিশ্বিত হইল। পরেও প্রশ্নটির অর্থ কতক বুঝিল, কতক বুঝিল না, জিঞ্জাসা করিল— “কেন ?” “বুঝছল, কষ্টের পয়সাগুলো পরে লুটে-পুটে খাবে, একটা ছেলে থাকলে—” - “ছেলেও বা বেয়েও তাই ডাক্তারবাবু থেয়েকেই--" “দালালী য়াখ, বাপু । কাজের কথাটা হোক। পাত্রী আছে ?” “ত!—তা আর থাকবে না ? কিন্তু আপনি—” “হ। আমিই। বয়সটা দেখে ভয় পাচ্চ ? তুমি ভ আর আমায় বিয়ে করবে না—” “হে"-হে" ত নয়। আপনার বয়স অীর এমন fক বেশী ? স্বাস্থাও বেশ আছে। দেখলে কেউ বলবে না, পঞ্চাশ। বরং পয়তাfল্লশ বছরে আমরাই খুঁড়ো হয়ে পড়েচি। মাথার চুল সব একেবারে সাদা—” “থাকৃ, কবে খবর দেবে ? শ্রবণ চলচে, এই মাসেই কাজটা হয়ে গেলে ভাল ছিল । নহ’লে সে—ই আম্ৰাণ—” “তা একটু সময় চাই বইকি। শুভ-কৰ্ম্ম । তার ওপর পাত্রীও থাকে অনেক দূরে। চিঠি লিখে আনতে হবে।” কিন্তু