অতএব অশ্বিনী-নক্ষত্র, প্রথম ১৩২-' : অশ্বিনীর আদি ীিযোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি পঞ্জি কলি-নিরূপক গ্রন্থ, চন্দ্র-স্বর্য কল-প্ৰবোধক যন্ত্র । এই ধে এখন লিখিতে বসিয়াছি, সে কখন ? যখন চন্দ্র আকাশের অমুক স্থানে, কিম্বা স্বর্য অমুক স্থানে ছিল । অমুক স্থানে। কোন স্থানে ? সে স্থান, অশ্বিনী-নক্ষত্রের আদি হইতে এত দূরে। অশ্বিনী-লক্ষত্রের আরম্ভ কোথায় হইয়াছে, সে আরম্ভ না জানিলে চন্দ্র-স্বর্যের স্থান জানা স্বাইবে না । কালও জানা যাইবে লা । রবি-পথ একটা বৃহৎ বৃত্ত। বৃত্তমত্রেই ৩৬০ ভাগে বা অংশে বিভক্ত কল্পনা করা হয় । এক অংশে ৬০ কলা । পূর্বকালে এই অংশ-কল্পনা ছিল না। তখন রবি-পথ ২৭ সমান ভাগে বিভক্ত কল্পনা করা হইত। এক এক ভাগের নান নক্ষত্র। প্রথম ভাগ, অশ্বিনী-লক্ষত্র, দ্বিতীয় ভাগ ভরণী:নক্ষত্র, তৃতীয় ভাগ ৰুক্তিক লক্ষত্র, ইত্যাদি । ভরণী-নক্ষত্র ১৩২• হইতে ২৬°৪• পরিমিত পথ ; কৃত্তিকা-নক্ষত্র ২৩"৪১' হইতে ৪••• পরিমিত পথ, ইত্যাদি । প্রথম নক্ষত্রভাগের মধ্যে অশ্বিনী নামক তারা আছে, সে তারার মাৰে নক্ষত্রভাগের নাম হুইয়:ছে । এই রূপ অল্পাঙ্গ নক্ষত্রভাগের নাম হুইয়াছে। প্রার আড়াই হাজার বৎসর অশ্বিনী-নক্ষত্র প্রথম নক্ষত্র হইয়াছে। পূর্বে কৃত্তিকা নক্ষত্র প্রথম ভাগ ধরা হইত। সে ধীড়ে চারি হাজার বৎসর পূর্বে অfরস্তু হুইয়াছিল । তৎপুর্বে রোহিণী প্রেথম ভাগ ধরা হইত। সে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বৎসর পূর্বের কথা। তৎপূর্বে কি ছিল, তাহ অঙ্কতি । প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদি নামে কিছু আসে যার ল। আসে যায়, নক্ষত্রের সীমায়। আদি ও অস্তে সীমা। আদি জানিলে অস্তও জনি বীর। কারণ স্থাদি হইতে ১৩'২৭" দূরে অন্ত। আরও বুঝিতেছি, যদি একটা নক্ষত্রের আদি জানিতে পারি, অতীষ্ঠ নক্ষত্রেরও আদি জানিতে পার যায় । ১৩২৭/ এপন জিজ্ঞান্ত, নক্ষত্রভাগ চিরকাল একই ছিল কি ? চিরকাল,—গত কালের পুরাবৃত্ত জানিতে পারা গিয়াছে। রবি-পথের পাঁশ্বে তারা না থাকিলে এই গ্রশ্নের উত্তরপ্রাপ্তি অসম্ভব হইত। পথপীশ্বের বৃক্ষ দেখিয় আমরা পথের নিদর্শন পাই, পথও মাপিতে পারি, স্নবি-পথের পী শ্বর তারা দেখিয়া রবি-পথ চিনিতে ও মাপিতে পারি। অশ্বিনী-সক্ষত্র, এই নখ হইতে বুঝিতেছি, অশ্বিনীতারা এই ভাগে অাছে। কিন্তু সে ভাগের আদিতে আছে, কি অন্তে আছে, কি মধ্যে কোন স্থানে আছে, তাহা বলিতে পায় যায় না। ম -নক্ষত্রভাগে ম -তীর আছে, কিন্তু সে ভাগের কোন স্থানে আছে, তাহা নাম হইতে জানিবার উপায় নাই। মনে করি, মহা-তাঁরা হইতে মঘা-নক্ষত্রভাগ হইয়াছিল । চিরকালই কি মহা-লক্ষত্রের আরম্ভ মঘা-তারায় ধরা হইত ? এই প্রশ্নের উত্তর কি উপায়ে পাওয়া যাইতে পারে ? অতিপুরীকালের কণা ছাড়িয়া দিই। উপস্থিত আলোচনায় তাহার প্রয়োজন নাই। বৃহৎসংহিতায় বরাহমিহির বুদ্ধ গর্গের মতে লিথিয়'ছেন, শকাব্দে ২৫২৬ লোগ করিলে যুধিষ্ঠিরান্স পাওয়া যায়। অর্থাৎ শকারস্তের ২৫২৬ বৎসর পূর্বে যুধিষ্ঠিরান্সের আরম্ভ। ইংরেজী সালে, ২৪৪৯ খ্রিষ্টপূর্বে। অন্ধটি কেন প্রসিদ্ধ হইয়াছিল ? যুধিষ্ঠিরের নাম যোগ হেতু মনে হয়, ধি-পু ২৪৪৯ অব্দে তিনি অপহৃত রাজ্য পুনঃপ্রাপ্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু এই বাখ্যার সমর্থক একটা উক্তিও পাওয়া যায় না । পুরাণ-রূপ পুরাবৃত্তে এই অব্দের উল্লেখ নাই। বৃদ্ধ গর্গ জোতিী ছিলেন। কেবল তিনিই যুধিষ্ঠিরের নাম করির গিয়াছেন । তিনিই কি যুধিষ্ঠিরান্সের প্রবতক ? তাহীও সস্তাবনা করিতে পারা বীর না । অস্বটি কেন স্মরণীয় হইয়াছিল ? এই প্রশ্ন আমায় কারণ প্রত্যেকের পরিমাণ
