পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• আমাদের শিক্ষণ ও অল্প-সমস্যা جھیلاپl\ সমস্ত স্বীপদ চুকে যাবে। ধৰ্ত্তমান শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলি প্রকাশ্লাভাবে বন্ধ করা যদি সম্ভবপর না হয়, ভব এই সম বিজ্ঞরা চীন যে পড়াশুন:র খরচ ততাধিক বড়িয়ে দেওয়া হোক, যাতে গরিব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ছেলেমেয়েরাপড়াশুনা লা করতে পারে। দেশের ভবিয়াৎ যাঁদের হতে, তাদের অশিক্ষিত রাখা লে সমস্তার সমাধীন হ’তেই পারে না, এটা সহজেই অনুমেয়। পরস্তু এত যে সনাজিক এবং রাজনৈতিক অনাচার বেড়ে যাবে এ-কথাও ঠিক । তই অনেকে য:লন বে এই পুথিগত বিদার ডিপোগুলা ভেঙে দিয়ে অর্থকরী fধদ্য শেখানোর ঘনবস্ত করা হৌক । কিন্তু এই অর্থকরী বিদ্যটি কি ? অর্থকরী বিস্তা এমন কোন যন্ত্ৰ হ’ণ্ড পীরে লা যাভে পয়সা ফেললে মুম্বাদু চকলেটর মত ভাল ভাল চাকরি বেরিয়ে আসূবে। এরূপ বিদ্যযন্ত্র কোনও দেশে অঙ্গি পর্য্যস্ত আবিষ্কৃত হয়নি এবং ভবিষ্কাতে হতে পারে বৈজ্ঞানিকেরা এরূপ কোন আশ্বাসও দেন না । অনেকের মতে শিল্প ও বাণিজ্য সঙ্গন্ধে শিক্ষই হচ্চে আজকাল অর্থকরী বিদ্যা। ভাই সাধারণ শিক্ষার কলেজগুলির বদলে শিল্পশিক্ষার কলেজ তৈরির উপদেশ অসেকেই দিয়ে থাকেন । কিন্তু শিল্পশিক্ষার কলেজ করলেই fক আমাদের অল্প-সমস্যার সমাধান হবে ? পাশ্চাত্য দেশে শিল্পের বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পশিক্ষা পরিপুষ্টি লাভ করেচে কিন্তু আমীদের এই কৃষিপ্রধান দেশে শিল্পের প্রভীম অর্থনৈভিক জীবনের ওপর খুবই কম। আবার শিল্প-বাণিজ্যের অনেকগুলি প্রতিষ্ঠানই অবাঙালীর হাতে। সুতরাং আমীদের দেশের শিল্পশিক্ষাগারগুলির এরূপভাবে বিস্তার হওয়া উচিত যাতে বাংলার শিল্পের প্রগতির সঙ্গে তাদের সীমgস থ'কে । কারণ কোন প্রতিষ্ঠানই কার্যকরী হতে পারে না, যদি-না পারিপার্থিক অবস্থা ভার অনুফুল হয়। বেীকের মাথায় অনেকগুলো শিল্পশিক্ষাগার প্রতিষ্ঠা কয়ু লই দেশের ব্যবসার ও শিল্পের উন্নতি হবে না, শুধু নুতন এক শ্রেণীর বেকারের দল শুষ্ট হবে মাত্র । ইউরোপ ও আমেরিকার প্রসিদ্ধ শিল্পশিক্ষাগার থেকে ৰোগা শিক্ষা লাভ করেও অনেক বাঙালী যুবক আজকাল অন্নসংস্থান করতে পায়ুচেন না। এই শ্রেণীর বেকরের সংখ্যা বুদ্ধিই কি অর্থকরী বিদ্যার প্রকৃত উল্পেগু ? শিল্পশিক্ষা সঙ্গ.স্ক যা বলা হ’ল, বাণিজ্যশিক্ষা ও কৃধিবিদ্যশিক্ষা সম্বন্ধও তা মোটামুটি প্রযোজ্য। এ-কথাও সূতা বে আজকালকার দরুণ প্রতিযোগিতাঁর ফলে ইউরোপীয় ব্যবস্থার খরচ কমানেীর অংশীয় বেশী মাইনের ইউরোপীয় কৰ্ম্মচারীর বদলে বাংলা শিক্ষিত ও যোগ্য বাঙালী রাধুতে বাধা হবেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত এই সব ব্যবস্থা ঘটে ওঠে নি। বি-কৰ্ম্ম ডিগ্রীরূপমূলধন নিয়ে আমাদের ছাত্রের ধে নিজেরাই ব্যবসা করতে পারবেন গে-অাশাও কম ; কুতরাং সাধারণ উচ্চশিক্ষার কলেজগুলি বাণিজ্যশিক্ষর কলেজ পরিণত ক’লে বেকার বি-এ, বি-এসসির পরিবর্কে বেকার বি-কমের সংখ্যাই বেড় ধীৰে। কেউ কেউ মনে করেন যে, এই কৃষিপ্রধান দেশে সাধারণ উচ্চশিক্ষার কলেজের বদলে.কৃষিবিদ্যা শিক্ষার কলঙ্ক স্থাপন করলেই আমাদের অর্থাগমের পথ স্থপ্রশস্ত - হবে ; কিন্তু এদেশের জমিস্বত্ব এতই গুটিল এবং কৃষিকার্যে এত লোকই নিযুক্ত আছে বে, উরতভাবে কতকটা আমেরিকার প্রথাতে চাষ-আবঙ্গ চালানো খুবই কঠিন এবং যদি তা সম্ভবও হয় তৰু অনেক চাষীর ভীত মারী যাবে এবং ভাদের বেকার-সমস্তা এমন ভীষণ হবে যে,ভীত্তে সমাজবিপ্লব পৰ্য্যন্ত হ’তে পারে। ৰূমিকলেজ থেকে উত্তীর্ণ যুবকেরা সাধারণ চাষীর সত্ত অল্প জমি নিয়ে চাষবাম ক’রে তাদের অন্নসংস্থান কল্পকেন এ ভরসাও কম। এ-কথা সভা বে কলিকাতার উপকণ্ঠে শাকসব্জী কিংবা মাছের চাষ করে কেউ কেউ কেরানীগিরির চেয়ে বেণী রোজগার করেন, কিন্তু এরূপ ব্যবসায়ের হযোগ কম এবং এর প্রধান মুস্তিল হচ্ছে ঠিকভাবে বেহুবার। অনেক স্থলেই ব্যাপারীরা সমস্ত লভি থেয়ে ফেলে এবং উৎপাদকের ভাগ্যে বিশ্যে কিছুই থাকে না। "নিফিরির কানে সোনা জেলের পরণে ট্যানা’ এ-কথাটা আপনার সকলেই শুনে থাকৃবেন। যদিও কৃষি, শিল্প অথবা বাণিজ্য সম্বন্ধীয় উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন অপেক্ষীকৃত সঙ্কীর্ণ, উচ্চ এবং মধ্য ইংরেজী স্কুলে সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি ও শিল্প শিক্ষার বথেষ্ট