পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԱՊԱ, হোমিওপ্যাথি ? গোপীনাথ আমার বিশ্বাম ছিল তুমি এক জন স্পোর্টল্যান ? গোপীনাথ সঙ্কুচিত হইল, বেহারী হিন্দু সে ; হোমিওপ্যাধি হইতে ভলপড়া, স্বপ্নাদ্য মহলি সবই তার মনের মধ্যে বিশ্বাস জন্মায় । বিশেষতঃ স্পোর্টস্ম্যান-গিরির সঙ্গ হোমিওপ্যাথির যে কি অহি-নকুল সম্বন্ধ তাহা সে বুঝিয়। উঠতে পারিল না। রোগ বিধিব্যবস্থামত বৃদ্ধি পাইত লাগিল । প্রথমে সকালবেল ১•১ ডিগ্রি এবং সন্ধ্যাবেল ১০৪ ডিগ্রি জর উঠিল। নাড়ীর স্পন্ন বাড়িল । কয়েক দিন পরে জর একটু কমিল, কিন্তু আবার ১০৩ ডিগ্রি হইতে আরম্ভ হইল । জিহবায় সাদা আবরণ পড়িল, ক্ষুধা কমিয় গেল। কিছু খাইলে তলপেট কাপিয়া বেদন হইল। দ্বিতীয় সপ্তাহে তলপেটে পিচুর কামড়ের মত লাল দাগ পড়িল ; eিহবা ও ওর্টে কাল মামূড়ি পড়িল । অন্ধ হইতে অল্প অল্প রক্তস্রাব হইতে লাগিল । সোটের উপর ডাক্তারী-পাস্ত্রে লিখিত সমস্ত লক্ষণগুলি অ,শচর্য্যন্ধপে প্রকাশ করিয়া, কিন্তু ডাক্তার বেশৃগার্ডের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্ণ করিয়া গোপীনাথের স্ত্রী এক সন্ধ্যায় প্রাণত্যাগ করিল। সকলে মিলিয় মহাসমারোহে মৃতদেহ সৎকার করিতে লইয়া গেল। গোপীনাথকে ডাক্তার সত্যই ভালবাসিত ; তাই সেও নিন্দ্রে সঙ্গে গেল। গোপীনাথ ভালুকীকে কোলে লইয়া মৃতদেহের অনুসরণ করিতেছিল। ডাক্তার বেলুগার্ড তাহার স্কন্ধ স্পর্শ করিয়া চুপি চুপি বলিল, 'গোপীনাথ, দমিও না। খেলাতে হারজিৎ আছেই। মনে রাখিও তুমি এক জন স্পোটসম্যান’ ’ কাঞ্চন-নদীর তীরর শহরের শ্মশানঘাট। বর্ষ। তখনও আরম্ভ হয় সাই। নদীতে জল নাই বলিলেই চলে। বহুদুরবিস্তৃত বালুরেখার মধ্য দিয়া ক্ষীণ জলরেখাগুলি অ'কিয়া-বাকিয়া প্রবাহিত হইয়াছে। নদীর এদিকট অন্ধকার । দূর হইতে তারকার স্তিমিতালোকে বালুয়াশিকে সহসা স্থল বলিয়া ভ্রম হয়, মনে হয় নদীর্টা কত প্রশস্ত ; কিন্তু নিকটে অধিলে দেখা যায়, এ নদী নয়, নদীর কঙ্কাল মাত্র ; কিছু দূরে উচু পাড়ে বেড়াহীন একখানা শুণ্ঠ টিনের ঘর ; শ্মশানঘাত্রীদের বিশ্রামের জন্ত । তার নীচেই "প্রবাসীস্ট ఏ38ఏ পাতলা কাঁশবন । তারপর বালুচর, এখানে-সেখানে ཙམ་ཞུ། ། কলসী, অৰ্দ্ধদগ্ধ কাষ্ঠথও কিংবা মনুষ্যffস্থ দেশিয়া মনে হয় একটি শ্মশান। চারিদিকের নির্জনতা, ঘনীয়মান অন্ধকার, দূরে রায়সাহেবের ভূতের বাড়ি ও প্রকাও অশ্বথগাছ, শ্মশানোটিত একটু ভয়ও স্বষ্টি কর । গোপীনাথের স্ত্রীকে চিতায় তুলিয়া দেওয়া হইল ; জানুর্কী মুখে আগুন দিল এবং সকলে মিলিয়া মহা উৎসাহে মড়া পোড়:ইত লাগিল। গোপীনাথ নিৰ্ব্বাক হইয়া সব বেধিল । চুল পুড়িয় গেল ; দগ্ধচন্মের দুৰ্গদ্ধে শ্মশানের বাতাস বিষাক্ত হইয়া উঠিল। সে জানকীকে লইয়া দূরে অন্ধকারের মধ্যে গেল । কাঞ্চনের সিকতাময় বাক্ষর উপর দিয়া তাহীর দৃষ্টি বহুদূর প্রসারিত হইল। সে ভাবিল, তাই ত, নদীর এই থালি বুকটা একটা প্রকাও খেলার মাঠ। এখানে ভূতপ্রেতর মড়ার মাথার খুলি ও হাড় লইয়া ডাণ্ডীগুলি খেলে । হঠাৎ অদূর পুলের উপর দিয়া একটা ট্রেন ‘সার্চ লাইট ছড়াইয়া হল হুস করিয়া চলিয়া গেল। দূর ছাই । সে কি ভাবিতেছে । গোপীনাথ উপরের দিকে চাহিল। অসংখ্য তরিকা এখানে-সেখানে ছড়াইয়া আছে । আকাশটাও কি একটা থেলার মাঠ ? তীয়কীগুলি কি খেলিবরি গুলি ? সেই সীমাহীন ময়দানে বসিয়া বিধাতাপুরুত্ব একটাতে আর একটা কিয়া খেলা করে । একটা উক্ষা তীক্ষণ বে:গ ছুটিত চুটিতে জলিয়া ছাই হইয়া খুন্যে মিলাইয়া গেল। সে ক্রমশ চঞ্চল হইয়া উঠিল। নিঃশ্বান জোরে জোরে পড়িতে লাগিল । সে ঘন ঘন পায়চারি করিতে লাগিল । যত রকমের থেলার কথা তহিীয় মাথার অসি:ত লাগিল । কখন-বা জানুকীকে জড়াইয়া যরিয়া চুমো থাইল । মেয়ে বাপের এই অদ্ভুত আচরণ বেধিয়া ভীত হইয়া বলিল,— বাবুজি, মীর কাছে চল । ডাক্তার বেলগার্ড ঠিকই বলিয়াছে জীবনটা একটা ধেলীর মাঠ। মানুষ এক দল কিন্তু আর এক দল কে ? সে এবার থেলায় হরিয়াছে—নিতান্তই হরিয়াছে। কিন্তু হয়েকে সে খেলোয়াড়ের মত লইতে জানে। কিন্তু ভগবানের একি বিচার ( না-হয় তিনি খেলোয়াড় তাল, না-হঃ