পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હ્યમનાથ . ग्न" ية ভটচার্য বললেন-ঠিকই বলছি বউ বুঝিয়ে দিই তোমাকে । বিমল ব্যবসায়কৰ্ম্ম ত আজ থেকেই আরম্ভ করছে না। এ কৰ্ম্মে যাত্রা করেছে ও অনেক দিন আগেই—শুভদিন শুভক্ষণেই সে ও আরম্ভ করেছে। এটা হচ্ছে মধ্যপথে সেই যাত্রাতেই একটা ছোট যাত্রা আর কি। ধর না, যেমন তুমি শুভ দিন ক্ষণ দেখে যাত্র করলে তীর্থে। পথে গাড়ী বদলের সময় পড়ল বারবেল কি একটা খারাপ লয় । সে ক্ষেত্রে গোবিন্দ স্মরণ করে বামনমূৰ্ত্তি চিন্তা করে যাত্রা করলেই দোষ খণ্ডন হয়ে যায় । বিমলের হাসি পাইয়াছিল। অতি কষ্টে সে আত্ম-সংবরণ করিয়া রহিল। গিন্নী কিছুক্ষণ নীরব থাকিয়া বলিলেন— তা হ'লে তুমি অনুমতি দিচ্ছ ত ? ভট্টাচাৰ্য্য বলিলেন—হঁ্যা আমি দিচ্ছি—তুমিও দ্বিধা না ক’রে আশীৰ্ব্বাদ ক’রে অনুমতি দাও ।...ই--আর গোবিন্দের চরণে পাচ পাতা তুলসী—সেটাও বরং ব্যবস্থা করা ভাল, বুঝলে । গিল্পীর যেন ব্যবস্থাটা এতক্ষণে মনঃপূত হইল । হৃষ্টচিত্তে বলিলেন—সেই ভাল । তা হ’লে আর আমার মনে কোন খুত থাকবে না । তুমি ত সহজে সে ব্যবস্থা করবে না। বিমল, নায়েবকে তুই তা হ’লে ডেকে দে আমার কাছে । বাগল সেকরার কাছে গড়ান মজুতই আছে সোনার তুলসীপাতা—ওজনটোজন দেখে নিয়ে আমুক । বিমলের মনট। কিন্তু খুত খুত করিতে লাগিল । এমনি করিয়া যাত্রার লগ্ন শুদ্ধ করিতে হইলে যে অবশেষে দিন দেখিবার জন্ত পাজি কেনার পয়সা জুটিবে না । টিকি ও ফোটার উপর বিরূপ সে চিরদিন । কিন্তু আজ আর সে-বিরূপতা ঘৃণা ও বিতৃষ্ণায় পরিণত না হইয়৷ পারিল না। ভটচায বলিতেছিলেন তাহার মাকে—তোমার ত সব জানাই আছে—কি-কি লাগবে । পঞ্চগব্য-পঞ্চামৃত— নৈবিদ্যি, আর কাপড় একখান । কাপড়খান দশ গজ শাড়ীই যেন আনে। কাপড় কাপড় ক’রে আমাকে জালিয়ে খেলে বাপু । বিমল ঘৃণাভরে সে স্বান পরিত্যাগ করিল। স্থির করিল এবার কলিকাতা হইতে ফিরিয়া ভট্টাচার্যের ব্যবস্থা একটা করিতে হইবে। মনে মনে বলিল-দাড়াও--- .ঞ্চহিত । ፅዕ SSTSSAAAAAAS LAAA SASS SSSAAAAAASTLAS AS AAAAAASLL তোমারও যাত্রার দিন আমি দেখছি । অগস্ত্য যাত্র-কিংব। ত্র্যহম্পর্শ কি মধাই হবে প্রশস্ত দিন । + 농 * মাসখানেক পর বিমল দেশে ফিরিল। মনটা খুশীই ছিল। টেণ্ডার তাহার মধুর হইয়াছে। পাচ পাত সোনার তুলসীপুত্রের জন্য ক্ষোভটা কমিক্স গিয়াছে। আর কথাটা তাহার মনেও ছিল না । কাঞ্জের ভিড় অভ্যস্ত বেশী। বিষয়পত্র কোথায় কি সে-সব জানিবার জন্য বিপুল পরিশ্রম তাহাকে করিতে হইতেছে। বাল্যকাল হইতে লেখাপড়ার জন্ত কলিকাতায় মাসির বাড়িতে মানুষ হইয়াছে । তাহার পর মাসতুত ভাইদের দেখাদেখি কয়লার ব্যবসায় আরম্ভ করিয়া কৰ্ম্মজীবনও কলিকাতায় কাটিতেছিল । এমন সময় পঞ্চানন রায় হঠাৎ মারা গেলেন। অকস্মাৎ বিষম্ব জমিদারী ঘাড়ে পড়ায় সে বিব্রত হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু কাটার মুখে সান দিতে হয় না । বিষয়ী ঘরের ছেলে সে– নিজেও ব্যবসায় বুদ্ধিতে থানিকট সাফল্য লাভ করিয়াছিল -- তীয় চতুরতার সহিত সব দিক গুছাইয়া লইতে তাহাকে বেগ পাইতে হইবে বলিয় তাহার মনে হয় না। তবে কলিকাতায় ব্যবস আর এখানে জমিদারী-দুই দিক লইয়াই হইয়াছে মুস্কিল। মা বলেন—কাজ কি বাপু তোর ব্যবসায় ? জমিদারের ছেলে জমিদারী কর । যার যা কাজ বুঝলি ? বিমল হাসে । জমিদার । হাজার-পাঁচেক টাকা আয়ের জমিদার। চামচিকাই বা তবে পানী নয় কেন ? স্ত্রীও তাই বলেন। কাজ কি বাপু ব্যবসায় ? বিমল মনে মনে বলে—দাড়াও ন বছর দুই তোমাকে কলকাভার জল থাইয়ে আনি । তারপর আবার শুনব তোমার भज ! যাক্ । - সে-দিন ভোরেই তাহার খুম ভাঙিম্বা গেল খুকীর কান্নার শব্দে। খুকী তাহার আট বছরের মেয়ে স্বযম । কান পাতিয়া শুনিয়া মনে হুইল দক্ষিণের জানালার নীচেই বাগান হইতে কাল্পটি ভাসিয়া আসিতেছে। সময়টা কাৰ্ত্তিক মাস। ঠাণ্ড পড়ার জঙ্ক জানালাট বন্ধ ছিল। জানালাটা খুলিতেই নজরে পড়িল খুকী বুদ্ধ ভটচাযের পিছনে পিছনে কাদিতে কুঁদিতে ছুটাছুটি কুরিতেছে বুদ্ধ ভটচায় ৪ লক্ষ শ -4