পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ^SR સંરક রাজপ্রতিনিধিকে অভ্যর্থনা করিবার জষ্ঠ পেরুর রাজধানী গীমার রাজপথ রৌপ্যমণ্ডিত হইছিল। স্পেনীয়গণ অভিধানের জন্ত যে জাহাজ ব্যবহার করিত তহরিও গঠন ছিল অত্যন্ত উন্নত প্রকারের ; ইহা করুিকার্যখচিত ও বিশাল দুর্গের আকৃতিবিশিষ্ট । সুতরাং তহীর গতিশক্তি ছিল অতিশয় মন্থর। পক্ষান্তর স্পেনীয় চলদ?াগণ যে জাহাজ বিচরণ ফুয়িত তাহা অত্যন্ত হলুক এবং তীব্র গতি-fক্ত সম্পন্ন ; সুতরাং এ সকল স্বর্ণভাৱে মন্থরগতি স্পেনীয় জাহাজ মুণ্ঠন করিয়া পলায়ন করা তাহীদের পক্ষে দুরূহ ছিল না । উপরন্তু স্পেনীয় জাহাঙ্গ সুণ্ঠন করা তখনকার কালে । সপ্তদশ শতাব্দীতে ) ভদ্রলোকের বৃষ্টি বলিঃ পরিগণিত হইত। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। এই কার্য্যে যথেষ্ট শ্লাখ বোধ করিতেন। সার ফ্রান্সিস ড্রেক এই শ্রেণীর দয়া ছিলেন ; তিনি যে জাহাe টি লইয়া প্রশস্তি-মহাসাগরের-গমন-পথ অবরোধ করিয়া থাকিতেন তাহার নাম “গোল্ডেন হিন্দ", ইহার পতাকা ও দণ্ড রৌপ্যনির্থিত ছিল। প্রায় বাটটি জাহাজ ভঁাহীর অধীনে কাজ কল্পিত । এই জলদসু্যগণ তাহদের লুষ্ঠিত অর্থ স্বদেশে লইয়া বাইত না ; প্রশান্ত মহাসাগরের কোন দ্বীপে অথবা সমুদ্র-উপকূলে লুকাতি রাধিত । ঐতিহাসিকগণ মনে করেন যে এই দ্বীপই বর্তমান প্রবন্ধে বর্ণিত কোকস দ্বীপ। 'ইন্‌ক' যুগের বহু পুৰ্ব্বে পেরু দেশে এক জাতির লোক বসবাম কল্পিত, ইহার। সমুদ্র-উপাসক ছিল । স্বর্ণনিৰ্ম্মিত একটি প্রকাও মকরমূৰ্ত্তি সেখানে পাওয়া গিয়াছে ; প্রায় তিন কোটি ডলার মুলো উহাকে বিক্রয় করা হুইয়াছে। কোকস্ দ্বীপে লুকায়িত পেরুর ধনরাশি কোক দ্বীপ জলদ্বয়েদের গুপ্ত ভণ্ডারের অন্ততম স্থান। এই গুপ্ত ভণ্ডারের কথা ১ওঁ৮৩ খৃষ্টাব্দ হইতে নাবিকগণের জ্ঞাত ছিল। এই সময় তিন জন বিখ্যাত নৌ-অধ্যক্ষ–কুক, ডেভিস এবং ডাম্পিয়ার এই গুপ্ত রত্ব উদ্ধারের আশীর বহির্গত হন ; কিন্তু গুপ্ত ধনভাণ্ডার আবিষ্কারের পূৰ্বেই ক্যাপ্টেন কুক মৃত্যুমুখে পতিত হন । সুতরাং আবিষ্কারের ভার ডেভিসের হস্তে দ্যস্ত হয় fহার জাহাঞ্জের নাম ছিল “ব্যাচিলর্স ডিলাইট”। ே ఏ38S পূৰ্বেই বলা হইয়াছে 'ইস্কী’দের সময় মুদ্রাহিসাবে স্বর্ণ ! ব্যবহৃত হুইত না। উহার ঔজ্জ্বলাই সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করিত এবং ইহা হইতেই ‘ইস্কাগণের জ্যোতিৰ্ম্ময় স্থৰ্যদেবতার মুক্তি ও মন্দিরের পরিকল্পনা করা হইয়াছে। ‘ইস্কrদের এই রীতিনীতি পেরুর স্পেনীয়গণও কিৎ পরিমাণে গ্রহণ কল্পিরছিল এবং তদনুসারে তাহদের উপাসন-মন্দিরের স্বর্ণবী লিস্থিত হইত। পেরুর রাজধানী সীমা নগরীর একটি পূর্ণ পবিমাপের ম্যাডোনা ও গীঠের দ্বাদশ জন শিবের হৈমমূৰ্ত্তি ইহার সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে । টমসনের কাহিনী সাধারণের বিশ্বাস, এই মুক্তিগুলি ও তৎসঙ্গে বহু পরিমাণ ধনরত্ন, মণিমুক্ত ও স্বর্ণ কোকসু দ্বীপের কোনও গুপ্ত গহ্বরে নিহিত আছে । লাম নগরীর পেস্থানে এই মুঞ্জিগুলি প্রতিষ্ঠিত ছিল এখনও তাহার হি বিদ্যমান রহিয়াছে ৷ যে-সকল ব্যক্তি এই ধনভাণ্ডার অপহরণ করিয়া অস্ত্যত্র স্থানান্তরিত করিপ্লাছিল তাহীদেরও বিsীর ও প্রাণদণ্ডের বাবতীয় ইতিবৃত্ত রাজধানীর সেরেস্তথৈানীয় অদ্যপি রক্ষিত আছে। এক শত কুড়ি বৎসর পূৰ্ব্বে যখন এই সকল ঘটনা সংঘটিত হয় ও ধখন স্পেনীর আমেরিকানগণ স্বদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণা করে তখন বোলিভার নামক এক ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্রে হসজ্জিত হইয়া রাজধাণীর দিকে অগ্রসর হইতে থাকে ; আমেরিকামসী এই স্পেনীয় নিজেকে দেশের ত্রাণকৰ্ত্তা বলিয়া ঘোষণা করেন ; এমন কি ইনি কলম্বিয়া ও ভেনিজুয়েলায় দুইটি সাধারণতন্ত্রের প্রতিটা করেন । ইহাতে নগরের কর্তৃপক্ষগণ বিশেষ ভীত ও বিচলিত হইয়া পড়িল ; তদনুসারে দেশের অধিবাসিন্ম একটি সভা আহ্বত করিয়া অনতিবিলম্বে বিভিন্ন দেবমন্দিরের স্বর্ণরৌপ্য ও মণিমুক্ত এবং রাজ্যের কোবাগারে রক্ষিত যাবতীয় ধনৰত্ন আট মাইল দূরবর্তী কালাও (Calho) দুর্গে স্থানান্তরিত করিতে মনস্থ করিল। নগরের সাধারণ অথিমাসিগণ তখন তাহীদের নিচস্ব অর্থ দিও এই সঙ্গে উক্ত নিরাপদ স্থানে প্রেরণ করিতে স্থতসদল্প হইল -~ এই সময়ে কালাও বন্দরে টমসন নামক এক জন ব্রিটিশ