পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

عي!٤)

  • につ8>

মাকেই বা বলব কি করে আমি । গজায় ঘেন্নায় মাথাটা আমার কাটা যাচ্ছে যে ! ছি ! ছি ! ৰিমলের ইচ্ছা করিল র্যাক হইতে বন্দুকটা লইয়া নিজের বুকেই দাগিয়া দেয় । দুই হাতে মাথা ধরিয়া সে বসিমা রহিল। কিছুক্ষণ পর সে গুনিল—ভটচাযের কণ্ঠস্বর । -—কই—সে শালী ক্ষই গো বউঠাকরুণ ? গিল্পী গদগদ ভাবে বলিলেন—কি হ’ল আজ আবার সধীর সঙ্গে ! –ভারি দুষ্ট হয়েছে সে বউ । গোবিনজীকে বলেছে ছাই কালে । বাল্যভোগের প্রসাদ আনলাম—চরণাম্মেত এনেছি । সঙ্গে সঙ্গে খুকীর ক্ৰন্দনধ্বনি শোনা গেল । তারপরই ভটচাষের তীব্র তিরস্কার প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিল--খবরদার বউ-ম, খবরদার । কেন মারবে ওকে তুমি ! মার বউঠাকরু৭, বউটাকে এক চড় তুমি কসে দাও। তারপর মস্নেহকণ্ঠে তিনি বলেন—র্কেদ না ভাই সখি, কেজ না তুমি। এস আমার সঙ্গে এস। বাল্যভোগের প্রসাদ খেতে খেতে গল্প শুনবে এস । এস ভীম কি ক’রে বক রাক্ষসকে মেরেছিল বলব এস । খুকী খিল খিল করিয়া হাসিন্ধা উঠে—খলে—সেই পায়েস থেতে থেতে— কথা তাহার সম্পূর্ণ হয় না। কলম্বর হাসি চক্‌মিলান বাড়ির খিলানে খিলানে জলতরঙ্গের মত বাজিয়া বাজিয়া ੇ । ভটচাষ বলেন—বউম তোমার আজকাল দেবসেবায় এমন জবছেগা হ’ল কেন বল ত ? আগের মতন ত কই— গিল্পী বাধা দিয়া বলেন - তুমি এক এক সময় এমন কথা ব’ল ঠাকুরপো । বিমল বাড়ি রয়েছে এখন— হা হা করিয়া হাসিয়া ভটচাখ বলেন-বুড়ো হয়েছি কি-না বউ। তা স্বামী-সেবা করা ভাল-পরম ধৰ্ম্ম । বিছানার উপর বিমল লাফ দিয়া উঠিয়া বসিয়া বলে ক্ৰট । ভটচাষ বলেন—তুলসী ক-পাত গড়ন আছে ত ? 粥 ↔終 彎 নিরুপায়ে মনের ঘা মনে রাখিয়াই বিমলের দিন কাটিতেছিল। যেখানে সমস্ত সলার বিরোধী সেখানে সে ছাড়া উপায় কি ? তাহ ছাড়া অার একটা দিকও ছিল । জা একদিক দিয়া বিপুল পরিতুষ্টিতে মন তাহার ভরিয়াছিল জমিদারী ও ব্যবসায়ে আশাতীত সাফল্য তাহাকে এ-দিকট যেন ভুলাইমা দিয়াছিল । সম্পত্তির পর সম্পত্তি সে কিনিয় চলিয়াছে । সে-দিন নায়েব বলিল—সরকারদের লাট খড়বোন বিক্রী হচ্ছে বাৰু । লাটখড়বোন ! বিমল লাফাইয়া উঠিল । লাটখড়বোন যে সোনার সম্পত্তি ! এ চাকলায় এমন সম্পত্তি আর নাই তাহা ছাড়া যে-গ্রামে বিমলের বাস সে-গ্রামখানিও লাট খড়বোনার অন্তর্গত । নিজে জমিদার হইয়া অপরের জমিদারীর মধ্যে প্রজ হইয়া বাস করার আক্ষেপ ও লজ্জা আজ তিনপুরুষের মধ্যে মিটিল না। নায়েব বলিল—রত্নপুরের চাটুজ্জেরা না-কি কিনছে । বিমল বলিল—এক্ষুনি যান আপনি সরকারদের ওখানে । নায়েব হাসিম বলিল-কাল রাত্রে শুনে রাত্রেই আমি সেখানে গিয়েছিলাম । --তারপর ? —কথাবাৰ্ত্তা একরকম কয়ে এসেছি । পয়ত্ৰিশ হাজার টাক দাম চায়। চাটুজ্জেরা তেত্রিশ হাজার কথা কয়ে গেছে। বড় সরকার বললেন পরশু পৰ্য্যন্ত দলিল রেজেস্ত্রী ক’রে কাজ শেষ করতে হবে । কাল সন্ধ্যে পর্ষপ্ত টাকা দিয়ে রাত্রেই দলিল লেখাপড়া শেষ করতে হবে, নইলে আর হবে না। চাটুজ্ঞের পরশু টাকা নিয়ে আসবে। বিমল বলিল-আস্থন আমার সঙ্গে । বাগল সেকরাকে ডাকতে পাঠান । সিন্দুক খুলিয়া বিমল দেখিল মজুত মাত্র দশ হাজার। ব্যাঙ্কের খাতায় মজুত বার হাজার দু-শ পচিশ । কথাটা শুনিম্ন মা - স্ত্রী আপনাদের গহন বাহির করিয়া দিলেন । বাগল স্বর্ণকার , ওজন করিয়া মূল্য অনুমান, করিল-হাজার জাষ্টেক। এখনও চাই পাচ হাজার । গুণ সংগ্রহের সময় নাই । মধ্যে মাত্র ঘণ্টা-ত্রিশেক সময় । বিমল মাথায় হাত দিয়া ৰসিয়া পড়িল । } , সকল তাহার মাথায় বিদ্যুক্তের মত একটা কথা খেলিয়া গেল। দেবোত্তরের খাঞ্চ সে দেখিয়াছে বিগ্রহের