দুশমন
শ্ৰীঅমিয়কুমার ঘোষ যাইবার সময় ঘূনীষ্টয়া আসিল । দয়াময়ী সদর পর্যন্ত আসিয়। বধূকে বিদায় দিয়া বাইকা। বধু প্ৰণাম করিয়া তাহার পদধূলি গ্রহণ করিল। তিনি বলিলেন—দেথ মা, যেন পত্তর দিতে দেরি করো না । হুপ্তায় একখানি ক’রে পত্তর পাই যেন । আর দু-ঠায়ে দু-জন হয়ে গেলেই লোক পাঠিও, মাদুলি নিয়ে যাবে-বাবা নকুলেশ্বরের মাছলি ! মানত আছে আমার—ছেলের গলার বাঁধতে হয় – একটু চুপ করিয়া তিনি পুনরার বলিতে লাগিলেন— ল বাপু, সুরেনটাকে নিয়ে আর পরিা গেল না । আকেল যা হোক ছেলের আমার ! পইপই ক'রে বলে দিলুম ত ড়াতাড়ি পন্ধি নিয়ে আসতে-বারবেলা পড়ে থাবে কিন্তু ছেলের এখনও দেথা নেই ! সদর রাস্তায় যেতে যেতেই সন্ধে হয়ে যাবে। যাক, এবার তিনি আশ্বস্ত হইলেন। দূরেই দেথা যাইতেছিল পুত্র হরেন পাঙ্কি লইয়া হনু-হন করিয়া আসিতেছে । পাপ্তি আসিয়া গেল। দয়াময়ী বধূকে পাহুিতে তুলিয়া দিলেন। পোটলা-পুটলিগুলিও উঠিল। তিনি পুনরায় ইষ্টদেবতাকে স্মরণ করিয়া পুত্র ও পুত্রবধূকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । পাঙ্গি চলিতে আরম্ভ করিল। দয়ামীর যতদূর দৃষ্টি ধায় দাড়াইয়া দাড়াইয়া দেখিলেন—তাহার পর আপনার গৃহকৰ্ম্মে চলিয়া গেলেন। সুরেন 'পান্থির পিছনে পিছনে চলিতে লাগিল। এমনি ভাবে ক্রেশথানেক পথ চলিবার পর তবে সদর রাস্তা। সদর রাস্তায় পাঙ্কি ছাড়িয়া গরুর গাড়ী মিলিবে । গরুর গাড়ীওয়ালীদের বায়না দেওয়া আছে। তাহারা সেখানে অপেক্ষা করিবে । গরুর গাড়ী করিয়া বলুহাটির পণ সাত ক্রোশ ঘাইতে হইবে •••এমনি ভাবে পান্ধি চড়িয়া যাইবার স্বত্রে তাঁহার এক দিনের ঘটনা মনে পড়িল । ঘটনাটা বছর-পাঁচ-ছয়েক পুৰ্ব্বেকার। স্বরেন সেদিন বিবাহ করিয়া বধু লইয়া ফিরিতেছিল । কমলার তথন বয়স কতই বা r দশ কি এগার । কমলার স্বাক্ষ্মীয়স্বজনেরা তাহকে ঘোমটা দিয়া বেশ বধু সাঙ্গাইয়। দিয়াছিল। কিন্তু পানিক দূর যাইতে-না-যাইতেই সে টানিয়া ঘোমটা খুলিয়া ফেলিয়ছিল। এবং তাহার পর আছড় মাগায় পান্ধির দরজা খুলিয়া এদিক-ওদিক তাকাইতেছিল। যাইতে বাইতে সে বহুবার তাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিল—মৌরীগ এখনও কদূর –পাক্তি গ্রামে - , চুকিলে মে এদিক-ওদিক দেখিয়া বলিরাfছল—তোমাদের গাথান তো মূলদ নয় ? ধোধেদের দীধি দেখিয়া বলিয়াছিল—ওমা এটা কি ? কত বড় পুকুর ? নদী নাকি গে ? শেয নেই যে ! তাহীর খানিক পরে রথডলার পাপ দিয়া যখন পাঙ্কি চলিতেছিল তখন সে একধারে টনের চালার রক্ষিত প্রকাও রথগুলি দেখিয়া বলিয়াছিল— এ fক, তোমাদের এখানেও রথ হয় নাকি ? মেলা বসে ? আচ্ছা বলতে পার সাদা সাদা পুতুল—কেষ্ট ৱীধা-পাওয়া যায় ? মাটির নয় গো, মাটির নয় ! তুমি জান না।. সুধীদের বাড়ি প্রশম দেখি। সে বিষ্ণুপুরের রথ-তলার মেলা থেকে কিনে এনেছিল ! পাওয়া যায় ? ব’ল না ?-- কিন্তু সুরেনের বিপদ হইয়াছিল কমলার মুখ বন্ধ করিতে। অনর্গল সে বকিয়া* চলিয়াছিল । তাহার মনে পড়ে, তাহদের গ্রামের আর দুটি বরবধু কি করে, অতটা পথ, তাই আসিবার সময় পাঙ্কিতে গল্প করিতে করিতে BBBBBS BB BB BBBS BB BBBBS সে কথাটা সবার নিকট ফাস্ করিয়া দিয়াছিল। তাহার পর তাহদের আর গ্রামে কান পাতিবীর জে ছিল না। বিপদ হইয়াছিল সুরেনের—i কিন্তু সুরেন অক্তি কমলার ব্যাপারটি বেশ উপভোগ
