পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা একটু বিক্ষিত হইল। নিমিযে আপনার বসনকে একটু শাসন করিয়া সে লজ্জ-কম্পিত স্বরে বলিল-স্থা। বধুটি বলিল—আর ছেলেপুলে হয় নি ? সে বঙ্গিল-না। কথাটা শুনিয়া বউটি আপনিই বলিতে লাগিল—তা তো ঠিক। আর কি ক’রে হবে। তুমি তো একদম ঢেলেমানুষ। মহা 1 তা বেশ : বেশ ! সত্যি তুমি ভাগ্যিমানী। তীক্তrর পর সে অকস্মাৎ থামিয়া গেল। খামিয়া গিয়া অতি সস্তপণে একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলি। কমল! বেশ শুনিতে পাইল সেই দীর্ঘনিঃশ্বাসের শব্দ । কি করুণ, কি মৰ্ম্মসূদ সেই শব্দের সঞ্চার ! বউটির বুকের পাজরাগুলি দেল ঝড়ের মুখে গাছের শুকনো ডালপালার মত গা-ধ। করিয়া উঠিল। ওর দুটি চোখে বেদনার একটি লেলিহান শিপা ফণা তুলিয়া ধরিল --- ছইয়ের সম্মুখে, শকট-চালকের পিছনে বখারির সহিত দড়ি বধিয়া একটি লণ্ঠন টাঙনি ছিল। লণ্ঠনটি ধূলি ও ধোয় মলিন। তাহ হইতে কয়েকটি শাকখাক আলোকরশ্মি আসিয়া ব্যটির মুথের উপর পড়িয়াছিল। কিন্তু গাড়ীর ঋ:াকুনিতে একবার আলো ও একবার ছায়া সম্পাতে বধুটির মুখখানি কেমন যেন রহস্তময়, ভয়াবহ বলিয়া মনে হইতেছিল । বউটি কিছুক্ষণ চুপ করিয়া রহিল তাহার পর গা মোড়া দিয়া বসিয়া বলিতে লাগিল—তামাদের এক পোড়া কপাল বউ । অচ্ছিা ভাগিা নিয়ে এসেছিলুম কিন্তু । ছেলে হবার জন্তে কত দেবতার দোর ধরঘুম,--পোড়া কপীলে কিছুই মিলুল না। সবাই বললে—বাবা পঞ্চানন অমন জাগ্রত দেবতা—গিয়ে হত্যে দিলুম—ওষুধও পেলুম, কিন্তু কিছুই হ’ল না। সত্যি কথা বলতে কি বউ, আমার আর ওসব দেবতায় ভক্তি চটে যাচ্চে l ত নইলে গ্রামের ছুলেগুলোর ব্যক্তি দেথ দিকিfন। পালধীনেক ছেলে । খেতে পায় মা—পরতে পায় না, তবু পোড়া ছেলের ওখানেই যাওয়া চাই। আমাদের কাছে আসবে কেন ? এখানে সুখে থাকবে ঘে-1– কথাগুলো বলিয়। বউট হঠাৎ ছাপাইতে লাগিল যেন । তাহার মুখখানিতে কেমন অস্বস্তি ও অসুস্থতার ভাব כיכ-"מא: দুশমন ՊՀՏ ফুটিয়া উঠিল। ব্যাকুল দৃষ্টিতে সে চোখ বড় বড় করি। এদিকে ওদিকে তাকাইতে লাগিল। কি যেন খুজিতেছে সে । তাঁহার পর মুখে অস্কট গো-গো শব্দ করিতে করিতে সে অৰ্দ্ধমুর্ভূিত অবস্থার কমলার গায়ে চপিন্ধা পড়িল । কমল ভবিল একি বিপদ হইল কে এই বটি ? ८कन ७हेनौ ? प्लेश्वरभयौ ? न श्रछ किष्ट्र ? उइन्न श्र] থর থৱ করিয়া কঁাপিতে লাগিল । সে ভাবিল চীৎকার করিয়া গাড়ীর চালককে ব্যাপারটা জান:ইয়া দিবে না কি ? না না, তা কি হয় ? সে বধু য়ে । চীৎকার তো তাছার দ্বার কর বাইবে না । তবে ? তবে, কি করিবে সে ? উটি কাঠের স্থার হাত-পা সিটাইয়া পড়িয়া থাকিয় কি সব বিড়, বিড়, করিয়া দুৰ্ব্বেধা কথা বলিতে লাগিল । শেষ পর্যন্ত কমলা সাহস করিয়া তাঁহাকে বাঁকুনি দিয়া ডাকিতে লাগিল—‘দিদি ও দিদি r কিছুক্ষপ এমনি করিষার পর বউটি—“উঃ কি বলছ ? বলিয়া স্বপ্লেখিতের তীয় উঠিয়া বসিল । কমলা বাচিল ! উঠিয়া অ’চিল দিয়া চোখমুখ একবার মুছির লইয়া সে বলিল—কড় ভয় পেয়ে গিয়েছিলে না ? ভয় পাবার কিছু নেই ! হাতে ঠাকুরের মাজুলী ধারণ করিচি ফিন, তাই মাঝে মারে ওরকম ঠাকুরের ভর হয়।-- ** কমলা কিছু বুঝিল না। সমস্তই তাঁহার নিকট রহস্যময় রহিয়া গেল। বধুটি কিন্তু আবার তেমনি ভাবে ছইরে ঠেল দিয়া বসিয়া রহিল। অস্তরের তীব্র তিজ্ঞতার অস্তিম একটি আবেগ তাছার মুখে নিঃসীম এক শূন্তত আনিয়া দিয়াছিল। দারুণ প্রাস্তিতে তাহার মুখে স্বেদ-কিন্তু দুটা छैठंब्रांझिल । কমলা দেখিতেছিল অস্তধিরবে তাহার ঠোঁট দুটি মাঝে মাঝে স্কপির উঠতেছিল। কমল ভাবিল আবার সে তেমনি গো-গো করিয়া উঠিবে নাকি ? কিন্তু কি ভাগিা, তাহা সে করিল না। বেশ শাস্তভাবে বসিয়া থাকিয়া চোখ বুজিল । কমলা স্বাবার বাহিরের দিকে তাকাইয়া রছিল । অল্প দূরে বেশ খানিকট আলো এবং লোকের কলকাকলি শুনা বাইতেছিল। বোধ হয় সেইধানটা বাজার মোক্ষীন