পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

hs్చg শোৱাইল দেওয়া হইছে। মাথার কাছে কাকীম বলিয়া পাখা করিতেছেন। কে আসিয়া মাথায় জল ছিটাইয়া সুছিয়া দিল্লী গেল। দ্বাই বলিল—একটা বালিল দাও না গো দিদি-মুনিকে ! মাথাটা ভু’য়ে পড়ে থাকবে ? বালিস আগিল। কাকীমা অহীর মাথাটা বালিসের উপর ঠিক করিয়া দিলেন। কমলা সেই অবচেতনার মধ্যে থাকিয়া কিন্তু স্বপ্ন দেধিতে লাগিল – আবার সেই বউটর সহিত দেখা । এইবার কিন্তু বলুহাটি হইতে শৌরীগ্রামে ফিরিয়া যাইবার পথে। কথা কহিতে কহিতে কমলা বলিল—ওমা থেীক কোথায় গেল ? খোকা ? অামার থোক ? এই যে এইমাত্র আমার কোলে ছিল ? আপনি ধোকীকে লুকিয়েছেন, না দিদি ? বলুন না, সত্যি ? আমি যখন বাইরে রাস্তার দিকে তাকিয়েছিলুম তখন আপনি শ্বপ, ক’রে তাকে আমার কোল থেকে তুলে নিয়েছেন, না ? বাগো, আপনি কি শেয়ন ? কিন্তু তবুও বউটি কিছু বলিতে চায় না। আপন মনে টিপি টিপি হাসিতে থাকে । কমলা ক্রমশঃ অধীর হইয়া উঠিল। সে আবার বলি:ত লাগিল—সত্যি দিদি, ঠাট্টা করবেন না। আপনার পারে পড়ি। আপনি থেকাকে কোথায় লুকিয়ে রেখেচেন বলুন 'না'! কাপড় ঢাকা দিয়ে ? ওমা ওরকম ভাবে রাখবেন না, রাখবেন না ? থোকার আমার দম বন্ধ হয়ে বাবে ... কমলা ব্যস্তভাবে তাঁহার কোলের কাপড়ের ভিতর খুজিতে বায়, কিন্তু বধুটি মুচুকাইয়া হাঁসিতে হাসিতে তাঁহার হাত ঠেলিয়া ফেলিয়া দেয়। কমলা ক্রমশঃ আরও বাকুল হইয়া উঠিল । অত্যন্ত করুণ কণ্ঠে সে বলিতে লাগিল—ও দিদি, অনেক ক্ষণ হয়ে গেল ; খোকাকে এবার দিয়ে দাও। থোকার এতক্ষণ গলা শুকিরে গেচে, দুধ থাবে ---কিন্তু তবুও বউটি তাহার কথায় কীন দেয় না তেমনি নির্লিপ্তভাবে হাঁসিতে থাকে । শেবে কমল কর্কশ স্বরে চীৎকার করিয়া ওঠে-ওদিদি খোকাকে দ্বিয়ে দিন—শীগগির দিয়ে দিন--দিয়ে দিন বলচি — - স্বপ্ন দেখি:ত দেখিতে অত্যধিক মানসিক উত্তেজনার ফলে হঠাৎ নে চাহিয়া কেলে । চোখ ঢাহিয়া অকস্মাৎ কাকীমাকে সম্মুখে দেখিয়া চক্ষু বিষ্কারিত করিয়া চীৎকার సాలిES করিয়া বলিতে থাকে--শীগগির খোকাকে দিয়ে দিন । দিয়ে দিন বলচি—ভাল হবে না কিন্তু । পিসিমা ছোট একটি বালিস তাহীর দিকে আগাইয়৷ দিয়া বলেন—এই যে, এই তো তোর থেকে রয়েচে । সে চৌধ বুজিয়া সেইটাকেই বুকে চাপিয়া চুপ করিয়া গেল ! দেখিতে দেধিতে কয়েক দিন কাটিয়া গিয়াছে । কমলা অনেকটা সরিয়া উঠিয়াছে । সে এধন ঘর হইতে বহিরে আসিয়া বধিতে পারে । থোকাকে সে চোথে দেখে নাই। মৃত শিশুটিকে সে প্রসব করিয়া অচেতন হুইয়া পড়িয়ছিল । তাহার রংই বা কিরূপ হইয়াছিল, হাত-পাগুলিইবা কেমন, তাহা কিছুই সে দেখিতে পার নাই। কিন্তু না বলিয়াছেন যোকা মরিয়া গিয়া এখন শত্রু হইয়াrছ। যে পুপকলির মত থোকার পথ চাহিয়া সে ছিল, সে থেীকা আর থেকে। নয় ! সে এখন দুশমন। তাঁহার মনে হয় থোকী যেন দৈত্যের আকার বিরাট চেহার লইয়। সারা বাড়িময় ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। হুবিধা পাইলেই তহরি গলা টিপিয়া ধরিথে। কোথাও দি খুটা করিয়া একটু শস্থ হয়-ঝড়ে যদি জনালাগুলো একটু নড়িয়া ওঠে তো কমলা অ"ৎকাইয় ওঠে। ওই বুঝি থোকা আসিল ! খোকার পদভারে সরি বড়িটি লিয়া উঠিল ! থোকা ! যে খোকা একদিন তাহীর দেহের ভিতর কুড়ির মত স্বপ্ত ছিল, সেই খোকা অাজ কত বড় ও ভয়ঙ্কর হইয়া উঠিয়াছে। কমলা খোকার সেই অত্যুচ্চ বিরাট চেহারার কথা কল্পনা করিতে গিয়া মনে মনে ভীষ্মণ ভয় খাইয়া যায়।--থোকার হাতগুnা কড়িকাঠের মত মেলি–মাথার ঝাকড়ান চুল । সন্ধ্যা হইয়া গিয়াছে --- ঘরে প্রদীপ জালিয়া কমলার ছোট বেীন চারু পড়িতেছিল। কমলার শরীরটা সেদিন ভাল ছিল না বলিয়া সে বিছানায় গুইয়া ছিল। ঘরের সম্বুধের প্রকাও দল নটর ধানিকটা ঘরের ভিতর হইতে বেশ দেথা বায়। দালানে কেহ