পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- মণিপুরী নৃত্য-উৎসবের চিত্র শ্ৰীনলিনীকুমার ভদ্র রবীগ্রনাথ আন্দাজ ব:র-তের বছর আগে নথন সিলেটে আসেন তখন উক্ত শহরের উপকণ্ঠস্থ মাছিমপুর নামক স্বানের মণিপুরী কুমারী:দর নীচ দেখে একেবার মুগ্ধ হয়ে নাকি উচ্ছ,সিত প্রশংসা করছি:লন । শাস্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীদের মণিপুরী নাচ শেখাবার মতলব কবিগুরু ১৩২৬ সন থেকে ১৩৩৬ সন, এই দশ বছরই মধ্যে তিন-তিন বীর সবযুদ্ধ ছয় জন মণিপুরী নৃত্যশিক্ষককে শাস্তিনিকেতনে আনিয়েছিলেন। ছাত্রীরা যে মৃদুভাবেই মণিপুরী নৃত্য আয়ত্ত করত সমর্থ হয়চন তাঁর পরিচয় দিয়েচেন্ন উীরা নটরাজের মৃত্যাভিনয় । বিপিনচন্দ্র পাল মহীশর “সত্তর বৎসর” নাম "প্রবাসীতে প্রকাশিত র্তীর আত্মচারতের এক জায়গায় প্রেসঙ্গক্র.ম মণিপুরী নৃত্য সম্বন্ধে লিখেচেন— “দেশ-বিদেশ অনেক নাচ খেপিয়ছি কিন্তু এই মণিপুরী লাঞ্জ পু মতম এবম সুন্দর একম নিৰ্ম্মল এমন নিপুণ মৃত্যকলা কোথাও দেখি बाँझे r= রবীন্দ্রনাথ এবং বিপিনচন্দ্রের মত সমঝদারদের ভূয়সীপ্রশংসাপ্রাপ্ত এই অপুৰ্ব্ব মনোহর মৃত্যকলা স্বচক্ষে দেখবার একটা প্রবল আকাঙ্ক্ষা প্রবন্ধ-লেখকের বহুদিন ধরেই ছিল। গেল বছর, বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে সেই অভিলাষ "পুর্ণ হওয়ায় সুযোগ ঘটেছিল। নৃত্য-নিপুণ হওয়া মণিপুরী মেয়েদেয় গৌরবলাভের অন্ততম উপায়। সে-জ়ন্তে খুব ছোটবেলা থেকেই তারা নৃত্য-চৰ্চায় রত হয়, সময়-সময় এক এক জল ওস্তাদের স:ঙ্গ ভ্রম্যমান পেশাদার নাচওয়ালীরা তাসমের নানা শহরে মুদ্রা ক’রে অর্থ ও যশ ঘই-ই অর্জন করতে পারগ হয়। মণিপুরীরা বৈষ্ণবধৰ্ম্মাবলম্বী। হিন্দুদের ছোট-বড় অনেকগুলে) উৎসবই এর উদযাপন কয়েল। তন্মধ্যে ফুলন এবং রস-যাত্রীয় খুব ধুমধান হয়। এই দুটি পর্কেই *লৈছাবী’ বা কুমারীদের বিশিষ্ট জমকালে পৌযাক পরে মৃত্য-গীত করতে হয়। ঝুলন এবং l প্রধান অঙ্গই হচ্চে কুমারী-নৃত্য । প্রত্যেক মণিপুৰী-পাড়ায় অন্ততঃ একটি ক'রে দেবীয়তন এবং তার লাগও একটি নাটমন্দির আছে। বন্ধিরাভ্যস্তরে প্রতিষ্ঠিত রবীকৃষ্ণ, শ্রীচৈতন্ত প্রভৃতি বিগ্রহের নিতা পুস্থা-অৰ্চনা হয় : নৃত্যাদি অনুষ্ঠিত হয় দেবমন্দির-সংলগ্ন মওপে । শ্রাবণ মাসে ঝুলন-যাত্রার দিনকতক তীগে থেকে, রোজ বিকলে প্রত্যেক মহল্লার মেয়রা মন্দির-প্রাঙ্গণে উমায়েত হয়ে মৃত্যাভিনয়ের মহলা দেয় ; আর বুবকেরা বাশের খুটি এবং বাথারি দ্বি:য় একটি বেষ্টনী নিৰ্ম্মাণে ব্যাপৃত হয়। - উৎসব-রজনীতে সুশোভিত মৃত্যমওপে চোকুবামাত্র মণিপুরীদের সৌন্দর্য্যবোধের পরিচর পেয়ে tিভ প্রসঙ্গ হয়ে ওঠে। ভিতরকীয় নবনিৰ্ম্মিত বেষ্টনীটি কাগজ-কাট ফুল-লতা-পাত দিয়ে ঘেরা, ঠিক মধ্যস্থলে স্থাপিত একটি । ফোয়ারার মুখ দিয়ে স্ফটিকের টুকরের মৃত স্বচ্ছ, গুড় । জলকণা উৎক্ষিপ্ত হচ্চে । দেবালয়ের দেীর-গোড়ায় একটি জলচৌকীতে সাজানো গুটিকতক হানকোরা চকচকে ঝকঝকে তৈজসপত্র। সেঝেয় পাতা একটি শপে আসনপি"fড় হয়ে পাশাপাশি উপবিষ্ট তিনটি অtধাবয়সী মহিলা খাই তালে তালে মন্দির বাজিয়ে গান ধরেল অমনি বিচিত্রবেশী সালঙ্কার নর্তকীরা বেষ্টনীটির প্রবেশপথের মুখে জোড় বেঁধে সাত-আট সারিতে বিভক্ত হয়ে থ:ড়া হয়। তাদের পরিচ্ছদের বর্ণচ্চটার এবং অলঙ্কারের জনুসে চোখ ঋলুসে বায়। তা দর মাথার চুল অবিকল থামৃতি নামক বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী আদিম জাতির বিবাহিত মেরদের চড়ে চুড়া-আকায়ে বাধা । সেই উচু খোপার উপরকার কালে কাপড়ের ঢাকনিগুলোতে নানান রজত অলঙ্কার গোজা, মুথের উপর জালের দূত পাতলা বসনের আবরণ ( মাইখুম ) । সৰ্ব্বাঙ্গ নানা- স্থাভৰুণে ভূতি । গলায়