পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেওলী কায়েম হইল অর্থাৎ কি না, এই নশ্বর জগতে প্রভুত্বশক্তিসম্পন্ন মামু্য কোন প্রতিষ্টান ঘরবাড়ি দুর্গ বা আইনকানুনকে চিরস্থায়ী পতটা করিতে পারে, দেওল্পী সেই পরিমাণে কায়েম হইল । বাংলা দেশে জমির খাজনার বন্দোবস্ত প্রথমে দশ বৎসরের জন্ত হয়, তাহার পর এই দশসালা বন্দোবস্ত চিরস্থায়ী হইয়াছে। সরকার বিনা বিচারে যাহাদিগকে অনির্দিষ্ট কলের দ্রষ্ঠ বন্দী রাধিত চান, আজমীরের নির্জন দুর্গ দেওলী তাহদের জল্প প্রথমতঃ কয়েক বৎসরের জন্ঠ নির্দিষ্ট হয় । বে আইনের দ্বারা বঙ্গের এই বন্দীদিগ:ক লঙ্গের বাহিরে চালান করিবার ক্ষমতা গবন্মেণ্ট গ্রহণ করেন, তাহা হইয়াছিল তিন-সালা আইন, এথন স্থিরস্থায়ী হুইল । জমির খাজনার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ও দেওলীর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মধ্যে কোন সাদৃশ্ব নাই। কারণ জমিদাররা সম্মানিত ব্যক্তি, কিন্তু বিচার ব্যতিরেকে বীরা অ-সন্মানিত লাঞ্ছিত ব্যক্তি। বাহা কিছু সাদৃশু আছে বটে। জমিদাররা প্রায় সকলে, দলংক-দল, বিনা পরিশ্রমে থাইতে পরিতে পান, দেওলীর বন্দীবfও তাই । জমিদাররা সকলে, প্রায় দলকে-দল, গবন্মেণ্টবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিতে, কাৰ্য্যত, অসমর্থ, দেওলীর বন্দীরাও ভাই । গন্মেণ্ট যে দেওলীর জেল স্থায়ী করিলেন তাহ এ ভাবিয়া নহ, যে, তদ্বারা বঙ্গের সঙ্গীসনবাদ নিমূল হইব । স্বরাষ্ট্রসচিব স্তর হেনরী ক্রেক ত বলিয়াই দিয়াছেন, ঘুে, বন্দীদিগকে দেওলী-প্রেরণের আইন স্থায়ী কলার ফল তাহা হইবে না । তবে, আইনটাকে পাকা করা হুইল কেন ? সরকারপক্ষীয় বকৃত হইতে দুটা কারণ সংগ্ৰহ করা যায়। সরকারপক্ষ বলেন, সন্ত্রাসনবীরা ভাবিত, সে, কয়েকটা বৎসর কাটিয়া গেলেই তাহীর দেওলী হইতে থ:লাস পাইল্লা নিজেদের বেআইনী কাজে আবার ল'fগবে । আইনটা স্থায়ী করায় তাহীদের সে আশা নষ্ট হইবে, এবং তাঁহারা হয়ত নিজেদের জীবনকে অল্পপথে চালিত করিতে প্রস্তুত হুইবে । কিন্তু আমাদের মনে হয় না, বে, দেওলীর বন্দীর এমন নির্বোধ যে কখনও এমন আশা করিত, যে, দেওলী না-থাকিলেই তাহারা মুক্তি পাইবে, এবং সরকার তাহদের হেফাজতের আর কোন বন্দেবস্ত কfরবেন না, এবং তাঁহারা যদি দৈবাৎ জেলের বাহিরে আদিতে পায়ও, তাহ হইল পুলিস তাহীদের পেছনে লাগিয়া থাকিবে না । সরকারপক্ষ এই আর একটা কথা - বলিয়াছেন, মে, দেওলীতে বন্দীর আবদ্ধ থাকিলে বাহিরেব লোকদের সহিত সংবাদ আদানপ্রদান ও ষড়ম্বন্ত্র করিতে পরিবে না। তাহা হইলে, বাংলা দেশের জেলে তাহাদিগকে রাখিলে তাঁহার এই রূপ বেsdইনী কাঙ্গ করিতে পার ও করে, ইহা স্বীকার করা হইতেছে । তাহার মানে, বঙ্গের জেল-বিভাগে কিংবা কোন একটা জেলেও এমন কতকগুলি ইংরেজ ফিরিঙ্গী ও দেশী কৰ্ম্মচারী নাই, যাহারা এই রূপ বেআইনী কাজ নিবারণ করিতে সমর্থ। ইহা কি সত্য ? সত্য হইলে, ইহা গবন্মেন্টের গৌরবের বিষয় নহে। ইহাও জিজ্ঞাস্য, যে, বহিজগতের সঙ্গে কয় জন বন্দী ঐক্সপ আদানপ্রদান ও ষড়যন্ত্র করিয়াছিল ? দু-এক জন বঃ দু-চার জন করিয়া থাকিলে সেই জন্ত শত শত যুবকের দেওণীতে নিৰ্ব্বাসন স্কায়সঙ্গত লহে । • স্বরাষ্ট্রসচিব বলিয়াছেন, সাইনটা চিরস্থায়ী হইল বটে, কিন্তু তাহার মানে এ-লয় যে উহা কোন কালেই উঠিয়া যাইবে ন! ;--সপ্পাসনবাদ লুপ্ত হইলেই উহা রদ হইবে। আইনের মধ্যে যাহা লেখা থাকে তাহাই বলবৎ, কোন রাজপুরুষেরই কথার কোন স্কোর নাই ; বড়লাটের বা ভারতসূচিবের