পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিন শারাঞ্চী ھمبی A4 মা চোখে আঁচল দিয়া বলিলেন, “কি করব বল মা, সবই আমার কপাল ! নইলে আমার গয়নাগুলো বিকিয়ে বায় ? ছেল যে শহরে বাবু হবেন, মেয়ের জন্তে কিছু রাখব আমার সাধি কি ? তবু ত উনি শাখা শাড়ী দিয়ে সারছিলেন, আমি ফুল আর মল না দিয়ে ছাড়লাম না । সোনা-রূপে না হ’লে কখনও কস্তাদান শুদ্ধ হয় ? বিয়েই জশুদ্ধ থেকে যাবে যে । আর বরের বাড়ির ত সবই আজগুবি । দু-দিনের মধ্যে বিয়ে চাই, নিজেদের সব আছে, অথচ তাদের নাকি বিয়ের আগে কনেকে কিছু দেওয়া বারণ । ওদের কি না-কি দোষ হয় ।” নারায়ণী তুড়ি দিয়া বলিল, “দোষ না কচু ! যা বুঝচি, তাদের আধ পয়সারও মুরোদ নেই। বাবাকে ফাঁকি দিয়ে মেয়েটি নিয়ে যাচ্চে । বাবাও ভাবচন— নিথরচায় মেয়ের বিয়ে, এমন বর পেলে ছাড়ব কেন ? আর সবাইকে যা হোক ক’রে দু-তিন-শ টাকারও জিনিয দিতে হয়ছিল। অবিশুি কিছু না দিত পারেন, না দিন, কিন্তু একেবারে ভিখিরী কি আকাট মূখুখুর সঙ্গে যেন মেয়েটার বিয়ে না দেন, এ-কথা এখনও বাবাকে বুঝিয়ে বোলো । সে সময় অাছে।” নারায়ণীর কথা শুনিয়া পীতাম্বর বলি.লন, “ন গো না, তুমি মেয়ে জর বুঝিয়ে ব’লা সে ছেলের বাড়িঘর বাগান ধাম চলি সব আছে । তা ছাড়া বীপ-পিতামহ টীকাকড়িও কিছু রেখে গেচেন। ছাঘ’রের ঘরে আমি মেয়ে দিচ্চি না । তোমাদর ভয় নেই ।” বিবাহের আয়োজন বাড়ির মেয়েরা ৰেমন করিয়৷ পারে নিজেরাই কল্পিত লাগিল । পীতাম্বর কীনের ফুল ও পায়ের গল্প ছাড়া মগদ পয়সা দিয়া কিছু কিনিলেন না । বড়বেঙ্গ রাখাঙ্কণী পাড়াগায়ের গৃহস্থের বধু কোনোরকম একখান মুজ চেলির কাপড় জানিল। মেজবোন বিনোমিী খলিল, “এক গয়না দিতে পারি এমন ক্ষমতা ত ভাই আৰঞ্জ মেই। ক্ষম জামি, জুই যদি ভাই কিছু দিস, আর এ কিছু খাৰু করে, তবে তিন জনে মিলে তিন ভরি ীির একট{** হার করানে যেতে পারে ” আখমণি লেজাৰদঃয়ে সুকাইয়াকুরাইরা খান বিক্ৰী করির গোটাৰন্তৰ টঙ্ক কৰিছিল, তাহ হইতেই , এক ভরি সোনার দীর্ম দিল । মা’র কানে এক ভরির ফুট ফুল ছিল, তাঁহাই খুলিয়া দি-লন। সঙ্ক ফিন্‌ক্ষিনে এক গছ দড়ি হার হইল সেকালে মেয়েদের চক্ষে এত সরু হরি যেন অলঙ্কারের নামে পরিহাস তৰু কি করা ধfয় ? একেবারে শুধু গলীয় মেয়েকে বাহির করিতে মাবোন কাহারও ইচ্ছা করিল না । বাড়ি-ত রমুনচোঁকি বসিল না, আলোর মালা হলিঙ্গ না, উঠানে ভিয়ান বসিল না, পাড়ায় পাড়ায় নিমন্ত্রণ হইল না, শুধু পড়ির দুই-চার জন ভাল ব্ল"াধিয়ে মেয়েকে যোগাড় করিয়া নমঃ নমঃ করিয়া বরযাত্রীর আহারের ব্যবস্থা হইতে লাগিল । ময়রা-বাড়ি হইতে এক বাক দই ও এক বঁকি বোদে আনাইয়া মিষ্টীল্পের কাজ সারা হইল । সন্ধ্যাবেল উঠানে গ্রামের বারোয়ারীর তালি-দেওয়া একটা লাল চাঁদোয় টাঙাইয়া এবং একটি ময়লা সতরঞ্চি পাতিয়া বিবাহ-সভা সাজানো হইল। তাঁহারই উপর কে একটা পুরানো গালিচার আসন পতিয়া দিল ধরের বসিবার জন্ত । সামান্ত অলঙ্কার ও চেলী পরিয়া একটা দুই অামা দামেৰু: কাজললত হাতে করিয়া কাত্যয়িনী পিড়ির উপর বসিয়া বিমাই.তছিল। বিয়ে-বাড়িতে এতটা গোলমালও নাই যে, , তাহার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাইতে পারে। হঠাৎ পাড়ার : ছেলেরা ছটিয়া আসিয়া খবর দিল, “বরের পাতী দেখা যাচ্চে ট্র রে, আলো ধৰ্ব, আলো ধৰ ; এখুনি বর এসে পঙ্কৰে ” ফুটে তেল-ক্তাকড়ার মশাল ও ছটো-তিনটে লণ্ঠন জানিয়া সভার সম্মুখে খুটি পুতিয়া উঁচু করিয়া রাখা হইল, মেয়ের তিন-চারটা শাক একসঙ্গে বঙ্গিাইয়া কৈামোয়ঙ্কঙ্গে । বিয়ে-বাড়ির মান রাখিতে চেষ্টা করিল । কস্তাপক্ষে পোষাকপরিচ্ছদের ঘটার মধ্য নারায়ণীর ছয় বাংলয়ের পুত্র নিরঞ্জনের পাটিনের পোষাক এবং তিন বৎসরের শিক্ষকৰুণ কল্যাণীর এক গা গহন । কাছাদের দুই জনকে সভা জাকাইতে সকলের আগে বসানো হইল। মাৱ জন-পঁচিশত্রিশ বৱস্থায়ী পইয়। বর আসিয়া পড়িল । অল্প হইলেও বিয়ে-বাড়িতে যত মেয়ে পুরুষ ছিী সকলেই ৰৱ দেখিতে ভীড় করিয়া ছুটিা আসিল। ভিন্ন গ্রামের অলে বর, নজানি কেমন চেহার, কেমন