পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বটতলার গোঁসাই ? হয়ত এক জন ভক্ত বৈষ্ণব, গ্রাম্য লোক, বছর-পঞ্চাশ জাগে থাকত ওই বটতলায় । সেই থেকে লৌকিক প্রবাদ এবং বোধ হয় মেজবাবুদের অর্থগুধু তা দুটোতে মিলে বটতলাটাকে করেচে পরম তীর্থস্থান । কোথায় ভগবান, কোথায় প্রথিতযশ: ঐতিহাসিক অবতারের দল--এই বিপুল জনসত্তৰ তাদের সন্ধানই রাখে না হয়ত । এদের এ কি ধৰ্ম্ম ? ধৰ্ম্মের নামে ছেলেথেলা । কিন্তু নিমৰ্চাদকে দেখেচি। তার সরল ভক্তি, তাদের ত্যাগ । তার স্ত্রীর চোখে ষে অপূৰ্ব্ব ভাববৃষ্টি, যা সকল ধৰ্ম্মবিশ্বাসের উৎসমুখ—এসব কি মুলহীন, ভিত্তিহীন জলজ শেওলার মত মিথ্যার মহাসমুদ্রে ভাসমান ? এ-রকম কত নিমচাঁদ এসেছিল মেলায় । জ্যাক্ট্রাইমাদের অfচারের শেকলে আষ্ট্রেপৃষ্ঠে বাধা ঐশ্বৰ্য্যের ঘটা দেখানে দেবীর্চনার চেয়ে, এ আমার ভাল লেগেচে । ঘুসুড়ির সেই वंछीभग्नित्वद्र भङ । কোন দেবতার কাছে নিমৰ্চাদের তিনটে টাকার ভোগ অর্ঘ্য গিয়ে পৌছুলো জীবনের শেষনিঃশ্বাসের সঙ্গে পরম ত্যাগ সে বা নি বদন করলে ? আর একটা কথা বুঝেচি। কাউকে কোনো কথা বলে বুঝিয়ে বিশ্বাস করানো যায় না । মনের ধৰ্ম্ম মেজবাবু আমায় কি শেখাবেন, আমি এটুকু জেনেচি নিজের জীবনে মানুষের মন কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না সে জিনিযকে, যা ধরা-ছোয়ার বাইরের । আমি যা নিজের চোখে কতবার দেখুলুম, বাস্তব বলে জানি—ঘরেবাইরে সব লোক বললে ও মিথ্যে । পণ্ডিত ও মুর্থ এথানে সমান-ধরন্থোয়ীর গওঁীর সীমানা পার হয়ে কারুর মন অনস্তু অজানার দিকে পাড়ি দিতে চায় না । যা সত্যি, তা কি মিথ্যা হয়ে যাবে ? २ কলকাতায় ফিরে এলাম বড়বাবুর মেয়ের বিবাহ উপলক্ষ্যে । জামাইকে বিয়ের রাত্রে বেবি অষ্টিন গাড়ী যৌতুক দেওয়া হ’ল-বিবাহ মণ্ডপের মেরাপ বাধতে ও ফুল দিয়ে সাজাতেই ব্যয় হ’ল জটি-শ টাকা । বিয়ের পরে कूण*शांछ- एक्लङ्ग ब्लॉछांग्लएक श्रांप्ले-म* छम cगक श्भि*िभ ভূক্ট-প্রদীপ tళ్యరి খেয়ে গেল । ছোটবাবুর বন্ধুবান্ধবদের এক দিন পৃথক ভোজ হ’ল, সেদিন সখের থিয়েটারে হাজার টাকা গেল এক রাত্রে । তবুও তো শুনলাম এ তেমন কিছু নয়— এরা পাড়াগায়ের গৃহস্থ জমিদার মাত্র, খুব বড়মানুষী করবে কোথা থেকে । , ফুলশয্যায় তত্ত্ব সাজাতে খুব খাটুনি হ’ল । দু-মণ দই, আধ মণ ক্ষীর, এক মণ মাছ, লরি-বে:ঝই তরিতরকারী, চল্লিশখন সাজানো থালায় নানা ধরণের তত্বের জিনিষ---সব বন্দোবস্ত ক’রে তত্ত্ব বীর কP:র বি-চাকরের সারি সাজাতে ও তাদের রওনা কর ত-লে এক রাজস্বয় যজ্ঞের ব্যাপার । ও.দর রঙীন কাপড়-পর ঝি-চাকরর লম্বা সারির দিক চেয়ে মন হ’ল এই বড়মানুযির খরচের দরুণ নিমৰ্চাদের স্ত্রী তিনট টাকা দিয়েচে । অথচ এই হিমবী অগ্রহায়ণ মাসের রাত্রে হয়ত সে অনাথ বিধবর থেজুরডালের বীপে শীত আটকাচ্চে না, সেই যে বুড়ী যার গলা কপিছিল, তার সেই ধার-করে দেওয়? আটি অীনা পয়স} এর মধ্যে আছে । ধর্মের নামে এর নিয়েচে, ওরা স্বেচ্ছায় হাসিমুথে দিয়েচে । সব মিথ্যে । ধৰ্ম্ময় নামে এরা করেচে ঘোর অধৰ্ম্ম ও অবিচারের প্রতিষ্ঠা । বটতলার গোঁসাই এদের কাছে ভোগ পেয়ে এদের বড়মহিষ ক’রে দি স্ন:চ, লক্ষ গরিব লোককে মেরে—জ্যাঠামশায়:দর গৃহদেবতা যেমন তাদের বড় ক’রে রেখেছিল, মাকে, সীতাকে ও ভুবনের মাকে করেছিল ওদের ক্রীতদাসী । সত্যিকার ধৰ্ম্ম কোথায় আছে ? কি ভীষণ মোহ, অনাচার ও মিথ্যের কুহকে ঢাকা পড়ে গেছে দেবতার সত্যরূপ সেদিন, যেদিন থেকে এরা ইদয়ের ধৰ্ম্মকে ভুলে অর্থহীন অনুষ্ঠানকে ধৰ্ম্মের আসনে বসিয়েচে{ দাদার একখানা চিঠি পেয়ে অবক হয় গেলাম ক্ষাদা যেখানে কাজ করে, সেখানে এক গরিব শ্রীক্ষণের একটি মাত্র মেয়ে ছিল, ওখানকার সবই মিলে ধরপঞ্জে’মে য়টির BB DBB BB BBB S DSDS DBBBBSBBBBBS যে যা বলে করেও কথা ঠেলতে তো পীর সন্ধু ? কাউক জানানো হয় মি, পাছে কেউ বাধা দেয়, তারাই জানতে