পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سماوي এক একটি তীর্থ লইয়া মোকদ্ধমায় ইহঁাদের যে অসম্ভব বাম হুইয়াছে তাহা ভারত ছাড়া আর কোনো দেশে কেহ বিশ্বাসই করিতে পারিবে না। এক পরেশনাথ পৰ্ব্বতের অর্থাং সমেত তীর্থের মোকদ্দমা লইয়া শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর এই উভয় দলে যে বিপুল ব্যয় হইয়াছে তাহাতে আর একটি পরেশনাথ পৰ্ব্বত নিৰ্ম্মাণ করিয়া আর একটি তীর্থ প্রতিষ্ঠিত করা যাইত। শুধু টাকার শুপ দিয়াই পৰ্ব্বতই করা যাইত। এই সব তীর্থ লইয়া যে লাঠালাঠি মারামারি হত্য প্রভূতিই কত ঘটে তাহ! কি লিখিয়া শেষ করা যায় । ১৯২৭ খ্ৰীষ্টাব্দে মে মাসে উদয়পুরে কেসরিয়া তীর্থে একটি জীর্ণ ধ্বজার সংস্কার লইয়া শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর এই দুই দলে যে দাঙ্গা হয় তাহাতে শ্বেতাম্বরর দিগম্বরদের পীচ জনকে তখনই খুন করে, পনর জনের আর জীবনের আশাই দেখা যায় নাই, আর ১৫০ জন আহত হয়। এই খবরটি বাহির হয় শ্বেতাম্বরদেরই মুখ্য পত্র “জৈন যুগে” ( ১৯২৭ বৈশাখ )। পরবর্তী জ্যৈষ্ঠ মাসে ঐ কাগজেই বোম্বাইয়ের একজন শ্বেতাম্বর জৈন সলিসিটর এক প্রতিবাদ বাহির করেন। তিনি লেখেন—এই দাঙ্গায় শ্বেতাম্বরদের কোনোই দোষ নাই, যদিও তিনি এ-কথা স্বীকার করেন যে, চারি জন দিগম্বরী মারা গিয়াছেন, কিন্তু তাহার মতে সে দোষ তাহদের নিজেরই। তিনি এই কথাও লেখেন যে, যাহা হউক, জৈমতীর্থে মানুষ মারা গেলেও এক বিন্দু রক্তপাত ঘটে নাই। কাজেই দেখা যাইতেছে র্যাহারা মারা গিয়াছেন তাহারা লোক ভাল, কারণ তাহারা ধাক্কায় ও মর্দনেই মরিতে রাজি शुंशप्छन। অস্ত্রাঘাতপ্রাপ্তির দুরকাজক্ষা করিয়া তাহার প্রতিপক্ষকে বৃথা হয়রাণ করেন নাই। যাহা হউক, প্রাণ গেলেও এমন পবিত্র জৈন তীর্থে রক্তপাত বে ঘটে নাই ইহাই পূরম পাখনা । সলিসিটর মহাশয় জৈনতীর্থের পবিত্রতার সাক্ষ্যস্বরূপে এই পরম সান্থনার কথা বহুবার উৎসাহ-ভরে প্রকাশ করিয়াছেন । এই জাতীয় দান রকমের অভিযোগ জৈনদের ধর্শ্বের মিত্ত্বে দেশে বিদেশে শোনা যায়। মুখে বা লেখায় নিপুণ রচনায় তাহার কোর্কে উত্তর দিয়া কিছু গাড় আছে কি ? জৈনধর্শ্বের উন্নত সাধন পবিত্রতা ও প্রেমে মৈত্রীতে సాలిడిపా পরিপূর্ণ জীবনের দ্বারা যদি এই সব অভিযোগকে নিঃশব্দে নিরুত্তর না করা যায়, তবে তর্কের বিরুদ্ধে তুমুলতর তর্ক দিয়া বৃথা যুদ্ধ করিয়া লাভ কি ? তাহাতে নৈপুণ্য প্রকাশ করা যাইতে পারে, কিন্তু ধৰ্ম্মের মহত্ব তাহতে প্রতিষ্ঠিত হয় না । এতক্ষণ শুধু নানা অভিযোগ ও বিরুদ্ধতার কথাই বলা গেল। এখন বলিতে চাই ইহাতেও হতাশ হইবার কোন হেতু নাই, যদি দেখা যায় যে এই ধর্মের মধ্যে এখনও প্রাণশক্তি আছে। যে ধৰ্ম্মে হেমচন্দ্র যশোবিজয়জীর মত বহু বহু মহাপণ্ডিত জন্মিয়াছেন আর যাহারা জগতে অতুলনীয় সব গ্রন্থভাণ্ডার রক্ষা করিয়া আসিয়াছেন, র্তাহাদের হতাশ হইবার কোনে কারণ নাই । এই-সব লক্ষণ ছাড়াও জৈনধর্মের মধ্যে নানাভাবে যে অতিগভীর প্রাণশক্তির পরিচয় পাওয়া গিয়াছে আজ সে-সম্পর্কে দুই একটি কথা বলিলে যথার্থই অস্তরে আশার সঞ্চার হয় । জৈনরা যদিও সজঘগতভাবে ভারতের বাহিরে প্রচার করেন নাই, তবু ব্যক্তিগত ভাবে মাঝে মাঝে এক এক জন জৈন সাধু তারতের বাহিরে গিয়া অহিংসা মৈত্রী প্রভৃতির মহা আদর্শ জগতে প্রতিষ্ঠিত করিয়া আসিয়াছেন । খোজ করিম দেখিলে এইরূপ খবর মাঝে মাঝে পাওয়া যাইবে । প্রাচীন কালেও ভারতে যোগী নাথপন্থী প্রভৃতি মতের সাধুরী পারস্ত আরব সিরিয়া মিশর তুরস্ক প্রভৃতি দেশ পরিভ্রমণ করিতে যাইতেন । আমার বাল্যকালেও কাণীতে আমি মাঝে মাঝে এমন যোগী দেধিমুছি যাহারা নীলনদী ও কাম্পিয়ান সাগরে স্বান করিয়া আসিমাছেন। ৯৯৮ খ্ৰীষ্টাব্দের কাছাকাছি এইরূপ বিশ জন যোগী সা একত্র হইয়া এক দল বাধিয়া ভারতের বাহিরে পরিব্রজনে বাহি হন, তাহাদের সঙ্গে চিকিৎসকরূপে এক জন জৈন সন্ন্যাসী গিয়াছিলেন। তাহারা মাঝে একবার দেশে ফিরিয়া আবা ঐ সব দেশে পৰ্যটন করিতে যান। দুইবার এইরূপ নান দেশ পৰ্য্যটন করিয়া ছাব্বিশ বৎসর পরে ১৯২৪ খ্ৰীষ্টাবে শেষবার তাহার দেশে ফেরেন । এই দলের সঙ্গে সিরি দেশের প্রখ্যাত কবি অন্ধ জ্ঞানী সাধক আবুল আলাত্র পরিচ ঘটে। সিরিয়া দেশে “মা আর রাত জল কুমান” নামক এক anरथ •१e दी •१8 बैोडेरक नशांख “७मू९” नांबक भांग्न