পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন টিনের কৌট করিয়া নানা প্রকার ফল ও খাদ্যসামগ্রী সংরক্ষিত করিবার জন্ত ব্যবহৃত হইয়া থাকে । আহাৰ্য্য দ্রব্যকে অবিকৃত ও মুখাদ্য অবস্থায় সংরক্ষিত রাথিবীর দ্বিতীয় প্রথাকে ইংরেজী ভাষায় pasteurization বলে । এই প্রণালী অনুসারে অtহার্য দ্রব্যকে ৬৫ হইতে १ o ಢ বিগ, ;్వ ষ্ট্ৰে হয়। ইহাতে আসল " জীবাণু সমস্তই বিনষ্ট হইবে এবং ঐ সকল অশ্বেক্ষাকৃত বড় জীবধি ইতে জাত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবাণুগুলি ( spores ) মাত্র অবশিষ্ট থাকিবে। তাহার ফলে গজন ও পচন decomposition ) প্রক্রিয়া বন্ধ হইয়া যাইবে এবং নূতন জীবাণু আহাৰ্য্য দ্রব্যের মধ্যে ঢুকিয়া বদ্ধিত না হওয়া পৰ্য্যন্ত, অথবা শেষোক্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবাণুগুলি আকুরিত না হওয়া পৰ্য্যস্ত গাজন বা পচন প্রক্রিয়া দ্বারা আহার্য দ্রব্য নষ্ট হইবে না। র্যানথাক্স, টিটেনাস ও সম্ভবতঃ afonia eMato (epidemic diarrhoea ) ব্যতীত সকল প্রকার বাধির জীবাণুই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবাণু উৎপন্ন করে না । সুতরাং উপরি উক্ত প্রক্রিয়! দ্বারা তাহারণ বিনষ্ট হুইবে । ব্রাণ্ডি প্রভৃতি পানীয় দ্রব্য, বিশেষতঃ দুগ্ধ রক্ষণার্থে, এই প্রণালী সকল দেশেই ব্যবহার করা হয় । এই প্রণালী দ্বারা রক্ষিত দুগ্ধ ব্যবহার করিলে ছোট ছোট ছেলেদের মধ্যে অজীর্ণত অথবা স্কভি রোগের সঞ্চার হইবার সম্ভাবন কম । আহাৰ্য্য দ্রব্য সংরক্ষণের আরও একটি প্রণালী আছে । ১০ সেণ্টিগ্রেড, ডিগ্রির নীচে আহাৰ্য্য দ্রব্যকে রাখিলে স্ত্রীবাণুগুলি সংখ্যায় ও আকৃতিতে বাড়িতে পারে না এবং উত্তাপ আরও বেশী না-বাড়া পৰ্য্যস্ত জীবাণুর প্রক্রিয়া সম্ভব হইবে না । এই প্রণালী সাধারণতঃ মৎস্য ও মাংসের পচন নিবারণের জন্ত ব্যবহৃত হইয়া থাকে । আমরা দেখিতে পাই যে দূর-দূরাস্তর হইতে নানা প্রকার মৎস্য বরফের সাহায্যে ঠাগুণ করিয়া কলিকাতার বাজারে ধিক্রয় করা হয় । বরফ দেওয়া মাছ ও মাংস টাটকা মাছ ও মাংসের মতই পুষ্টিকর ও সুপাচ্য । ইউরোপে এক স্থান হইতে অন্ত স্থানে দুধ সরবরাহ করিবার সময় এই প্রণালী বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় । - লুই পাস্তম্নর ও র্তাহার গবেষণা tూఫిలి এইখানে বলা অপ্রাসঙ্গিক হইবে না ষে, উপরি উক্ত তিন প্রকার প্রণালী ব্যতীত নানারূপ রাসায়নিক প্রক্রিয়। আহাৰ্য্য দ্রব্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয় । এই উদ্দেন্তে লবণের ব্যবহার বহুকাল হইতেই চলিয়া সোরবাণ পাস্তয়রের মুৰ্বি আসিতেছে । মৎস, মাংস, মাখন, পনির প্রভৃতি জাহাৰ্য্য দ্রবা রক্ষণের জন্ত প্রচুর পরিমাণে লবণ ব্যবহৃত হয় । কোন কোনও স্থলে লবণ ও সোর ( saltpetre ) একত্র মিশ্রিত করিয়া ব্যবহার করা হয় । অনেক সময়ে সোহাগ, বোরিক এসিড, ও ফরম্যালডিহাইড, এই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইয়া থাকে । দুধ, মাখন, মাছ ও মাংসের তৈরি নানা প্রকারের আহার্য্য দ্রব্য ও ঘনীভূত go ( eondensed milk ) এই উপায়েই সাধারণতঃ রক্ষিত হয় এবং এক দেশ হইতে অল্প দেশে প্রেরিত হইতে পারে ।