পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 جسb"

প্রকামীণ,

ఎ98S ১৮৮০ খৃষ্টাব্দে পাস্তয়র জলাতঙ্ক রোগ সম্বন্ধে গবেষণা করিতে থাকেন । কিন্তু এই জীবাণু অত্যন্ত বিষাক্ত বলিয়া ইহা লইয়া কাজ করা বিপজ্জনক, তদুপরি আরও একটি বিশেষ অন্তরায় এই যে এই বিষ প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করাইবার পরে রোগ প্রকাশ হইতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। পাস্তয়রের সময়ে লোকের ধারণা ছিল যে লীলাম্রাবের সহিত এই জীবাণু নিঃস্থত হয়, কিন্তু পাস্তয়র দেখাইলেন যে, এই জীবাণু মস্তিষ্কে ও মেরুদণ্ডে অধিষ্ঠান করে । তিনি প্রমাণ করিলেন, যে-কুকুর জলাতঙ্ক রোগে মরিয়াছে তাহার ঘাড়ের শিরদও ( Medulla Oblongata ) ajè:Ti •Ey &fî¤ crit* ঢুকাইলে সেই প্রাণীতে এই রোগ প্রকাশিত হয় । কিন্তু ইহাতেও আশাকুরূপ ফল হইল না, কারণ ইহাতেও দেখা গেল যে, কোন কোনও ক্ষেত্রে উক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করিলেও এই রোগ প্রকাশিত হয় না । পাস্তয়ুর স্থির করিলেন, এই জীবাণু দেহের অন্ত কোন স্থানের পরিবর্তে যদি মাথার ভিতর ঢুকাইয়া দেওয়া যায় তাহ হইলে অবশুই এই রোগ প্রকাশিত হইবে, কিন্তু ইহাতে পশুটির অত্যন্ত যন্ত্রণ হইবে ভাবিয়া তিনি নিজ হাতে এ-কাৰ্য্যটি করিতে পারিলেন না। এক দিন তিনি পরীক্ষাগার হইতে বাহির হইয় গেলে তাহার সহকৰ্ম্মী রাউন্ম (Roux) এই কাৰ্য্য সাধন করিলেন । এই প্রক্রিয়া দ্বারা উক্ত জন্তুটির শরীরে . রোগ অনিবীৰ্য্য প্রকাশিত হয়, এবং রোগ প্রকাশ হইতে কখনও বিশ দিনের বেশী লাগে না । পরে পাস্তয়র বিভিন্ন প্রকার শক্তিসম্পন্ন জলাতঙ্কের জীবাণু প্রস্তুত করিয়া কুকুরের দেহে পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন যে, এই মনীভূত জীবাণু ইহার শরীরে প্রবেশ করাইবার পর ক্ষিপ্ত কুকুরের দংশনে কোন অপকার হয় না ; কিছু দিন পরে তিনি আরও দেখিলেন যে, ক্ষিপ্ত কুকুরের দংশনের পরেও উক্ত জীবাণু আহত কুকুরের দেহে প্রবেশ করাইয়া দিলে আর কোনও অপকার হয় না। . , প্রোয় এক বৎসর ধরিয়া পাস্তয়র পশুদেহের শরীরে এইরূপ পরীক্ষা করিলেন, কিন্তু মনুষ্যদেহের উপর পরীক্ষা করিবার সাহস তাহার হইল না ; অবশেষে ঘটনাচক্রে তাহার এক সুযোগ মিলিয়া গেল। যোশেফ মাইষ্টার নামে বৎসর-নয়েকের একটি ছেলেকে পাগলা কুকুরে দংশন করিয়া তাহার দেহ ক্ষতবিক্ষত করিয়াছিল । ঐ বালকটির মাতা বালকটিকে লইয়া ভালপিয়া (Vulpian ) বিজ্ঞ চিকিৎসকের নিকটে চিকিৎসার্থ সমস্ত বিবরণ শু নামক একটি উপস্থিত হইলেন । তিনি বলিলেন রাপাল বালক ও পাগল! ককুর যে ইহার কোনও চিকিৎসা নাই—তবে পাস্তয়রের প্রবর্তিত মতে চিকিৎসা করিলে বালকটি বাচিলেও বাচিতে পারে। কিন্তু পাস্তয়র ইহাতেও দ্বিধা বোধ করিতেছিলেন। অবশেষে তাহাদের একান্ত অনুরোধে উপরিউক্ত জীবাণু দ্বারা চিকিৎসা করিতে স্বীকৃত হইলেন । দুই তিন দিন তাহার শরীরে জীবাণু প্রবেশ করাইবার পর বালকটির ক্ষতস্থান শুকাইতে আরম্ভ করিল এবং সে উঠিয়া হাসিয়া খেলিয়া বেড়াইতে লাগিল । কিন্তু দুশ্চিন্তায় পাস্তষ্করের নিত্রী হইত না । কারণ যতই প্রবিষ্ট জীবাণুসমূহ তীর কুইতে