পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্থািন গতিবেগে তাহাঙ্ক অনিন্দ—দ্রুমশঃ সে মোটরের গতি বঙ্কিত করিয়া দিল । খানিক ক্ষণ পরে পিছন ফিরিয়া দেখে একটা মোটর তাঁহার অনুসরণ করিতেছে । পরাজিত হুইবার পত্রিী উল্কা নয়—সে গতিশক্তি আরও বন্ধিত করিয়া দিল । সঙ্গে সঙ্গে মনে হইল অনুসরণকারীও দ্রুততর বেগে আসিতেছে । উল্কা আরও দ্রুত চলিল । হঠাৎ পায়ের নীচে ভীম রবে যেন পৃথিবী কঁপিয়া উঠিল—বিরাটকায় ধাবমান দৈত্য সহসা প্রচণ্ড ভাবে টল্‌মল করিয়া উঠিল—উল্কা বুঝিল, টায়ার ফাটিয়াছে । এক মুহূৰ্ত্ত সে চক্ষু মুদ্রিত করিল--কিন্তু পরক্ষণেই অতি ক্ষিপ্র, কৌশলী চালকের মত দৃঢ় হস্তে মোটরের গতিবেগ কমাইয় দিল । ভগবানের কৃপায়ই হোক, কিংবা নিজের ক্ষমতাতেই হোক, সে-যাত্রা উল্কা রক্ষা পাইয়া গেল । তত ক্ষণে অনুসরণকারীর নিকটে আসিয়া পড়িয়াছে । তাড়াতাড়ি নীমিয়া শুমলবিকাশ উল্কার কাছে গিয়া বলিল, “উ, আপনার সাহসকে ধন্তবাদ ; আমি পুরুষ হয়েও আপনার কাছে হেরে গেছি। আশ্চৰ্য্য—আপনার একটুও ভয় হ’ল না ?—ভাগ্যে গাড়ীট খুব ভাল, আর আপনার মত সুদক্ষ চালনা, সেইজন্তই যা ওন্টোয় নি ! কিন্তু তা না-হ’লে কি হ’ত মনে করুন ত ?” হাসিয়া উল্কা বলিল, “মনে আর করবো কি ? মরতেই যদি হ’ত, তো এই ভেবে মরতাম যে আমি জয় ক’রে মরেছি—সেইটাই আমার আনন্দ—সেই আনন্দই আমার জীবন । ” - আনন্দে গুমিলবিকাশ লাফাইয়া উঠিয়া বলিল, “ব্রেভো ! এত দিনে একটা মানুষ পেলাম ! এত দিন আমি আপনাকেই খুজিছিলাম। দয়া ক’রে কিছু যদি মনে না করেন ত আমি আমার কার্ড আপনাকে দিচ্ছি—আপনিও যদি আমাকে, আপনার সঙ্গে সময়-মত দেখা করতে অনুমতি দেন--” সেই দিন থেকে উস্কার সঙ্গে গুমিলবিকাশের আলাপ । জনবিরল বালিগঞ্জের রাস্ত বহিয়া অচলেশ প্রায় গোধূলিবেলায় পুৰ্ব্বদিনের কথামত উপকৃতের দ্বারে উপস্থিত হইল বেছর লম্বা লেলাম করিয়া রূপার ট্রেতে সুরেশ রায়ের সামাঙ্কিত কার্ডথানাই লইয়া গেল। জচলেশ নিজের নামের কার্ড রাখে লা—বিশেষতঃ ধfহার কার্ড এখন তাহার কাছে ফেরৎ পাঠাইলে নিজের আর কোন পরিচয়ের দরক্ষার স্কুইরে মা, এই ভাবিয়া অচলেশ এইরূপ স্বশীলার পশ্চাৎ পশ্চাৎ সুরেশ ড্রয়িং ক্রমের প্রবেশস্বারে তাকে খঞ্জ করিলেন ; কিন্তু মুসজ্জিত কক্ষের ভিতরে খলিল জলশ একেবারে আশ্চৰ্য হইল গেল জয়, লা পরাজয় ?

সম্মুখে উপবিষ্ট উল্কাকে দেখিয়া উল্কাও তাহাকে দেখিয় । প্রথমে হতবুদ্ধি হইয়া গেল ; কিন্তু সে মুহুর্তমাত্র । । পরক্ষণেই সে উঠিয়া দাড়াইয়া হাসিমুখে আটলেশকে সম্বন্ধন করিয়া বলিল, “কি আশ্চৰ্য্য ।--আপনিই কালকের ‘হিরো’ ? আপনার পেটে এত বিদ্যে, তা তো জানতাম না ?” ', আচলেশ খানিকখামিয়া উত্তর দিল, “বিদ্যে তে। আর দেখিয়ে বেড়াবার দরকার হয় না ? সময় মত কাজে লাগাতে পারলেই হ’ল ।” সুশীলা আগাইয়া আসিয়া বলিল, “এই যে, আপনার দেখচি ওঁর সঙ্গে অাগে থেকেই চেনা-শুনা আছে ?” - অচলেশ শুধু বলিল, “ছা” । - উল্কা কিন্তু সেখানেই থামিল না । বলিল, “চেনা-শুনা আজকের নয় ; অনেক দিনের । কিন্তু উনি যে কি, অঙ্গিও তা বুঝলাম না। এতদিন আমি জানতাম উনি নেহাৎ নিরীহ, গোবেচারী ; কিন্তু আজি দেখছি আবার adventurous-s to 1 a stata stra ga bi s আশ্চর্য্য !’ - o সুশীলা বলিল, “যাক, কথা কাটাকাটি পরে হবে { আসুন, আগে দাদীর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই ।” শ্যামলবিকাশের সঙ্গে আচলেশের পরিচয় কুইল । “ইনিই আমাদের উদ্ধারকর্তা –মিষ্টার—” জচলেশ একটা নমস্কার করিয়া হাসিয়া কহিল, “মিষ্টার-টিষ্টার নই। পুরো বাঙালী—শ্ৰীজচলেশ রায়, পিতা vঅবিনাশ রাস্ত্ৰ ; পৈতৃক নিবাস-মাধবগঞ্জ ; আপাতত:—মং বীডন ষ্ট্রীট।” হঠাৎ শুমলবিকাশের মুখের ভাবাস্তর হইল । কিন্তু হাসি-ঠাট্টার মধ্যে কেহ তাহ লক্ষ্য করিল না । -:* সুশীলা হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিল—“কেমন, দাদা ? এখন কেমন জব্দ ? কি ক’রে পরিচয় দিতে হয়, শুস্লে ? কই, আর যে কথা বলছ না ?” বলিয়া সুশীল দাদীর পরিচয় দিল—“ইনি শ্ৰীশ্যামলবিকাশ চৌধুরী, পিত vনিমাইদাস চৌধুরী, মনোহরপুরের নুতন জমিদার । নুতন বিলাত-ফেরৎ ব্যারিষ্টীৰ ” অচলেশ হঠাৎ যেন চমকিয়া উঠিল । -> 5’ ফুশীলা বলিয়া উঠিল, “বাঁ, রে, আপনি আমাদের পাশের BBB SBBB S BBBBBB BBBB BBB BBB শুনেছি । অথচ এত দিন আপনাকেই জানি না ?” অচলেশ বলিল, “আমাকে জাকে কোখ থেকে— জমি কি আর জানবার মত লোক বাবা হয়ত নামকরা লোক ছিলেন, তাই তার নাম শুনেছিলেন ।” অচলেশ ও স্বশীলার কথায় বাধা দিয়া উল্কা সকৌতুকে বলিয়া উল্কি “খা, খাপনি বেশ ত, মিসেস্ রায় – আমরা যে এতগুলো লোক বসে রয়েছি, আমাদের সঙ্গে,