পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্নিম লণ্ডনের পত্র תא"b উঠেচে । অন্তত এ-জায়গায় আমরা নিশ্চিস্ত । বিজ্ঞান এমন কিছুই বের করতে পারবে না যাতে আমাদের ধৰ্ম্মকে থামক চমকে উঠতে হবে । মালুযশিল্পী ত নানা বস্তুর যোগাযোগ করে সৌন্দৰ্য্য স্থষ্টি করচে, সেটাতে যদি আঁৎকে ওঠবার কিছু না থাকে তবে মানুষবৈজ্ঞানিক অণুপরমাণুর যোগাযোগে প্রাণ স্বষ্টি করলেই বা বিপদ কোনখানে ? না-হয় এক দিন প্রমাণ হবে ধুলার মধ্যেও প্রাণ আছে—তাতে ধুলো বড় হয়ে উঠবে প্রাণ ছোট হয়ে যাবে না । য়েটস যে বইটা এডিট করচেন তা বাদে আরো অনেক তর্জমা জমে উঠেচে—রোটেনষ্টাইন সেইগুলো দিয়ে আর একটা বই ছাপাতে চাচ্চেন—তার মধ্যে তোমার তর্জমাগুলোও যেতে পারবে । রোটেনষ্টাইন বলেন, আমার তর্জমীর নীচেই তোমার তর্জমা তার সব চেয়ে ভাল লাগে । ইংরেজি তর্জমীয় তোমাকে ছাড়াবার অভিপ্রায় আমার কোনোদিন ছিল না—এবং ছাড়িয়েছি ব’লে কোনোদিন কল্পনাও করিনি—গ্রহের চক্রাস্তে গোলেমালে কোনদিন কেমন করে ঘটে গেছে তা জানি নে—অতএব এতে আমার কোনো দোষ নেই । ుని: তোমাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 21, Cromwell Road. South Kensington কল্যাণীয়েষ্ণু— সন্তোষ, দুই তিন মেল তোমার চিঠি পাইনি তাই তোমাকে লিখিনি, জানি যে আমার চিঠি তোমরা কোনো না কোনো স্নামে পাচ্চ। আমার এ চিঠি যখন শাস্তিনিকেতনে পৌছবে তখন শিউলি ফুলের গন্ধে তোমাদের বন আমোদিত হয়ে উঠুেচে এবং স্থৰ্য্যোদয় ও স্বৰ্য্যাপ্ত, শারদীর সোনীর পদ্মবনের আশ্চর্য্য শোভা ধরে লেখা দিচ্চে । সেই চিরপরিচিত্ত "জানন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে এখানকার আকাশের বিরুদ্ধে আমার মাথার অভুক্তি জগচে । আমার মন বলচে, এখানকার জাকাশের মধ্যে রূপের খেয়াল নেই, সে মানুষের মন ভোলাতে চায় না । এখন জ্যোৎস্না له لاسه $ রাত্রি কিন্তু সে কেবল পজিতেই দেখি–নিশ্চয়ই আকাশে তার অাছে কেননা অ্যাষ্ট্রনমিতে তার বিবরণ পাওয়া যায় এবং মেৰ যে আছে সে-সম্বন্ধে সন্দেহ করবার লেশমাত্র হেতু নেই। এখানকার আকাশ এই রকম কালো ফ্রককোঢ় এবং কালে চিমুনিপটু টুপি পরে অত্যন্ত ভব্যভাবে থাকে বলেই এখানকার লোকের কাজকম্মের কোনো ব্যাঘাত হয় না। আমাদের দেশের আকাশ আমাদের কাজ ভোলায় ; শরৎকালের সোনালি আলোয় আপিস আদালত মাটি করে দেয়—আকাশ আপনার সমস্ত জানালা দরজা এমন ক’রে অহোরাত্র খুলে রেখে দিয়েছে যে মন সে অমিস্ত্রণ একেবারে অগ্রাহ করতে পারে না । আমাদের বৈষ্ণব কাব্যে সেইজন্তেই যে বাশি বাজে সে বাশি কুলবধুর কুলের কাজ ভুলিয়ে দেয়—সে আমাদের সমস্ত ভালোমন্দ থেকে বহির ক’রে আনে । কিন্তু এমন কথা এ-দশের লোকে মুখে আনতেই পারে ন+এমন কি ভগবান আমাদের ভোলাচ্চেন এ কথা শুনলে এরা কানে হাত দেয় । কেন-ন এদের আকাশে এই বাণী অবরুদ্ধ । আমাদের আকাশ ধে ছুটির আকাশ, এদের আকাশ আপিসের আকাশ । এদের আকাশে ঘণ্টা বাজে আমাদের আকাশে বাশি বাজায় । সেই জন্তে এরা বলে জীবনসংগ্রাম, আমরা বলি জীবলীলা । ভগবানের লীলার রূপ এখানে আবৃত হয়ে রয়েচে । এহু জষ্ঠেই এরা বলতে চায় তিনি নিজেকে পাবার জন্তে নিজে যুঝচেন । তার মধ্যে কোনখানে বিরাম নেই । কিন্তু আমরা যে নিজের চক্ষে দেখতে পffচ্চ সমস্ত কাজকে ছাড়িয়ে একটি মনোমোহন আনন্দরূপ আপনার অহৈতুক সৌন্দর্য্যের মধ্যেই প্রকাশ পাচে । সেই কাজের বাড়ীকে যদি স দেখতে পাই তাহ’লে কাজের বেড়ি আষ্টেপুষ্টে বেধে ধরে । কাজের চেয়ে বড়কে হৃদয়ের পদ্মাসনে বসিয়ে তবে কাজ করতে হবে । আমরা সেই বিরামকে দেখেচি, সেই সুন্দরকে দেখেচি, আমরা সেই বাশি শুনেচি । কিন্তু বাশি যখন আমাদের টেনে আনে তখন যে পথ দিয়ে আমাদের নিয়ে আলে, সেই দুর্গম পথটাকে আমরা এড়িয়ে চলতে চেয়েচি । এইখানেই আমরা একেবারে ঠকে গেছি। কেবল রাশি শুনলেই তো হয় না, বাশি