পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন মেয়েদের ঘরের বাহির হওয়ার রীতি তখন ছিল ন, নিতান্ত অস্ট্রিীয় ঘর না হইলে এই দুই বনিয়াদী ঘরের বধু বা কঙ্কার উৎসব উপলক্ষ্যেও অন্তর যাইতেন না। তবু শত্রুর গোষ্ঠীর সকল খবরই ইহার ঘরে বসিয়াই রাগ্নিতেন । কার কয় ছেলে কয় মেয়ে, কোথায় তাহাদের বিবাহ হইতেছে, নুতন কুটুম্ব কিরূপ অর্থ ও প্রতিপত্তিশাশী, এ সকল খবর ত ৰাড়ির পুরুষদের নিকট হইতেই তাহারণ পাইতেন । ইহা অপেক্ষীও অন্দরমহলের খবর যাহা, যথা, কোন বধু কত অলঙ্কার লইয়া আসিল, কোন মেয়ের ঐ কিরূপ, স্ত্রীপুরুষে কোথায় মনের মিল আছে এবং কোথায় নাই, তাহাও ইহার নানা উপায়ে জানিয়া রাখিতেন । নিম্ন শ্রেণীর প্রজা যাহার, তাহীদের ঘরের মেয়েরা ত অন্দরমহলবাসিনী নয়, কাজের খাতিরে সর্বত্রই তাহারা ঘুরিয়া বেড়াইত । জমিদার-বাড়ির অস্তঃপুরেও ইহাদের গতিবিধি অবাধ ছিল । জেলেনী মাছ লইয়া, তাতিনী শাড়ী লইয়া, যখন-তখন দেউড়ির দরোয়ানকে অগ্রাহ করিয়া সোজাসুজি ভিতরে চলিয়া যাহত । সুতরাং বেশ সহজেই এক বাড়ির হাড়ীর খবর আর এক বাড়িতে গিয়া পেীfছত । যে-সময়কার কথা হইতেছে, তখন গুহ-বংশ উজ্জ্বল করিয়া আছেন চঞ্জকাস্ত গুহ এবং মিত্ৰ-বংশের মৈত্রীর অভাব সবচেয়ে জোয়গলায় প্রচার করিতেছেন করালীকিঙ্কর মিত্র। পূৰ্ব্বেকার ধনবল এবং জনবল অনেকটাই কমিয়া গিয়াছে, আশা আছে এই ভাবে চলিতে থাকিলে, যাহকিছু অবশিষ্ট আছে, তাৰাও শেষ হইতে বিলম্ব হইৰে না, বড়-জোর আর দুই পুরুষ চলিবে । কিন্তু তাই বলিয়া পিতৃপিতামহের নাম ডুবাইয় দেওয়া চলে না, তাহার। যে ভাবে স্বাহ করিয়া গিয়াছেন, ইহাদের আমলেও ঠিক সেই ভাৰেই তাঁহা চলিতেছে । * . কালীকিঙ্কয়েরই অবস্থা এই দুই বংশের মধ্যে একটু বেশী কাছিল ইয়া পড়িয়াছে। উপরি-উপরি কয়েকটা ऑग्नि भांभलग्न डिमेि हjब्रिञ्च क्रिीब्रांद्रश्न, uप* झङ्गाँठे कछांब्र DBB DD DD BBDS BBB BB BBBB BB পাঞ্জগাই। সামঞ্জী অনুবাদী ভিজি উঠতি ধর ৰৱঞ্চুরি দেখিয়া কষ্ঠ দিয়াছিলেন, এবং পড়তি ঘর বইতে বন্ধু আনিয়াছিলেন । সুতরাং কল্পগণ শ্বশুরবাড়ি যাইবার সময় অলঙ্কারে ও অর্থে উঠতি ঘরের বধুর উপযুক্ত ভাবেই গেলেন, বধুরা আসিলেন শুধু বিপুল কুলগৌরব লইয়া । এখনও এক পুত্র ও এক কস্তার বিবাহ বাকী পুত্রটি, দুর্ভাগ্যক্রমে পরিবারের উপযুক্ত নয় । দেখিতে সে ভাইদের চেয়ে ঢের কালো ও দুৰ্ব্বল, আভিজাত্যের অন্ত অনেক গুণ হইতেও বঞ্চিত । অল্প বয়স হইতেই মহিষবলি দেখিলে সে কাদিয়া ভাসাইয় দেয়, বীপের চাবুকের ভয়ও তাঁহাকে সেখানে ধরিয়া রাখিতে পারে না । উৎপীড়িত প্রজাকে লুকাইয়া অর্থসাহায্য করিয়া মাসে, দণ্ডিত প্রজাকে রাতারাতি জমিদারীর সীমানা পার করিয়া দিয়া আসে । শিকার-খেলা, বাঈনচে দেখা, ও আনুষঙ্গিক আমোদ-প্রমোদে তাহার কোনই উৎসাহ দেখা যায় না, দিবরাত্রি বই পড়া ও বাগান করা লইয়াই তাহার দিন কাটিয়া যায় । বাড়িতে সকলেই তাহাকে কৃপামিশ্রিত অবজ্ঞার চক্ষে দেখে, এক তাহার মা ছাড়া । মঞ্চ ছেলের ব্যবহারে একটু যে লজ্জিত নয়, তাহ নয়, তবে তাহার প্রতি সহানুভূতির ভাবটাই বেণু । তাহারই বংশের কোনো এক পূৰ্ব্বপুরুষ শক্তি-বংশের মুখে কালি দিয়া বৈষ্ণব হইয়া নবদ্বীপে চলিয়া গিয়াছিলেন বলিয়া শুনা যায় । এই ছেলে তাহারই স্বভাব পাইয়াছে বলিয়া সকলে তাহাকেই খোটঃ দেয় । যাহার জন্ত অত কথা সহিতে হয়, তাহাকে একটু বেশী রকম ভাল না বাসিয়া মা পারেন না । ছেলের সব অবিপ্লয় তাহারই কাছে ; এ-ছেলে পারতপক্ষে যেমন বাপের ছায়া মাড়ায় না, অন্ত ছেলেরাও তেমনি মায়ের সংসর্গ অনেকখানি এড়াইয়া চলে। বিমল যে মায়েরই গোপন প্রশ্রয়ে এতখালি মাটি হইয়াছে, এ-বিষয়ে কাহারও কোনে সন্দেহ নাই। ভাইরাও খোলাখুলি ভাবে তাহাকে ৰোষ্টম ঠাকুর বলিয়া ডাকে, এবং মালা তিলক ধারণ করিয়া বৃন্দাবনে চলিয়। যাইতে উপদেশ দেয় . . 鷺 অন্ত ভাইদের সবষোল-সতের বৎসর বয়সেই বিবাহ হইয় গিয়াছে। বিমলের বয়স কুড়ি পাৱ হইয়া একুশে চলিতেছে, তবু এখনও তাহার বিবাহ হয় নাই। মায়ের ইচ্ছা বিবাহ শীঘ্রই হয়, নরত ছেলে সত্যই হয়ত কোনদিন সন্ন্যাসী হইয় }