পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রক" אבר"ט সক্ষিত এরূপ ভাৰে সংযুক্ত থাকে যে, তিমির ইহাকে প্রায় সঞ্চালন করিতে পারে না । ইহাকে জিছা না বলিয় একটি প্রকাণ্ড পুরু চৰ্ব্বির গদি বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । এই জিহবা হইতে বহু পরিমাণ চৰ্ব্বি পাওয়া শ্বেত ভলুক—তিমির শত্র যায়। ইহাঙ্গের মুখের মধ্যে লালানিঃসরিক গ্রন্থি নাই বলিলেই হয় । তিমিদের চক্ষু উহাদের দেহের অনুপাতে এরূপ ক্ষুদ্র যে, তাছা লক্ষ্য করাই যায় না । ইহাদের চক্ষু বৃষচক্ষু অপেক্ষ বৃহৎ নহে। ৭৬ ফুট দীর্ঘ এবং ৩৮ ফুট উচ্চ তিমির মস্তকে এই প্রকার চক্ষু থাকিলে তাহা সহজে দৃষ্টিগোচর হওয়া সম্ভবপর নহে। মৃত্যুর পর এই চক্ষু শুকাইয়া মটরের আকার ধারণ করে । চতুষ্পদদিগের মত তিমির চক্ষুতে পাতা থাকে এবং সেই পাতা হইতে অক্ষিপক্ষ বাহির হয় । ইহাদের চক্ষু দুইটি মস্তকের পিছনে এমন স্থানে উদগত হয় যে, সম্মুখ পশ্চাৎ এবং উদ্ধ দিকের দর্শনে কোনও ব্যাঘাত ঘটে না । ইহাদের দৃষ্টিশক্তিও নিতান্ত মন্দ নহে। ইহাদের শ্রবণশক্তি বিশেষ জীক্ষ । বহুদূরের সামান্ত শব্দও ইহীরা আশ্চর্য্যন্ধপে অনুভব করিতে পারে । মস্তকের જ્યનાં ইহাঙ্গের কর্ণের কোন চিহ্ন দেথা যায় না । বাছিয়ে চৰ্ম্মাবরণ তুলিয়া ফেলিলে চক্ষের পিছনে কালে দাগ দেখিতে পাওয়া যায়। এই দাগের নিয়েই ইহাঙ্গের "শ্রষণয়স্থ, বর্তমান থাকে প্রখর শ্রবণশক্তির নিমিও ইহাদের নিকট অগ্রসর হওয়া সকল সময় সম্ভবপর ఏSBS হয় না । ইহারা যখন সমুদ্রের উপর লাফাইয়া ক্রীড়া করে বা নাসারন্ধ, দিয়া বেগে মুখমধ্যস্থ জলকে উৎসাকারে বাহির করিয়া দেয় শিকারীরা তখনই সস্তপণে ইহাদের সন্নিকটে উপস্থিত হইয়া থাকে। ইহাদের নাসারন্ধ, মস্তিষ্কের পুরোভাগে অবস্থিত । অধিকাংশ তিমির মস্তকের উপরে একটি মাত্র নাসারন্ধ থাকিতে দেখু যায় । এই রন্ধটি ভিতরে দুই ভাগে বিভক্ত । গ্রীনলাও-তিমির মস্তকের দুই পাশ্বে দুইটি নাসারন্ধ, আছে । ইহাদের নাসিকার রন্ধগুলির আকার গোলাকার নহে । বেঙ্গtলার খোলের উপরকার গর্তটির আকার যেরূপ বক্রভাবের ইহাদের নাসারদের আকৃতিও কতকটা সেইরূপ । শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যতীত এই রন্ধ দ্বাৰা ইহার মুখমধ্যস্থ জলকে বেগে উৎক্ষিপ্ত করিয়া বাহির করিয়া দেয় । জলে নিমজ্জিত হইবার সময় ইহার নাসারন্ধকে একটি মাংসপেশী দ্বারা একেবারে বন্ধ করিয়া দিতে পারে । তিমিরা সাধারণতঃ দুই-তিন মিনিট অস্তর শ্বাসগ্রহণ করে এবং এই উদ্দেশ্যে ক্ষণে ক্ষণে জলের উপর তলোয়ার মাছ--তিমির শত্রু ভাসিয়া উঠে । ভীত বা তাড়িত হইলে অদ্ধ ঘণ্টা কাল অবধি ইহীরা সিন্ধুগর্ভে ডুবিয়া থাকিতে পারে। প্রশ্বাস-ত্যাগকালে ফুসফুসের উষ্ণ বায়ুরাশিকেও ইহার ছয় হইতে আট ফুট উদ্ধে বাষ্পাকারে ফোয়ারার মত বাহির করিয়া দেয়। নাসাপথে ইহাদের জলোৎক্ষেপণের শব্দ দুই-তিন মাইল দূর হইতে শুনিতে পাওয়া যায় । আহত তিমির ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দও ঝড়ের মত বহুদূর হইতে শ্রতিগোচর হইয়া থাকে । ইহাদের তিনটির অধিক ‘পাখনা থাকে না । এই পাখনা যে বাস্তবিকপক্ষে ইহাদের হস্ত তাহা পূৰ্ব্বে উল্লেখ করিয়াছি। দেহের দুই পাশে দুইটি এবং