পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৃষ্ঠের উপর মাত্র একটি করিয়া ইহাদের পাথনা থাকে। পার্থের পাখন দুইটি প্রায় ছয় ফুট দীর্ঘ হইয় থাকে। এই পাখনার সাহায্যেই ইহার ইচ্ছামত বামে বা দক্ষিণে ফিরিয়া থাকে। কোন কোন তিমির পৃষ্ঠের উপরকার পাখনাটি থাকে না । তৈলতিমির পাঙ্গের পাখন ত্রিকোণাকার । দেহের তুলনায় ইহাদের পাখনা দুইটি অতি ক্ষুদ্র বলিয়া প্রতীয়মান হইয়া খুকে । ইহাদের চৰ্ম্ম অত্যন্ত মন্থণ । পুষ্ঠের উপরিভাগের টৰ্ম্মের বর্ণ কৃষ্ণ এবং উদরের চৰ্ম্মের বর্ণ শ্বেত হইয়া থাকে । চৰ্ম্মের উপর আবার কথন কথন শ্বেত ও হরিদ্র বর্ণের বহু দাগ থাকিতে দেখা যায় । পুচ্ছ ও পাখনার উপরেই এই বর্ণচিত্রণ বিশেষভাবে লক্ষিত হইয়া থাকে । এই চিত্রণের মধ্যে কথন কখন ঘরবাড়ি ও গাছপালার মত অঙ্কিত থাকিতে দেখা যায় । একবার এক জন প্রাণিতত্ত্ববিদ একটি তিমির পুচ্ছের উপর ইংরেজী সংখ্যায় ১২২-এর মত চিত্রাঙ্কন থাকিতে দেখিয়াছিলেন । তিমিদের দেহের উপরকার চৰ্ম্ম তুলট কাগজের মত পুরু । এই চৰ্ম্মের নিম্নে এক ইঞ্চি পুরু আর একটি চৰ্ম্ম ; এই শেষোক্ত চৰ্ম্মটিই ইহাদের প্রকৃত চৰ্ম্ম । এই পুরু চৰ্ম্মের নিয়েই ইহাদের দেহে দশ-পনের ইঞ্চি স্থল বসার উৎপত্তি হইয় থাকে। এই বস তুষারাবৃত উত্তর-মেরু-সমুদ্রে ইছাদের দেহতাপ রক্ষণ করে। এই বসার স্তর তুলিয়া ফেলিলেই ইহাদের মাংস ও মাংসপেশীসমুহ দেখিতে পাওয়া যায়। ইহীদের মাংসপেশীগুলি দেখিতে অবিকল চতুষ্পদদিগের মত। তিমির স্বাস্থ্য ভাল থাকিলে ইহাদের বসা বেশ সুন্দর হরিদ্র ঘর্ণের দেখাইয়া থাকে ভৈঙ্গতিমির মস্তকে ও গ্রীনলাও-তিমির দেহে অত্যধিক পরিমাণে গলার উৎপত্তি হইয়া থাকে । বসার নিমিত্তই কেবল মাত্র এই দুই জাতীয় তিমিকে অত্যধিক পরিমাণে শিকার করা হয় । ৬৪ ফুট লম্বা একটি তিমির দেহ হইতে অল্পাধিক ৮•• মণ বসা প্রাপ্ত হওয়া যায়। একটি স্ববৃহৎ গ্রীনলীগু-তিমি হুইতে প্রায় ৩৭৮০ মণ হইতে ৪৫৯০ মণ অবধি তৈল প্রাপ্ত হওয়া যায়। তৈলতিমির স্ববৃহৎ মস্তকটি বসার পরিপূর্ণ থাকে । একএকটি তৈলতিমির মস্তক হইতে প্রার ৫** গ্যালন বসা 3 : sశాs* { পৃথিবীর স্বহত্তম জন্তু বাহির করা হয় । ইহাদেৱ মস্তকের বসাকে ইংরেজীতে ***itúteost” (Spermaceti) zza; 1. fšął s osদ্রব্যাদি নিৰ্ম্মাণের জন্তই তৈলতিমির মস্তকের বসা ব্যবহৃত হইয় থাকে। এই ভাবে বসায় পরিপূর্ণ না থাকিলে এই কটুল ফিশ তিমির খাদ্য বৃহৎ মস্তক লইয়া চলাফের করা ইহাদের পক্ষে অসম্ভব হইয়া উঠিত । বসায় পরিপূর্ণ থাকায় ইহাদের মস্তকটি লঘু হইয়া ভাসিবার উপযোগী হইয়াছে । তৈলতিমির দেহ হইতে য়্যাম্বারগ্রিস aেmbergris) নামক একপ্রকার পদার্থ পাওয়া যায় । ইহাদের অস্ত্রমধ্যে পিত্ত পাথরীর মত এই পদার্থের উৎপত্তি হইয়া থাকে । ইহা একটি তিন-চারি ফুট লম্বা থলির ভিতর তৈলাপেঙ্ক এক প্রকার তরল পদার্থের মধ্যে বলের মত, শ্বায়িত থাকে। এই বলের বর্ণ হরিদ্রাভ এবং এক-একটি রণ ওজনে অৰ্দ্ধ সের হইতে দশ সের অবধি হইয় থাকে। থলির মধ্যে চারিটির অধিক ‘ম্যাম্বারগ্রিসের বুল থাকিতে দেখা যায় না। এক শ্রেণীর জীবতত্ত্ববিদেরা বলেন যে, য়্যাম্বারগ্রিস পীড়িত, তৈলতিমির ঘকুতজ পদার্থবিশেষ । সকল তিমির উদরে স্ক্যাম্বারগ্রিস থাকে না। সৰ্ব্বাপেক্ষা বলবান , ও বয়স্ক তিমিদের উদরেই ইহার উৎপত্তি ছইয়া থাকে । এই পদার্থকে তিমির মধ্যে মধ্যে দেহ হইতে বিষ্ঠার মৃত বাহির করিয়া থাকে । ইহার গন্ধ ঈষৎ মিষ্ট ও মেটে ভাবের। য়fটলান্টিক