পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশ্বিন ভাল লোক নয়। চোখের স্বমুখ হইতেই বশি চুরি কৰি পলক্ষণ করিতে ছ ; দূরে চোখের আড়াল হইলে কি আর ঝাত্ত্বেন্ধ চিহ্ন রাখিত ? শুধু তাহাই নয়। এই অতি তুচ্ছ ডেবিটিই এ-পাড়ার একটি মূল্যবান সম্পত্তি । সম্বৎসরের শাক ইহাতেই উৎপন্ন হয়। তাহা তুচ্ছ করিবার বিষয় নয় । ঘাটের উপর সম্মুখ দিকে হাত দুই মাত্র স্থান ছাড়া বুকী সমস্তই শাক, শকি, শাক-জল নজরে পড়ে না । এক-এক পরিবার এক-একটি মাত্র কঞ্চির সাহায্যে অদ্ভুত কৌশলে নিজের নিজের শাক আটকাইয়া রাখিয়াছে । এদিকের শাক ওদিকে যাইষীর উপায় নাই । তাও কি অীর যায় না ! কিন্তু সে কচিৎ । তখন এই শাক লইয়াই একটা ফৌজদারী বধিয়া যায় । কিন্তু শুধুই কি শীক ! আপনি নয়টা-দশটার সময় যদি এদিকে আসেন, দেখিবেন,—অবশ্য একটু লক্ষ্য করিয়া দেখিতে হইবে,—দেখিবেন, একটি বৃদ্ধ সেই বাশবনের নীচে অন্ধকারে অন্ধকারে ব:কর মত সস্তপ:ণ পা ফেলিয়া মাছ ধরিয়া বেড়াইতেছে । তাঁহার বা-হাতে একটা ভাঙা এনামেলের রটিতে কতকগুলা কেঁচো এবং একটা সরু তালপাতায় গঁথা কতকগুলি স্তাটা, মাগুর ইত্যাদি মাছ । তিন-চারিটি মাত্র । এই কয়টি সংগ্ৰহ করিতেই তাহাকে স্বার-স্ত্রই ডোবার ধীরে ধীরে পরিক্রমণ করিতে হইয়াছে । এই লোকটিই নদীই ঘোষ । বয়স পঞ্চাশের বেশী হইবে না । কিন্তু দেখিলে মনে হয় ষাটের কাছাকাছি । মাথার চুলগুলি সব পাকিয়া গিয়ছে । মুখে ঘেঁচি থেচ দাড়ি । শীর্ণ, দীর্ঘ দেং,—কোমর বাকিয়া গিয়াছে । চোখ কোটর-প্রবিষ্ট, চর্শ্ব লোল এবং কর্কশ । বঁী-পখিলা অস্বাভাবিক রকম সক্ষ । সেজন্য গ্ৰেীড়াইয়া ষ্ট্ৰেীড়াইরা খাটে । মুখে ধাতু খলিতে একটিও নাই। শীর্ণ ভাঙা গাল একেবারে মুখের ভিত্তরে প্রবেশ করিয়াছে । গুৰু শাক নয়, তাছার লম্বৎসরের মাছন্ন স্রররাহ করে । অভাব কেবল অঙ্গের এবং বস্ত্রের। কিন্তু সে আর কতই స. : বা এক জোড় বস্ত্রে তাহার দিব্য একটা বলের দিন যায়। আর অগ্ন ? একটা পেটে ; কতইৰা লাগে ? সপ্তাহে দুইটা দিন মুনিষ থাটিলেই সে-অম্লের সংস্থান হইত। যত দিন শরীরে সামর্থ ছিল তার বেশী সে কখনও খাটেও নাই। নিতাস্ত নিরুপায় হইয়। যদি কখনও কেহ মাঠে খাটিবার জন্ত তাহাকে ডাকিতে আসিত, পেটের ব্যথার অজুহাতে প্রায়ই তাঁহাকে সে ঘুরাইয়া দিত। লোকটা উহারই মধ্যে একটু শয্যাবিলাসী । বেলা নয়টার আগে আর তাহার অতি-পুরাতন ছিন্ন মলিন শয্যার বহিরে পারতপক্ষে আসে না । ষখন শরীরে সামর্থ্য ছিল তখনও আসিত না, এখনও না । অবশ্য শরীরে সামর্থ্য ছিল বলিতে এ-কথা বুঞ্চিলে ভুল হইবে যে, এককালে তাহার শরীরে যথেষ্ট সামর্থ্য ছিল । যথেষ্ট সমর্থ তাহার কোন কালেই ছিল না । চিরদিনই অমনি চ্যাঙ এবং লিকলিকে দেহ, কোলের কাছে কুজো । গত পচিশ বৎসর কাল বছরে ছয় মাস ম্যালেরিয়ায় ভূগিলে সামর্থ আর থাকে কি করিয়া ? তা নয়, তবে পেটের ভাতের সংস্থানের জন্ত সপ্তাহে দুই তিন দিন মাঠে থাটিতে যেটুকু সামর্থ্যের প্রয়োজন হয় সেটুকু সমর্থ্য এতকাল ছিল । কিন্তু গত দশ বৎসর হইতে আর তাহাও নাই । এখন আর মাঠে থাটিতে পারে না । সে একপক্ষে ভালই হইয়াছে। সকালবেলায় মাঠে খাটিতে ঘাইবার জন্ত এখন আর কেহ অকালে নিদ্রাভঙ্গ করিয়া বিরক্ত করিতে আসে না । বেল: নয়টা পৰ্য্যস্ত নিৰ্ব্বিম্নে ঘুমটা হয় । ডোবার মাছ এবং শাক ত আছেই। আর আছে ডোবার ধারে কয়েক ঝড় বাশ। তাহা বিক্রয় করিয়া তাহার বৎসরের কাপড়, দুখানির দাম ওঠ । আর. . . . . এইখানেই তাহার ভাগ্যকে অসাধারণ বল চলে। যৌবন নদাই ঘোষের বিবাহ হয় নাই। কতকটা , কল্পাপক্ষীয়দের দোষে । পণন লক্ট কেহই এই স্নপত্রের ডেৰিয়ঃ ওঁধীরে তাছার বাড়ি এবং এই ডোবটি হাতে কল্প সম্প্রদান করিড়ে জল্পত হয় নাই। কতকটা তাছার নিজের অলসভায় { তাহtয় নিজের তরফ হইতেও’ কোন আগ্রহ দেখা যায় নাই। আর কতকটা আত্মীয়