অশ্বিল বিবিধ প্রস্ট কোন্সিল বা লওন জেলাবোর্ড দ্বারা নিৰ্বাহিত হয় তাহার ১৯৩৪ সালের হুইটেকাস" শিক্ষাসম্বন্ধীয় কাজের বিষয়ে রালিমানিকের ৬৭৩ পৃষ্ঠায় লিখিত হইয়াছে :– “The Education service involves an annual expendituro of nearly £ 13,000,000.” “কোঁন্সিলের শিক্ষাবিষয়ক কাজে বাধিক প্রায় এক কোটি ত্রিশ লক্ষ পৌণ্ড খরচ হয় ।” এই বহির ৬৭৪ পৃষ্ঠায় লগুন কৌটি কৌঙ্গিলের শিক্ষাবিষয়ক বায়ের ঠিক পরিমাণ, দেওয়া আছে । তাহ ১,২৭,১৭,৩৫৪ পৌণ্ড । বিলাতী এক পৌণ্ড আমাদের ১৩ টাকার সমান । ১,২৭,১৭,৩৫৪ পৌগু আমাদের টাকার সমান । তাঁহা হইলে লগুন জেলা বেড়ে ৪৩,৯৬,৮২১ জন অধিবাসীর শিক্ষার জন্ত প্রায় সতর কোটি টাকা খরচ করেন। . 9,അ@,ഴ8,9:ം ভারত-গবন্মেন্টের এডুকেশুন্তল কমিশনার স্তর জজ এগুসন ১৯২৭-৩২ সালের ষে পঞ্চবার্ষিক শিক্ষা-রিপোট' লিথিয়াছেন, তাহার দ্বিতীয় ভলুমের ৭১ পৃষ্ঠায় লিখিত হইয়াছে, যে, ভারতবর্ষের সমুদয় প্রদেশের ১৯৩১-৩২ সালের শিক্ষাব্যয়ের বে-তাংশ গবন্মেণ্ট দেন, তাহার পরিমাণ ১২,৪৬,০৭,৭৯৩ টাকা । এই বার কোট টাকালগুন জেলার যোল কোটির চেয়ে কম কথা উঠতে পারে, বে, জেলাবোর্ডও মিউনিসিপালিটিসমুহ শিক্ষার জন্ত ईश बाष्ट्र করেন, তাহাও সরকারী টকি এবং তাহীও }রকারী শিক্ষাব্যয় বলিয়। গণিত হওয়া উচিত । তথাস্তু । -ভারতের সমুদয় ডিট্রিক্ট বোর্ডগুলি ২,৮০,১১,৩১৩ টাকা ནི། ཤྭ་༤ भिछिमेिनिপালিটিগুলি ১,৫৮,১৭,২২২ টাকা ཝུལ། জন্ত ব্যয় করিয়াছিলেন । এই দুটি টাক; গবন্মেণ্টের কার সহিত যোগ করিলে মোট সরকারী শিক্ষাব্যয় হয় ১৬৮৪,২৫,৬২৮ টাকা । কিন্তু সমগ্র ব্রিটিশ-ভারতের সরকারী শিক্ষাব্যয় এই ১৬,৮৪,২৫,৬২৮ টাকাও লণ্ডন জেল বোর্ডে শিক্ষাব্যয় ১৬,৯৫,৬৪,৭২০ টাকার চেয়ে কম । ব্রিটিশ-ভারতের ২৭,১৭,৮০,১৫১ জন অধি শিক্ষার নিমিত্ত এদেশে সরকারী ব্যয় যত হয়, বিলীতে একটি জেলাবোর্ড তাঁহার চুয়াল্লিশ লক্ষ লোকের জন্ত তাহ বেশী রায় করেন। এক দিকে সীতীশ কোটি মন্ত্রী, অন্ত দিকেচুয়াল্লিশ লক্ষ মঞ্জুষ । \ \ హిషిగ్ళి বিলাতে শিক্ষার জন্ত যে এত বেশী খরচ হইতে পারে, তাহার কারণ তথাকার লোকের ধ্বী ও স্বশাসক ; তাহার বেশী ট্যাক্স দিতে সমর্থ এবং এই ট্যাক্সের টাকা কিরূপে খরচ হইবে, তাহার চুড়ান্ত নির্দেশ তাহাদের প্রতিনিধিরাই করে । আমাদের দেশে শিক্ষার জন্ত বেণী খরচ হইতে পারে না এই জন্ত, য়ে, আমর! ধনী ও স্বশাসক নহি; বেশী ট্যাক্স দিতে পারি ন; এবং যাহা দিই, তাহা কিরূপে বায়িত হইবে তদ্বিষয়ে চূড়ান্ত নির্দেশ কুরিতে আমরা বা আমাদের প্রতিনিধিরা অসমর্থ। ব্রিটেনের ধনী হইবার একটি কারণ, ভারতবর্গ অষ্টাদশ শতাব্দীতে তাহীর অধিকারে আসিয়াছিল এবং এখনও অধিকারে আছে । যে-দেশ ব্রিটেনের অধিকারে আসা ও খাকা ব্রিটেনের ধনী হইবার একটি কারণ, সে-দেশের নিজেরও ধনী হইবার সম্ভাবনা আছে। এবং পৃথিবীর কোনও দেশের পক্ষেই স্বশাসক হওয়া অসম্ভব নহে। উদ্যোগ ও একাগ্র চেষ্টা থাকিলে আমরা স্বশাসক ও ধনী হইতে পারি, এবং শিক্ষার জন্ত যথেষ্ট ব্যয় নিজেরা করিতে পারি ও গবন্মেণ্ট, মিউসিপালিটি ও জেলাবোর্ড প্রভৃতিকে কবীইতে পারি । শিক্ষার উপর এত জোর আমরা দিতেছি এই জন্ত, যে, শিক্ষা ব্যতিরেকে আমরা পৃথিবীর অঙ্গ সভ্য ও বড় জাতিদের সমকক্ষ কখনও হইতে পারিব না । অতএব, আমরা দরিদ্র হইলেও, সুস্থ সবল থাকিবীর খরচ ছাড়া অন্ত সব খরচ কমাইয়া ব| ছটিয়া দিয়া, শিক্ষাতে অর্থ, সময় ও শক্তি নিয়োগ করা আমাদের কর্তব্য । নারীহরণাদি অপরাধ বৃদ্ধি ১৯৩৩ সালের বঙ্গীয় পুলিস রিপোটে লিখিত হইয়াছে, যে, ঐ সালে নারীহরণাদি অপরাধ বড়িয়াছে । ১৯৩২ সালেও যে উহা বাড়িয়াছিল, তাহাও প্রসঙ্গতঃ ঐ রিপোটে লিখিত হইয়াছে । ১৯৩২ সালের পুলিল রিপোর্টে তাহ লিখিত হইয়াছিল, কিন্তু সেই সালের বঙ্গীয় শাসন রিপোর্টে প্রমাণ করিবার চেষ্টা হইয়াছিল, যে, ঐন্ধপ অপরাধ বাড়ে নাই।
