পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8مgه রামহরি বলিলেন, “এই যে পরীক্ষাটা হয়ে যাক, এখন কিছু ব্যস্ত আছে কি-না ?” কাস্তি বলিল, “শুর ভরসা কল্প। গেলেই বি-এ পড়তে মুরু করবে ত?” রামহরি অতি অবুঝ মাকুব, বলিলেন, “তা আর কি করা যাবে বল, কটা বছর একটু কষ্ট করেই চলবে । কাস্তি মুখ হাড়ি করিয়া চলিয়া গেল । এতদিন পর্য্যস্ত তলে তলে নানাপ্রকার ভাঙচি দিয়া উমার বিবাহ সে ঠেকাইয়৷ রাথিয়াছে, কিন্তু চিরকালই কি পরিবে ? লতা আই-এতেও প্রথম হইল এবং সত্যই বি-এ পড়িতে আরম্ভ করিল। কিন্তু বি-এ পরীক্ষা দিতে যখন অrর মাস তিন মাত্র বাকি, সেই সময় হঠাৎ এক কাণ্ড ঘটিয় তাহার জীবনে মস্ত একটা উলটুপালট হইয়া গেল । -লতা দেখিল, যতই কেন-ন নিজের জীবনের সব ব্যবস্থা সে করিয়া থাকুক, তাহারও উপরে এক জন অদৃশু দেবতা বসিয়া আছেন, র্তাহার বিধির উপর কথা নাই । উমার দাদা বিনয় হঠাৎ পীড়িত হইয়া পড়িয়াছে । ডাক্তার বলেন অতিরিক্ত খাটুনি এবং পুষ্টির অভাবই এ রোগের মূল । এই সময় সাবধান না হইলে, ক্রমে ক্ষরোগে দাড়ানও অসম্ভব নয়। কাস্তি রোজ দুপুরে থাইয় বাহির হইয়া স্বাক্ষ, বাড়ি ফেরে রাত এগারটায়। জিজ্ঞাসা করিলে বলে, “বিনয়ের কাছে থাকি। ডাক্তার তাকে একটু চিয়ারফুল্ল রাখতে বলেছে।” সে-দিনও সে নিম্নমমত বাহির হইয়া গেছে। লতার টেষ্ট হইয়া গিয়াছে, এখন সে বাড়িতে থাকিয়া পড়ে। পড়িতে পড়িতে একবার জানাল দিয়া বাহিরে চাহিয়া দেখিল, রোদ পড়িয়া আসিতেছে, বাবার চা খাইবার সময় হইল বোধ হয়। চেয়ার হইতে না উঠিয়া বামুন-ঠাকরণকে ডাক দিদু বলিল, “বামুন-ঠাকরুণ, চাষের জল চড়িয়ে দাও, আর চারটি চিড়ে ভাজ * লতার স্বরের পাশেই কাস্তির ঘর। হঠাৎ বিবর্ণ পাংশুমুখ, আর দুই চোখভর জল লই। কান্তি হন হন করিয়া ছুটিয়া জালিয়া দড়া করিয়া নিজের ঘরের দরজা বন্ধ कडिझे দিল। ভtহার কান্নার শব্দ এ ঘর হইতে স্পষ্ট শোনা যাইতে লাগিল । - বৃথা, আই-এ হয়ে প্রেবাসনা স্ট -Sه লতা একেবারে অবাক হইয়া গেল । এ আবার কি কাগু ? দিন দুপুরে দাদা কাদিতে বসিল কেন ? লতার মনে হইতে লাগিল, হঠাৎ মাঝের দশ-বারটা বৎসর তাহার জীবন হইতে মুছিয়া গিয়াছে, সে আবার বাল্যকালে ফিরিয়া গিয়া ছে চর্কাজুনে কাস্তিকে লামলাইয় বেড়াইতেছে। অনেক ঠেলাঠেলির পর ত কাস্তি দরজা খুলিল । তখনও রুদ্ধ ক্ৰন্দনের আবেগে তাহার বুক ফুলিয়া ফুলিয়া উঠিতেছে। লতা জিজ্ঞাসা করিল, “কি হয়েছে কি ?” কাস্তি বলিল, “ওরা চুপি চুপি উমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে । কাল তার বিয়ে।” লতা বলিল, “তা তোমার সঙ্গে ওর বিয়ে হবে না, তা ত জানই, নূতন কথা ত নয় ? এখন কেঁদে লাভ কি ? তোমাকে মেয়ে দেবে কে ?” কান্তি বলিল, “উমার সঙ্গে যদি অন্ত কারো বিয়ে হয়, আমি আত্মহত্যা করে মরব। তোরা কেউ আমায় রাখতে পারবি না।” লতা অত্যস্ত চটিয়া বলিল, “তুমি একেবারে অপদার্থ। লজ্জা করে না তোমার এই রকম “সীন” করতে ? পুরুষ হয়ে জন্মে শেষে কেঁদে জিততে চাও?” কাস্তি বলিল, “তা ত তুমি বলবেই, উচ্চশিক্ষিতা মহিলা কি-না ? আমার মা বেঁচে থাকলে এটা হতে দিতেন না, যতই মূৰ্খ হই, আমাকে তিনি বাচাতেনই, যেমন করে হোক। তুমি যাও আমাকে নিজের ব্যথা নিয়ে একলা থাকতে দাও।” সে এক রকম ঠেলিয়াই লতাকে বাহির করিয়া দিল । রাগে, উত্তেজনায়, এবং খানিকট ভয়েও লতার পুতখন কঁাপিতেছিল, কোন মতে নিজের ধরে গিয়া সে শুইয়া পড়িল । বই পড়িবার মত মনের অবস্থা আর তাহার ছিল না । কিন্তু শুইমাও স্থির থাকিতে পারিল না । কান্তি বয়সে লতার বড় বটে, কিন্তু তাহাকে লতা বাল্যকাল হইতে একাত্ত অসহায় শিশুর মতই দেখিয়াছে এবং যথাশক্তি তাহার রক্ষণাবেক্ষণ করিয়াছে। মা অমুস্থ হইয় পড়ার পর কাভির সকলরকম ধাক্কা সামূলাইয়াছে ছোটবোন লতা, যদিও अकृउछ कांछि uयकर्मिप्नब्र अछe ठश् चैौकांग्न ऋब्र माहे ।