পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సీఆ তাই নয় ? একটু স্থির ভাবে বিচার ক’রে দেখলে বোঝা সহজ হবে । অথচ শৈশবে মরা বা যৌবনে মর, বুড় বয়সে মরার মত স্বাভাবিক নয়। বুড়া হওয়ার আগে মরলেই তাকে অTময়ে মরা বলা যায়। আমাদের দেশের অসময় মৃত্যুর কারণ প্রায় সবগুলিই আমরা চেষ্টা করলে বন্ধ করতে পারি। আগে হয়ত এ-কথা এত জোর ক’রে বলা বেত না । কেন না, তথন আমরা অধিকাংশ রোগের কারণ জানতাম না। অাধুনিক আবিষ্কারের ফলে আমরা প্রায় সবগুলি রোগেরই কারণ জানি । তা ছাড়, জানি যে কেমন ক’রে সে রোগ বন্ধ করা যায়। স্বতরাং আমরা জেনেও যদি বন্ধ না করি বা শিশুকে ও যুবককে মরতে দিই, তবে একে "বলিদান” বলাতে দোষ কি ? আমাদের রোগ হয়—আমরা "অকাতরে” ভূগি— আবার ভাবি “সময় হয়েছে” তাই মরি। মরার সময় যে *অসময়ে” অর্থাৎ শৈশবে বা যৌবনে নয় তা শেখার দরকার হয়েছে সব চেয়ে বেশী । রোগ হ'লে চিকিৎসা করতে হবে—কিন্তু তার চেয়ে দরকার বেশী হ’ল বাতে রোগ না হয় । এটি যে খুব বেশী রকম সম্ভব তার প্রমাণের অভাব নাই। আমেরিকা ও ইউরোপ তা অনেকবার প্রমাণ করেছে। ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, প্লেগ, কলেরা ও বসন্ত এর সব কটাই আমাদের দেশের সৰ্ব্বনাশ করছে, এদের দেশেও ষে এগুলো ছিল ন, বা এদের সর্বনাশ একদিন করে নি ত! আদৌ নয়, কিন্তু এরা যেমন রোগের চিকিৎসা করেছে— তেমনি রোগ যাতে আর না হ’তে পারে তার ব্যবস্থা করেছে । এই হ’ল এদের পাবলিক্ হেলথ-এর বিশেষত্ব। এখন অনেক সময় মাখা খুঁড়েও এদেশে একটা বসন্ত রোগী দেখা যায় না। এই কলম্বিয়া ইউনিভাসিটিতে দেখানর জন্ত অনেক চেষ্টা করেও আমি এক সময় একটি ম্যালেরিয়া রোগীর রক্ত পাই নি। কলম্বিয়ার প্রফেসার ডাঃ এমাসন বলেছিলেন যে তিনি স্থখন কলেজে পড়েন ( ১৯৯৯ সালে ) তখন একদিন একটি বসন্ত রোগী তাদের হাসপাতালে এসেছিল। ডাক্তার ও ছাত্ৰ সকলেই বইয়ে বসন্ত রোগের কথা পড়েছেন {2EE; S<O8C) বটে কিন্তু জীবনে কেউ কখনও চোখে দেখেন নাই— তাই তারা সবাই ঠিক করলেন যে, ওটা বসন্ত নয়। ওটা অন্য রোগ তাই ব'লে তাকে ঔষধ দিয়ে বাড়ি যেতে দেন, ফলে, সে আরও কয়েক জনকে বসন্ত দিল । তখন ডাক্তারদের খেয়াল হ’ল সে বসন্ত রোগী ! বসন্ত এদেশে এখন দৈবাৎও দেখা যায় না, বললেও চলে। টাইফয়েড, এরও অনেকটা সেই অবস্থা। ম্যালেরিয়া নাই বললে চলে। ( যদিও এদেশের দক্ষিণভাগে আছে ) এদের চেষ্টায় একে একে সবগুলো রোগই (যা দূর করা সম্ভব অর্থাৎ নিবাৰ্য্য) দূর হয়েছে বা হচ্ছে। আর ভারত কোথায় ? আমার পক্ষে বলা যত সহজ, রোগ বন্ধ করা যে তা আদৌ নয় তা আমি ভুলি নি। টাকা খরচ না করলে জল পরিষ্কার হয় না, এবং জল পরিষ্কার না হ’লে কলের টাইফয়েড, দূর হয় না। অন্তান্ত সব রোগের বিষয়েও ঠিক ঐ এক তর্ক করা চলে। টাকা না হ’লে কিছুই হয় না। কিন্তু সে টাকা কোথায় ? গভর্ণমেণ্ট কত টাকা' খরচ করছেন তা ভাবলে মনে হয় যে, আমরা যে এখনও তেত্রিশ কোট বেঁচে থাকি সেটা কতকটা আশ্চৰ্য্যকর । ১৯২৮-২৯ সালের গভর্ণমেণ্টের রিপোর্ট যা Cq-qafx wsi unstt={ ffos ( From “India in 1929 80.* p. 272. Provincial and Central together. ) যত টাকা খরচ হয় তার প্রতি টাকার অনুপাত । যুদ্ধবিষয়ক—•২৬ রেলওয়ে— e*১৪ wqaytsy Woel---•°> • ه د* ه--if GTri e c و qeļ– so e 8 و همه f Tچةqistge afff অসামরিক পূৰ্ত্তকাৰ্য্য—•••৬ وهه ۰ه -f***t জলসেচন •••৩ পেন্সন ও ভাতা •••৩ छभिग्न थांछनी-०*०२ अब्र*Tांनौ-०°०२ চিকিৎসাবিষয়ক ••৯২ রক্ষা ও পাহারা e'• ১ সাধারণের স্বাস্থ্য ••• ১ গভর্ণমেণ্টের ‘পাবলিক হেলখের খরচও ফর্দের সৰ .