পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&Psiles নীচে ! তবে উপায় কি ? সাধারণের ক্ষমতা আছে কি ? গড়-পড়তা হিসাব দেখলে সব সময় ঠিক বিচার করা যায় না। দেশে ষে অবস্থাপন্ন লোক নেই তা বলা নিতান্ত অস্কায় । ঢের লোক আছেন যারা জনায়াসে টাকা দিয়ে সাধারণের স্বাস্থ্যের জন্ত কাজ করতে পারেন। কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশতঃ আমাদের দেশের লোকের সে প্রবৃত্তি সব সময় দেখা যায় না। বরং বিদেশী গিয়ে দেশের কাজ করছে, তা দেখা যায় । সাধারণ লোকে টাকা খরচ ক’রে তার রোগের চিকিৎসা করতে পারে কি ? বা রোগ বন্ধ করবার জন্য এদেশের মত কাজ করতে পারে কি ? এটার বিচার করতে হ’লে আমাকে গড়পড়তা আয়ের দিকে তাকাতে হবে । আবার সেই প্রশ্ন—“ভারত কোথায় ?” এবার আমার প্রশ্নের জবাব পেলাম লিগ অব নেশনস-এর রিপোর্টে— দেশ জনপ্রতি বাৎসরিক আয় আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র ৭২ পাউণ্ড গ্রেট ব্রিটেন & e * ফ্রান্স \לס " জার্শ্বানী voe ” ভারতবর্ষ ৫ পাউণ্ড ১০ শিলিং এবারও ভারত ফর্দের সব নীচে ! এই সামান্ত আয়ের টাকা দিয়ে আমরা ম্যালেরিয়ায় কুইনাইন কিনব, না পখ্য কিনব তা জানি নে, কাপড় পরে লজ্জা নিবারণ করব, কি স্বাস্থ্যের জন্ত পয়সা খরচ করব, তা বলা কঠিন। আমাদের সঙ্গে যখন আমেরিকার তুলনা করি তখন মনে হয় “ভবে কেন আমরাও করি না ?” আমেরিকা তার জাতীয় আয়ের শতকরা ৪ টাকা হিসাবে ঔষধ, ডাক্তার ও স্বাস্থ্য ইত্যাদির জন্ত খরচ করে। অর্থাৎ মোট ৩,৬৫৬,০ ••,• • • ডলার বাৰ্ষিক খরচ অথবা জনপ্রতি ৩৪ ডলার। এর মধ্যে ডাক্তার, নীল, ঔষধ, হাসপাতাল সব আছে। হিসাব ক’রে দেখা হয়েছে যে, এই জনপ্রতি ৩০ ডলারের শতকরা এক অর্থাৎ •• লেন্ট যায় শুধু পাবলিক হেলখের জন্ত। এর তুলনায় चांवॉब चांदांब्र बटन हटाह-"ठांब्रड ८कांथांब ?” t१ षांब९ जांषि रुख्यांद्र “ठांब्रऊ ८कांथांब ?” जिलांगा ১৩ 24 ? דואןCo ספקט করেছি ততবারই দেখেছি "ভারত সবারই নীচে”— ভারত, পৃথিবীর জনসমাজের বহু দূরে। কিন্তু এক বিষয়ে ভারতকে হয়ত কেউই পিছনে ফেলতে পারবে না—(এবং কেউ চায়ও না হয়ত ) সে হচ্ছে মৃত্যুসংখ্যায়! আমার কাছে সব দেশের মৃত্যুর হার বর্তমানুে নেই—যেটুকু আছে তাই দিচ্ছি। প্রতি হাজার জনসংখ্যায়— ভারতবর্ষ \లిe'వ్రి ইংলণ্ড ও ওয়েলস, ফ্রান্স, বেলজিয়ম ও জাৰ্ম্মানী গড় >3°C এবার ভারত সবার উপরে । আর একটা আছে, যা বোধ হয় আর কোনও দেশে আদেী নাট । ভারতবর্ষ ১৮৯৫–১৯০০ সালে, অর্থাৎ ৫ বছরে ছুর্ভিক্ষে হারায়— e,• • •,• • • প্রাণ, আর ১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সালে, অর্থাৎ এক বৎসরে, একমাত্র নিবাৰ্য্য রোগে হারায় ৮,৫ • •,• • • প্রাণ, ১৯০৭ সালে শুধু কলেরায় মরে— ৮•••••• লোক— ১৯০৭ সালে শুধু প্লেগে মরে ১,৬•••••• লোক। আরও कङ कि उँौष१ झ#ि cनeब्रां यांच्च । किरू लांछ कि ? আমাদের এখন বোঝা-পড়া করার সময় এসেছে, এত প্রাণ বৃথা নষ্ট হবে । আর আমরা থাকুব চুপ করে ? মায়েদের শেখাতে হবে কেমন ক’রে শিশু মানুষ করতে হয়। লোকদের শেখাতে হবে কেমন ক’রে স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হয় । কেমন ক’রে রোগ নষ্ট করতে হয় । চিকিৎসার পদ্ধতি উন্টে দিতে হবে। নইলে এ জাতির পরিণাম বড় শোচনীয় ! যদি অন্ত দেশে সম্ভব হচ্ছে, তবে আমাদের দেশে কেন হবে না ? আমরা কেন চিরদিন সব জাতির নীচে থাকৃব ? কলেরা, বসন্ত, ম্যালেরিয়া, কালাজর—এর সবগুলিই আমরা বন্ধ করতে পারি। পয়সা খরচ করলে, অনেক কিছু করা যায় সত্য, কিন্তু যতদিন পয়সা খরচ করতে না পারি, ততদিন কেন এমন কিছু করি না, যাতে পয়সা খরচ হয় না অথচ স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় ? এমন কাজ অনেক আছে । ছোট বড় সকলকেই নিজের ও সমাজের স্বাস্থ্যের জন্ত কাজ করতে হবে । তা নইলে এ জাতির মঙ্গল নেই। দেশের স্বৰ্গতির সীমা নেই।