পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

किं भून इंद्र ? श्बउ भूनि इव न, किरू जानिरङ उॉशब्र আগ্রহেরও শেষ নাই । বাড়ীর দরজায় গাড়ী থামিবার পর ঐজিলার প্রখম মনে পড়িল সারা পথ বীণার সঙ্গে একটিও সে ৰথা বলে নাই, বীণাও নিঃশব্দে এতটা পথ অতিবাহিত করিয়াছে। এমন প্রায় কোনওদিনই হয় না, সে না বলিলেও বীণাই তাহাকে দিয়া কথা বলায়। বীণার নীরবতা তাহার মনকে স্পর্শ করিল, গাড়ী হইতে নামিতে নামিতে কহিল, “এলো, এলো, এইটুকুতেই এত ভাবলে নাকি চলে। সবে ত স্থক !” বীণা কেমন একরকম করিয়া হাসিয়া উঠিল, কহিল হ্যা, তুই ত সবই জানিল । আচ্ছা তুই যা, আমি একটু ঘুরে আসছি।” ঐজিলা বলিল, “এত রাত্রে কোথায় আবার ঘুরতে যাবে তুমি ?” ‘বীণা বলিল, “হারিয়ে যাৰ না, ভয় নেই। দেখে আসি স্বভক্রবাবুদের কি হয়েছে। হঠাৎ এবারে যা গরম পড়েছে বাড়ীম্বদ্ধ অমুখবিস্থখ ক’রে প’ড়ে আছেন হয়ত ” ঐজিলা কহিল, “তুমি ত আর ইচ্ছে থাকলেই তাদের নাস করতে লেগে যেতে পারবে না? খবরটা আনতে ড্রাইভারকে পাঠালেই যথেষ্ট হত না কি ?” বীণা কহিল, “না-হয় নিজেই গেলাম। ওতে আমার কিছু এসে যাবে না ” চলমান মোটরটির দিকে চাহিয়া ঐজিলা কিছুক্ষণ সেইখানে দাড়াইয়া রহিল । সে বেশ জানিত, বীণা তাহাকে সঙ্গে লইতে চাহিলেও সে প্রাণান্তে যাইত না। ছেলেদের মেস-বাড়ীতে হুট করিতে মেয়েরা গিয়া হাজির হয় না। তাহা বীণাও জানে বলিয়াই তাঁহাকে বাড়ী পৌছাইয়া দিয়া গেল। তবু আকারণেই তাহার মনে হইতে লাগিল, যেন বীণা পথের মাঝখানে জোর করিয়া তাহাকে বসাইয়া দিয়া গিয়াছে। মনের কোণে বীণার সম্বন্ধে একটু তিক্ততা জাগিয়া রছিল। বীণা যেন তাহার অস্তিত্বকে তাচ্ছিল্যত্তরে অস্বীকার করিতেছে । নিজে হইতেই যেখানে সে দূরে রহিয়াছে সেখান হইতেও জোর করিয়া তাহাকে দূরে ঠেলিতেছে। शृचण f $5s উপরে জালিয়া কিছুক্ষণ বারান্দা চুপচাপ দাড়াইয়। রছিল। ঐজিলা যে কত বেশী রাত করিয়া বাড়ী ফিরিতেছে তাহাই বুঝাইবার জন্ত হেমবালা আজ সাতটা না বাজিতে দরজা বন্ধ করিয়া গুইয়া পড়িয়াছেন, সিড়ি উঠিতে ঐজিলা তাহা লক্ষ্য করে নাই। অজয়দের মেসে' বীণার নৈশ অভিযানের পালাটিকে নানা বিচিত্রভাবে সে কল্পনা করিতে লাগিল । কল্পনা ক্রমে উদাম হইয়া সম্ভাব্য-অসম্ভাব্যের সীমারেখা ছাড়াইয়া বহিয়া চলিতে লাগিল। তখন প্রায় উচ্চৈঃস্বরেই বলিয়া উঠিল, দূর ছাই আর ভাবব না। তারপর ঘরে গিয়া কাপড় ছাড়িয়া টেবিলে ঢাকা দেওয়া খাবার স্পর্শ না করিয়াই শুইয়া পড়িল । বন্ধক্ষণ অসাড় হইয়া পড়িয়া থাকিয়াও যখন কিছুতেই চোখে ঘুম জাসিল না তখন স্থির করিল, জালে৷ জলিতেছে বলিয়া ঘুম আসিতেছে না ! উঠিয়া আলোটা নিবাইয়া দিল। অন্ধকারে চিন্তারাশি রামধন্থবর্ণে জলিতে লাগিল । চৌকা চেয়ারগুলির একটিতে বসিয়া-পড়িয়া বীণা कश्लि, “भाइयफैो षांकण कि भब्रण cन cर्थांछ कब्राe একবার আপনার দরকার মনে করেন নি ? সত্যি, আপনারা যেন কি। যেমন অজয়-বাৰু তেমনি আপনার छ्न ।” স্বভত্র অপরাধীর মত একপাশে দাড়াইয়া রহিল, কোনও কথা কহিল না। বিমান লিখিবার ডেস্কটার উপর আধখানা শরীরের ভার রাখিয়া কাৎ হইয়া বসিল, হাসিয়া কহিল, “আসল কথা আমরা ভয় পাইনি মোটে। মনের সবচেয়ে বড় জায়গায় ওর এখন বন্ধন, যেখানেই যাকৃ দুদিন পরে ঠিক ফিরে আসবে, আর সে-কথা আপনিই সব-চেয়ে ভালো বোঝেন।” বীণা কছিল, “আপনাদের চেয়ে খানিকট ভালো ষে বুঝি তা ঠিক। কিন্তু আমি আপনাদের বলছি, ব্যাপারটাকে যত সহজ ভাবছেন তত সহজ সত্যিই সেট। নয়। ফিরতে উনি নাও পারেন, ওঁর অসাধ্য কাজ নেই।” বিমান কছিল, “কার সাধ্য বেশী তারই এবারে পরীক্ষা চলছে।”