পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

íiet. ग्रंडि इ'ड । किरू निzजब्र शिकू ८थzक ८र्शकै कब्र ऐफ्रेिड মনে করি, সেটা করতে কেমন ভালো লাগে না । বীণা দেবীকে সেকথা ত আর বোঝানো যাবে না, তাই চুপ করেই রইলাম---- হঠাৎ বাহিরে মোটরের শব্দ হইল । চকিতে বিছান। ছাড়িয়া উঠিয়া ঐজিলা বারান্দায় আসিয়া দাড়াইল । দেখিল, গাড়ীবারানার নীচে আস্কিন ইপিাইতেছে, দরজা খুলিয়া বীণা পা-দানে পা বাড়াইল। নিজের অসতর্কতার জন্ত নিজেকে তিরস্কার করিয়া তাড়াতাড়ি ফিরিয়া বিছানায় শুইয়া পড়িল । নগরোপাস্তের নিস্তব্ধ রাত্রি, মোটরের দরজা বন্ধ হইবার শব্দ শোনা গেল, স্বরকি-ফেলা পথের উপর মোটরের চাকার মর্শ্বরধ্বনি। দুতলার সিড়িতে বীণার পায়ের শব্দ ফুটতর হইতে লাগিল, হেমবালা নিজেকে জানান দিবার উদ্দেশ্যে একবার কাশিলেন, কিন্তু ঐন্দ্রিলার বুকের মধ্যে রক্তস্রোতের শব্দকে ইহার ছাপাইয়া উঠিতে পারিল না । আলো জালিয়া ঐন্দ্রিলাকে আস্তে ঠেলা দিয়া বীণ। ডাকিল, “ইলু!” • ঐন্দ্রিলা সাড়া দিল না। বীণা জাবার ডাকিল, “হুলু ঘুমচ্ছিস ?” বেশ বোঝা গেল, বীণার গলার স্বর স্বাভাবিক অবস্থায় নাই। এবারে ঐন্দ্রিলা ভয় পাইল । ধড়মড় করিয়া উঠিয়া বলিল, “কে, দিদি r কি হয়েছে ?” বীণা দুই হাতে মুখ ঢাকিয় তাহার পাশে বসিয়া পড়িল । ঐজিলা টোক গিলিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “অন্থখ-বিস্থখ করেছি নাকি কারও r" বীণা মাথা নাড়িয়া জানাইল, না। ঐজিলা কছিল, তবে ?” “স্বভদ্রবাবুর সঙ্গে ঝগড়া ক'রে কোথায় চলে গিয়েছেন, কোনো খোজই নেই।” श्रृंचण (אצצ “অজয়বাৰু? সে কি, কৰে ?” *অজৈ বিকেলে ।” “তুমি স্বভক্রবাবুর কাছে শুনলে ?” “专m叫 কিছুক্ষণ নীরবে কাটিলে ঐজিলা কহিল, “পুরুষ-মানুষ, ত ? ভয় পাবার আছে কি ?” বীণা কহিল, “হ্যা, পৌরুষ ত কত । একটা প্রকৃতিস্থ মাহুষ, তুচ্ছ কথা নিয়ে রাগ ক’রে নিরুদ্ধেশ হয়ে যায়, লজ্জ করে না,এমন কখনো শুনেছিল ?” ঐন্দ্রিলাকে স্বীকার করিতে হইল, সে শোনে নাই। কিন্তু তাহার মনের কোন একটা গভীর তল হইতে এই কথাটাই সমস্ত দুৰ্ব্বোধ্যতাকে ঠেলিয়া ভাসিয়া উঠিতে লাগিল, যে, যাহা কখনও শোনে নাই, এই মানুষটির নিকট হইতে তাহাও তাহাজের ভনিতে হুইবে, যাহা কখনও দেখে নাই তাহ দেখিতে হইবে, এইজন্তই এমন অপ্রত্যাশিত ভাবে তাহদের জীবনে সে আসিয়া পড়িয়াছে। এই মাস্থ্যটি সমস্ত অসম্ভবকে সম্ভব করিবে । ইহাকে ভয় করা যায়, কিন্তু ইহার জন্ত ভয় পাইবার কিছু নাই। তাহার মনের উপর যে অন্ধকার ছায়া বিস্তার করিয়াছিল, ধীরে তাহ মিলাইয়া গেল। খোপা ঠিক করিতে করিতে হাসিয়া কহিল, *বেচার স্বভদ্রবাৰু!” বীণা ঝাঝিয়া কহিল, “হ্যা, তুমি ত স্বভদ্রবাবুর কথাটাই কেবল ভাববে।” ঐন্দ্রিলা কহিল, “ন গো, না, আমি কারও কথাই ভাবছি না । ঢের রাত হয়েছে, এবার খাবে এসে।” বীণার সঙ্গে সঙ্গে সেও খাবারের ঢাকা খুলিয়া খাইতে বসিল । ( ক্রমশঃ }