পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ জামেরিকায় ব্যাঙ্কিং সঙ্কট ১২৭ পারিলে কঠিন বেকার সমস্যার সমাধান সম্ভবপর নয় । যতদিন আমেরিকা স্বর্ণমান পরিত্যাগ না করিবে ততদিন অন্য দেশের মুদ্রার তুলনায় ডলারের মূল্য কমিবে ন, অতএব আমেরিকার মাল অন্য দেশের মালের সহিত প্রতিযোগিতা করিতে পারিবে না । গত কয়েক মাস যাবতই সে-দেশে এই বিষয়ে অনেক বাদাম্বুবাদ চলিতেছে । রক্ষণশীলগণ বলেন, অন্ত দেশের পন্থ। অমুসরণ করিতে গিয়া আমেরিকার কোন লাভ হইবে না বরং লোকসানের আশঙ্কাই অধিক, কেন-না ইউরোপের দেনদারগণ আমেরিকাকে স্বর্ণ দ্বারা দেন। শোধ করিতে বাধ্য, যদি ডলারের মূল্য কমিয়া যায় তাহ হইলে প্রাপা ঋণের পরিমাণও অনেক কমিয়া যাইবে । তাহা ছাড়া আমেরিকার বিশ্বাস, ব্রিটেন স্বর্ণমান পরিত্যাগ করাতে লগুনের আর্থিক প্রতিপত্তি কমিয়া যাইবে এবং কালে নিউইয়র্ক লগুনের স্থান অধিকার করিবে । লণ্ডন ছিল পুথিবীর ব্যাঙ্কার । সমস্ত সভ্য দেশই লওনে মোটারকম টাকা অামানত রাখিত এবং এই টাকা খাটাইয়া ব্রিটেনের বেশ দু-পয়সা লাভ হইত। ইহার ফলে ব্রিটিশ ব্যাঙ্ক, ব্রিটিশ ইন্‌সিউরেন্স কোম্পানী, ব্রিটিশ জাহাজ কোম্পানী সকলেই লাভবান হইত। ব্রিটেনের অদৃশু রপ্তানির हेशझे छ्णि भूल डिद्धि । धनि श्राcभद्रिक श्रर्षभाक्रम প্রতিষ্ঠিত থাকে তাহা হইলে আজ হউক কিম্বা কাল হউক এই সব মুখস্থবিধ। নিউইয়র্কের করায়ত্ত হইবে । স্বর্ণমান বজায় রাখিতে হইবে অথচ সেই সঙ্গে রপ্তানি বাণিজ্যও বৃদ্ধি করিতে হইবে এই জন্য অনেকে বলিতেছেন, কেবল স্বর্ণের উপর আন্তজাতিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়াতে বর্তমান সঙ্কট উপস্থিত হইয়াছে । ১৮৯৩ সালের পূৰ্ব্বে স্বর্ণ এবং রৌপ্য দুইই ধেমন চলতি মুদ্র ছিল এখনও যদি আবার তাহাই করা যায় তাহা হইলে প্রাচ্যদেশবাসী, যেমন চীন এবং ভারতবর্ষ, যাহাদের মুখ্য মুদ্রা রৌপ্য, তাহাদের ক্রয়শক্তি বৃদ্ধি পাইবে । এই দুই দেশে সত্তর কোটার অধিক লোকের বাস, কাজেই কোন প্রকারে যদি ইহাদের ক্রয়ুশক্তি বৃদ্ধি করা যায় তাহা হইলে ইউরোপ এবং আমেরিকা এইসব দেশে মাল বিক্রয়ের অপূৰ্ব্ব স্বযোগ পাইবে এবং তৎসঙ্গে তাহাদের আর্থিক অবস্থারও শীঘ্র উন্নতি হুইবে । দেখা যাইতেছে ধে, কাচা মালের মূল্য ষে পরিমাণে হ্রাস হইয়াছে, তৈয়ারি মালের মূল্য সেই পরিমাণে হ্রাস হয় নাই। পূৰ্ব্বে যতটা কাচ মালের বিনিময়ে তৈয়ারি মাল পাওয়া যাইত এখন তাহার দ্বিগুণ কাচা মাল না দিলে সেই পরিমাণ তৈয়ারি মাল পাওয়া যায় না। ইহার প্রধান কারণ এই যে, ইউরোপে এবং আমেরিকায় মজুরের মজুরীর দর কমে নাই। বিগত মহাযুদ্ধের সময় হইতে মজুরের মজুরী যে প্রকার অসম্ভব বাড়িয়াছিল এখনও প্রায় তেমনি রহিয়াছে । জীবনধারণের খরচ যদিও পূৰ্ব্বাপেক্ষ অৰ্দ্ধেক কমিয়া গিয়াছে তথাপি সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ায় মজুরের মজুরী কমান যাইতেছে না। এই জগুই ভৈয়ারী মালের মূল্য কাচ মালের তুলনায় বিশেষ কমে নাই। যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে মালের যে মূল্য ছিল তাহা পুনৰ্ব্বার হইবে এরূপ আশা করা দুরাশা মাত্র। সেই চেষ্টা করিতে গিয়াই আজ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিপ্লব উপস্থিত হইয়াছে। জাপানের কৃতকাৰ্য্যতার মুখ্য কারণ সে-দেশের মজুরের মজুরী অনেক কম, কাজেই ইউরোপ এবং আমেরিকার তুলনায় সে অনেক সস্তায় মাল প্রস্তুত করিতে পারে । ইউরোপ এবং আমেরিকায় চেষ্টা চলিতেছে কিরূপে মালের মূল্য বৃদ্ধি করা যায়। কিন্তু ক্রেতার ক্রয়শক্তি না থাকিলে অধিক মূল্য দিবে কে ? মজুরী কমিলে wrotrol towaswo (standard of living) on হুইবে, তাহারা তাহ চায় না। তাই প্রাণপণ চেষ্টা চলিতেছে কিরূপে মজুরীর হার উচ্চ রাখিয়াও মালের মূল্য বুদ্ধি করা যায় এবং তৎসঙ্গে রপ্তানি বাণিজ্যের উৎকর্ষ সাধন করা যায়। ইহ। যে সম্ভব তাঙ্কা মনে হয় না । ব্যবসায়-বাণিজ্যের মন্দার দরুণ ইউরোপে যে আর্থিক সঙ্কট উপস্থিত হইয়াছিল এখন আমেরিকায়ও সে সঙ্কট উপস্থিত হইয়াছে । প্রাচ্য দেশে, বিশেষতঃ জাপানে, শিল্পের দ্রুত উন্নতি হওয়াতে তৈয়ারী মালের জন্য প্রাচ্য আর প্রতীচ্যের মুখাপেক্ষী নহে। পূৰ্ব্বে ব্যবসাবাণিজ্যের এরূপ ভাগ-বাটোয়ার করা হইয়াছিল যে, প্রাচ্য চিরকাল কাচা মাল উৎপন্ন করিবে এবং প্রতীচ্য ইহার বিনিময়ে আমাদিগকে ভৈয়ারী মাল সরবরাহ করিবে। এ যুক্তি এখন কেহ মানিতেছে না। শিল্পকুশলতা কোন জাতিবিশেষের একচেটিয়া নহে, স্বযোগ পাইলে প্রাচ্য যে প্রভীচ্যকে পশ্চাতে ফেলিয়া যাইতে পারে জাপান তাহা দেখাইয়াছে। অতএব ব্যবসায়বাণিজ্য পূৰ্ব্বে ষে-ধারায় বহিত ভবিষ্যতেও যে সেই ধারায় বহিবে তাহ সম্ভবপর নয় । এই সত্যটি প্রতীচ্য এখনও গ্রহণ করিতে পারে নাই । তাই তাহার সমস্ত চেষ্টা নিয়োগ করা হইতেছে পূৰ্ব্বাবস্থা ফিরাইয়া আনিবার জন্ত । আমরা দেখিয়াছি, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিতর ব্রিটিশ বাণিজ্য অক্ষুন্ন রাখিবার জন্য অটোয়া চুক্তি হইয়াছিল। ভারতের ন্যায় সাম্রাজ্যের অধীন দেশসমূহে ইহাতে ব্রিটিশ পণ্য বিক্রয়ের স্থবিধা হইবে, কিন্তু ক্যানাডা প্রভৃতি স্বাধীন দেশসমূহ যেদিন বৃটিশ মাল তাহাজের উৎপন্ন মালের সহিত প্রতিযোগিতা করিবে সেইদিনই চুক্তি ভঙ্গ করিয়া দিবে । অতএব সাম্রাজ্যের ভিতর