পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

岐 o استلال الا إ إلا কংগ্রেস ও গবৰ্ম্মেন্ট রতীয় ব্যবস্থাপক সভায় এরূপ অনুরোধ কয়েক বার rা হইয়াছে, যে, মহাত্মা গান্ধী ও বিনা বিচারে বন্দীকৃত ফ্ৰান্ত কংগ্রেস নেতাদিগকে মুক্তি দেওয়া হউক ; কেন না, হা হইলে দেশের লোক শাস্ত ভাবে প্রস্তাবিত ভবিষ্যৎ সনবিধির আলোচনা করিতে পরিবে । সরকারহইতে উত্তরে বলা হইয়াছে, যে, কংগ্রেস নিরুপদ্রব ইনলঙ্ঘন প্রচেষ্টা যত দিন ছাড়িয়া না দিতেছেন, তদিন নেতাদিগকে ছাড়িয়া দেওয়া হইবে না। :গ্রস ঐ প্রচেষ্টা ছাড়িয়া দিবেন কি-না, তাহ স্থির রতে হইলে নেতৃবর্গের পরস্পরের সহিত পরামর্শ করা বহুক । সৰ্ব্বপ্রধান নেতা মহাত্মা গান্ধীও অন্ত সকল তার সহিত পরামর্শ না করিয়া কোন একটা আদেশ ত পারেন না। এই জন্ত, “আগে কংগ্রেসের নায়ুকরা স তাহারা আর আইনের অবাধ্যতা করিবেন না, তবে মর নেতৃবর্গকে ছাড়িয়া দিব,” ইহা স্বসঙ্গত মানসিক নহে। গবন্মেণ্ট যদি বলিতেন, যে, পরামর্শ বার জন্ত কয়েক দিনের নিমিত্ত নেতৃবর্গকে মুক্তি দিব, ধার পর তাহাদিগকে আবার জেলে যাইতে হইবে, ব। যদি বলিতেন, ঐ উদ্বেপ্তে কয়েক দিনের জন্ত দিগকে কোন একটি জেলে আনিব, তাহা হইলে গ্ন অধিকতর সঙ্গত হইত। সর্ভানুযায়ী এরূপ অল্পয়িক মুক্তিতে কিংবা এক জেলে একত্র সমাবেশে বর্গ সম্মত হইতেন কি না, জানি না । গবন্মেণ্ট আগে ত কিছু না বলিয়া তাহাদিগকে স্বধাইয়। পরে তাহাদের ই-বিষয়ক প্রশ্নের প্রকাগু উত্তর দিলে চলিত। আরও একটি কথা বলিষার আছে । ভারত-সচিব তে এই মর্শের কথা বার-বার বলিয়াছেন, যে, গ্রসের শক্তি বিনষ্ট করা হইয়াছে। এরূপ কথার ধ্বনি ভারতবর্ষের উচ্চপদস্থ রাজপুরুষদের মুখ হইতেও শুনা গিয়াছে । তাহাই যদি হইয়া থাকে, তাহা হইলে, ংগ্রেস-নেতারা আর আইনলঙ্ঘন প্রচেষ্টা চালাইবেন না, এরূপ প্রতিশ্রুতির দাবি গবন্মেণ্ট করেন কেন ? যাহা আপনা হইতে মরিয়াছে বা আধমরা হইয়াছে, কিংবা গবন্মেণ্ট যাহার প্রাণবধ করিয়াছেন বা যাহাকে পঙ্গু করিয়াছেন, “ওগো, তোমার বিরুদ্ধে আর কখনও কিছু করিব না” এরূপ প্রতিজ্ঞ তাহার মুখ দিয়া বাহির করাইবার বিশেষ প্রয়োজন আছে কি ? অবশু, র্যাহার গবন্মেটিকে কংগ্রেস-নেতাদিগকে ছাড়িয়া দিতে অকুরোধ করিতেছেন, আমরা তাহীদের প্রার্থনাপরায়ণতার সমর্থন করি না । কংগ্রেস-নেতাদিগকে গযন্মেন্ট যদি নিজের প্রয়োজনে ছাড়িয়া দেন, ভাল । দেশবাসীদের শক্তির বলে যদি তাহারা মুক্তি পান, তাহা ত খুবই ভাল, এবং আমাদের বিবেচনায় কেবলমাত্র তাহাই বাঞ্ছনীয়। গবন্মেন্টের নিকট দেশের লোকদের এ-বিষয়ে কোন প্রার্থনা থাকা উচিত নয় । দেশের বহুসংখ্যক লোকের যে অভিপ্রায় ও ইচ্ছা কংগ্রেসের কার্য্যাবলীর পশ্চাতে ও মধ্যে প্রেরণ-রূপে বিদ্যমান, তাহা মরে নাষ্ট, কখনও মরিতে পারে না । সেই প্রেরণার বশে মানুষ কংগ্রেসদলভুক্ত হইয়া কাজ করিবে, বা আর কোন নাম লইয়া কাজ করিবে, তাহা গৌণ ; প্রধান বিবেচ্য এই, যে, সেই প্রেরণা নষ্ট হইতে পারে কিনা, নষ্ট হইয়াছে কি-না । গবন্মেণ্টও সম্ভবতঃ জানেন, যে, আইনলঙ্ঘন প্রচেষ্ট৷ অনেকটা মন্দীভূত হইয়া থাকিলেও কংগ্রেসের প্রাণ ও প্রেরণা মরে নাই । সরকারী উচ্চতম কৰ্ম্মচারীরা সেই কারণেই আশঙ্কা করেন, যে, কংগ্রেস-নেতাদিগকে ছাড়িয়া দিলে ঐ প্রচেষ্টা হয়ত আবার প্রবল হুইবে । অবগু, তাহাদিগকে ছাড়িয়া দিলে তাহা ঘটিবে কি-না বলা কঠিন ।