পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখী সহজে জুটিবে, ততদিন ব্রিটিশ জাতির কুচ পরোয়া নহি ভাব কায়েম থাকিবে । হোয়াইট পেপার সম্বন্ধে ভারত-সচিব হোয়াইট পেপারটা যে ব্রিটিশ জাতির হাত হইতে ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা একটুও হস্তাস্তর করিতেছে না, উহা পড়িলেই তাহা বুঝা যায় । কিন্তু কেহ যদি উহ না পড়িয়া থাকেন, বিলাতী হাউস অব কমন্সে ঐ রিপোর্ট সম্বন্ধীয় তর্কবিতর্কের সময় কেবল মাত্র ভারত-সচিবের বক্তৃতার নিম্নোদ্ধত বাক্যগুলি পড়িয়া থাকেন, তাহা হইতেই বুঝিতে পারিবেন,চূড়ান্ত সব ক্ষমতা ব্রিটিশ জাতির হাতেই রাখা হইতেছে। স্তর স্তামুয়েল হোর ঐ বক্তৃতায় বলেন— The Irish Treaty bore no analogy to the Indian situation. The Irish Treaty broke down because there were no safe-guards. In India the GovernorGeneral, the Provincial Governors and other high officials would still be appointed by the Crown. The Security Services and the executive officers of the Federal and Provincial Governments would still be recruited and protected by Parliament, and the Army would remain under the undivided control of Parliament. Those were no paper safe-guards. The heads of Government were endowed with great powers and were given the means of giving effect to those powers. তাৎপৰ্য্য । আইরিশ সন্ধির সহিত ভারতীয় অবস্থার কোন সমতুল্যত নাই । আইরিশ সন্ধি (ব্রিটিশ জাতির উন্ধেগুসিদ্ধির দিক্ দিয়) অকেজো হইয়াছে এই কারণে যে উহাতে (ব্রিটিশ জাতির স্বার্থ ও ক্ষমতা রক্ষণ করিবার নিমিত্ত আইরিশদের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করিবার ব্যবস্থল রূপ ) সেফগার্ড বা রক্ষাকবচ ছিল না। ভারতবর্ষে গবর্ণর-জেনার্যাল, প্রাদেশিক গৰগঁয়গণ এবং অদ্যাপ্ত উচ্চ কৰ্ম্মচারীরা অতঃপরও ব্রিটিশ-নৃপতির দ্বারা নিযুক্ত হইবেন। ভারতবর্ষকে নিরাপদ রাখিবার জঙ্ক আবগুৰু চাৰুর্যের (“সিকিউরিটি-সাবিসেজ- ) এবং সংঘবদ্ধ ভারত-গৰন্মেষ্ট ও প্রাদেশিক গবন্মেষ্টসমূহের শাসন-বিভাগের কৰ্ম্মচারীর অতঃপরও ব্রিটিশ পালেমেন্টের দ্বার সংগৃহীত নিযুক্ত ও ब्रक्रिड इश्रद, बक्र ४नछक्ण श्राप्लtभएुद्र अकाद्र अथ७ जोग्राख থাকিবে। এগুলি শুধু কাগজে লেখা রক্ষাকবচ নছে, (পরন্তু প্রকৃত রক্ষাকবচ )। সমগ্র ভারতবর্ষের এবং প্রদেশসমূহের গবষ্মেন্টের সৰ্ব্বপ্রধান ব্যক্তিদিগকে খুব বেশী ক্ষমত দেওয়া হইয়াছে, এবং সেই ক্ষমতাগুলিকে কাৰ্য্যকর করিবার উপায়ও উাহাজের হাতে দেওয়া | বিবিধ প্রসঙ্গ—মন্টেগুর ঘোষণা ও হোয়াইট পেপার రిహి ভারতবর্ষকে ‘নিরাপদ" রাখা যে-ষে শ্রেণীর চাকর্যেদের কাজ, যেমন সিবিল সার্বিস ও পুলিস সার্বিস, তাহাজের নাম সিকিউরিটি সার্বিসেজ । নিরাপদ রাখার প্রকৃত অর্থ, ভারতবর্ষকে ব্রিটেনের জমীদারী রূপে কায়েম রাখা । মণ্টেগুর ঘোষণা ও হোয়াইট পেপার ১৯১৭ খৃষ্টাব্দে ভারত-সচিব মণ্টেগু সাহেব পালেমেণ্টের সম্মতিক্রমে ঘোষণা করেন, যে, ভারতশাসনে ব্রিটেনের নীতি হইতেছে দায়িত্বপূর্ণ গবন্মেণ্ট ক্রমশঃ প্রগতিশীলৰূপে কাৰ্য্যত স্থাপন করা ( tho progressive realization of responsible government ) ow বৎসর হইল বৰ্ত্তমান প্রধান মন্ত্রী বলিয়াছিলেন,কয়েক মাসের মধ্যে না হউক, কয়েক বৎসরের মধ্যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে স্বশাসক ডোমীনিয়নের সংখ্যা একটি বাড়িবে, অর্থাৎ ভারতবর্ষ স্বশাসক ডোমীনিয়ন হইবে । ভূতপূৰ্ব্ব বড়লাটও ভারতবর্ষকে স্বশাসক ডোমীনিয়নে পরিণত করা ভারতবর্ষে ব্রিটিশ রাজনীতির লক্ষ্য বলিয়াছিলেন। হোয়াইট পেপারটি ভারতবর্ষকে এই তিন জন রাজপুরুষের উক্তির যাহ। লক্ষ্যস্থল তাহার দিকে এক চুলও লইয়। যাইবে এমন মনে হয় না। শেষোক্ত দু-জন পালেমেন্টকে জানাইয়া ও তাহার অনুমোদনক্রমে কথা বলেন নাই, এরূপ আপত্তি উঠিতে পারে । কিন্তু মণ্টেও সাহেবের ঘোষণা সম্বন্ধে তাহ বলা চলে না । অতএব তাহার কথা অনুসারে হোয়াইট পেপারটার বিচারে কোন আপত্তি হইতে পারে না । মন্টেগু যেমন রেস্পন্সিবল গবষ্মেন্ট বা দায়িত্বপূর্ণ গবন্মেন্টের কথা বলিয়াছিলেন, হোয়াইট পেপারেও তেমনি আছে, যে, ভারতবর্ষকে দেশী রাজ্য ও ব্রিটিশ-শাসিত প্রদেশগুলির দায়িত্বপূর্ণ ভাবে শাসিত ("রেস্পন্সিবলি গভর্ণর্ড” ) একটি ফেডারেগুন বা সংঘবদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা ইহার উদ্দেশু। কিন্তু প্রকৃত প্রশ্ন এই, শাসনকৰ্ত্তারা বা গবন্মেণ্ট দায়ী থাকিবেন কাহার নিকট মণ্টেগুর উক্তির সোজা ও স্বাভাবিক মানে সভ্য জগৎ ও ভারতবর্ষ এই বুঝিয়াছিল, যে, ভারত-গবন্মেস্টকে ক্রমে ক্রমে ধাপে ধাপে দেশের