পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S68 Sово শ্রেণীর সদস্যদের ভোটদান-রীতি হইতে মনে হয়, ভবিষ্যতে ঐ শ্রেণীর সদস্যেরা—অস্ততঃ অনেকে—অন্ত হিন্দুদের সঙ্গে ভোট দিবেন না। তম্ভিন্ন মুসলমানরা ১টি বাণিজ্য আসন, ১টি-ছুটি জমিদারী আসন, ১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন এবং ৪টি শ্রমিক আসন পাইতে পারেন। এই সম্ভাবনা হইতে ইহাও বুঝা যায়, যে, মুসলমানদের মোট ১২৬টি কি ১২৭টি আসন পাইবার বিশেষ সম্ভাবনা আছে । তাহা হইলে তাহারা নিজের জোরেই নিম্ন কক্ষে ग९थTाडूर्ध्नि श्हे८वन । বিদ্যাবুদ্ধি, শিক্ষায় উন্নতি, কৃষ্টি যা সংস্কৃতি, পণ্যশিল্প ও বাণিজ্য, ধনশালিতা, দানশীলতা, দেশের জন্ত পরিশ্রম স্বাৰ্থত্যাগ ও দুঃখবরণ প্রভৃতি বিষয়ে বাংলা দেশের সামান্ত যাহা খ্যাতি আছে, তাহার অধিকাংশ প্রাপ্য হিন্দুদের। সেই হিন্দুদিগকে ব্যবস্থাপক সভায় বলহীন করা হইতেছে। ইহাতে দেশের ক্ষতি এবং হিন্দুদের ক্ষতি হইবে। মুসলমান বাঙালীর ক্ষমতা পাইতে যাইতেছেন। দেশহিত সাধনের ক্ষমতা ব্যবস্থাপক সভার সামান্তই থাকিবে । যাহা থাকিবে, তাহা যদি মুসলমান সদস্যেরা প্রকৃত দেশভক্তের মত সমুদয় অধিবাসীদের মঙ্গলের জন্ত প্রয়োগ করেন, তাহা হইলে তাহাতে সামান্য কিছু স্বফল ফলিতে পারে। হিন্দুদের প্রতি অবিচার সমগ্রভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদিগকে সংখ্যানুনের দশায় ফেলিয়া তাহাদের প্রতি যে অবিচার করা হইয়াছে, তাহ পূৰ্ব্বে দেখাইয়াছি। প্রদেশগুলিতেও হিন্দুদের প্রতি সেইরূপ অবিচার করা হুইয়াছে। বড় প্রদেশগুলির মধ্যে বাংলা ও পঞ্জাবে হিন্দুর সংখ্যানুন। মুসলমানরা যেখানেই সংখ্যানুনি, সেইখানেই তাহারা সংখ্যার অনুপাতে প্রাপ্য আসনের চেয়ে বেশী আসন পাইয়াছে। বঙ্গে ও পঞ্চাবে হিন্দুরা এই ভাবে বেশী আসন পাওয়া দূরে থাক, সংখ্যার অনুপাতে ঘাহা প্রাপ্য তাহাও পায় নাই। উভয় প্রদেশেই হিন্দুরা শিক্ষা ও বাণিজ্যাদিতে অগ্রসর। সিন্ধু এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, কেবল এই দুটি ছো প্রদেশে হিন্দুরা তাহাদের সংখ্যার অনুপাতে যাহা প্রাপ তাহা হইতে অতি অল্প কয়েকটি আসন বেশী পাইয়াছে কিন্তু ঐ দুই প্রদেশে হিন্দুর শিক্ষায় এবং বাণিজ্যাদি দ্বার উপার্জনে মুসলমানদের চেয়ে অনেক বেশী অগ্রসর এই দুই বিষয়ে শ্রেষ্ঠতার জন্য কেহ বেশী আসন পায় তাহা আমরা ইচ্ছা করি না। কিন্তু কেবল সংখ্যানুন বলিয়াই যদি মুসলমানরা বেশী আসন পাইতে পারে তাহা হইলে হিন্দুর সংখ্যায় নুন এবং অগ্রসর উভয়ই হইলে নিশ্চয়ই তাহাদের বেশী আসন পাইবার দাবি বাড়ে বই কমে না। ভারতবর্ষের প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাসমূহে হিন্দুদের প্রতি কিরূপ অবিচার হইয়াছে, তাহা অার এক দিক দিয়া দেখাইতেছি । সমুদয় প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক য়্যাসেঞ্জীর মোট সভ্যসংখ্যা ১৫৮৫ । যদি সমুদয় “সাধারণ” আসনগুলি হিন্দুরা পায় (যাঙ্গ তাহারা সম্ভবতঃ পাইবে না ), তাহা হইলে তাহার ৮৩৯টি আসন পাইবে, মুসলমানরা পাইবে ৪৯২টি। প্রদেশগুলির মোট লোক ংখ্যা ২৫,৬৬,২৭,১৩৮ ; হিন্দু ১৭,৬৩,৫৯,৭৩৮, মুসলমান ৬,৬৪,৭৮,৬৬৯। মুসলমানদের সংখ্যা হিন্দুদের সংখ্যার অৰ্দ্ধেকের চেয়ে ঢের কম ; তথাপি তাহারা হিন্দুদের আসনের অর্ধেকের চেয়ে অনেক বেশী আসন পাইয়াছে। সংখ্যার অনুপাতে হিন্দুদের মোট ১৫৮৫টি আসনের মধ্যে পাওয়া উচিত ছিল ১০৮৮টি, কিন্তু তাহার। সব “সাধারণ” আসনগুলি পাইলেও (যদিও তাহ পাইবে না) পাইবে কেবল ৮৩৯টি ; অর্থাৎ পাওনার চেয়ে ২৪৯টি কম ! অতএব, অহমান দ্বারা নহে, অঙ্ক কবিয়া প্রমাণ করা গেল, ষে, সমগ্রভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় এবং প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাসমূহে উভয়ত্র হিন্দুদের প্রতি ঘোরতর অবিচার করা হইয়াছে। রেলওয়ে বোর্ড ভবিষ্যৎ ভারতশাসন আইন ("Constitution Act") আহুসারে একটি রেলওয়ে বোর্ড গঠিত হইবে। ভারতবর্ষের ফেডার্যাল গৰন্মেষ্ট ও ব্যবস্থাপক সভার ইহার কর্ণ