পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাশে বসিয়া অতি কোমল হন্তে ধীরে ধীরে আমার গায়ে शङ जूलाड़ेब দিতেছে। অনেকক্ষণ চোখ বুজিয়া নিম্পন্দ বক্ষে শুইয়া রহিলাম। বালিশের তলায় ঘড়িটা টিক টিক্‌ করিতেছে শুনিতে পাইলাম, স্বতরাং এ ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখা হইতেই পারে না । অদৃশ্য হাতটা কতবার আমার আপাদমস্তক বুলাইয়া গেঙ্গ তাহ বলিতে পারি না । একবার হাতখানা যখন আমার বুকের কাছে আসিয়াছে তখন হাত বাড়াইয়া আমি সেট ধরিতে গেলাম। মনে হইল আমার মুঠির মধ্যে হাতটা গলিয়া মিলাইয়া গেল । হাত-বুলানোও বন্ধ হইল । অমুভবে বুঝিলাম, সে শয্যার পাশে দাড়াইয়া আছে, এখনও ষায় নাই। আমি চোথ চাহিয়া শুইয়া রছিলাম—সেও দাড়াইয়া রহিল । ঘর অন্ধকার, কিছুই দেখিতে পাইতেছি না,–চোখ খুলিয়া থাকা বা বুজিয়া থাকার কোন প্রভেদ নাই । উৎকর্ণ হইয়া শুনিবার চেষ্টা করিলাম, কোনো শব্দ হয় কি-না । দরজায় কোথাও ঘুণ ধারয়াছে—তাহারই শব্দ শুনিতেছি । আর কোনো শব্দ নাই । অতীন্দ্রিয় অনুভূতি দ্বারা বুঝিলাম, সে আস্তে আস্তে চলিয়া গেল ; আজ আর আলিবে না। ঘুমাইয়া পড়িলে হয়ত থাকিত । আমি যখনই ঘুমাই, তখনই কি সে আমার স্বস্থ শরীরের উপর পাহারা দেয় ? কিন্তু আশ্চৰ্য্য ! আজ আমার একটুও ভয় করিল না কেন ? ১৭ ফেব্রুয়ারি । আমার শিমূল গাছ রক্তরাঙা ফুলে ফুলে ভরিয়া উঠিয়াছে। গাছে পাতা নাই, কেবলই ফুল । সেদিন ষে আমার কাধের উপর এক ঝলক রক্তের মত ফুল পড়িয়াছিল—সে কি স্বাভাবিক ? এত স্থান থাকিতে আমার কাধের উপরই বা পড়িল কেন ? তবে কি কোনো অদৃপ্ত হস্ত গাছ হইতে ফুল ছিড়িয়। আমার গায়ে ফেলিয়াছিল ? কে সে ? বৃক্ষদেবতা ? না, আমারই মত কোন মানুষের দেহবিমুক্ত আত্মা ? তাই কি ? একটা দেহহীন আত্মা ! সে আমাকে পাইয়া খুলী হইৰাছে তাছাই কি জাকারে ইঙ্গিতে জানাইতে চায় ? R&-t खम**ोब्ली סאפצ সে আমার সছিত বন্ধুত্ব স্থাপন করিতে চায় তাই কি গে-দিন ফুল দিয়া আমার সম্বৰ্দ্ধনা করিয়াছিল ? তবে কি সত্যই প্রেতযোনি আছে ? দেহমুক্ত অশরীরী আত্মা ! বিশ্বাস করা কঠিন, কিন্তু ther more things in heaven and earth. . . . একটা বিষয়ে ভারি আশ্চৰ্য্য লুঞ্জি-ভয় করে না কেন ? এই নির্জন স্থানে ੰ অস্ট্রি অবস্থায় ভয় হওয়াই ত স্বাভাবিক ! ১৮ ফেব্রুয়ারি । আনমনে দিন কাটিয়া গেল । বাড়িময় কেবল ঘুরিয়া বেড়াইলাম । পছিয়া হাওয়া দিতেছে—খুব ধূলা উড়িতেছে। গঙ্গার চরের দিকটা বালুতে অন্ধকার, কিছু দেখা যায় না। আজ কিছু ঘটে নাই । মনটা উদাস বোধ হইতেছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি । দিনটা যেন রাত্রির প্রতীক্ষাতেই কাটিয়া গেল । দিনের বেলা কিছু অনুভব করি না কেন ? সদ্ধার সময় দেখিলাম, পশ্চিম আকাশে সরু একটি চাদ দেখা দিয়াছে—যেন অসীম শূন্তে অপার্থিব একটু হাসি ! অল্পক্ষণ পরেই চাদ অস্ত গেল, তখন আবার নীরন্ধ অন্ধকার জগৎ গ্রাস করিয়া লইল । ইক্‌মিক্‌ কুকারে রান্না চড়াইয়া অন্তমনে বসিয়া ছিলাম। আলোটা সম্মুখের ভাঙা টেবিলে বসানো ছিল । অদূরে কতকগুলা ধূপ জালিয়া দিয়াছিলাম, তাহারই স্বগন্ধ ধুমে ঘরটি পূর্ণ হইয়া উঠিয়াছিল । বসিয়া বসিয়া সহসা স্মরণ হইল, বাক্স হইতে সেই প্রেততত্ত্ব সম্বন্ধে বইখানা বাহির করিয়া পড়িতে আরম্ভ করিলাম । গল্প—নেহাৎ গল্প । সত্য অনুভূতির ছায় মাত্র এ সব কাহিনীতে নাই । আমি যেমন করিয়া তাহাকে অমুভব করিয়াছি, চোখে না দেখিয়াও সৰ্ব্বাঙ্গ দিয়া তাহার সামৗপ্য উপলব্ধি করিয়াছি—সেরূপ ভাবে আর কে প্রত্যক্ষ করিয়াছে ? ইহারা লিখিতেছে, চোখে দেখিয়াছে। চোখে দেখা কি যায়? ষে আমার কাছে আসে সে কেমন দেখিতে ? আমারই মত কি তার হস্ত পদ অবয়ব আছে ? মাছুষের চেহারা না অল্প কিছু ! বই হইতে চোখ তুলিয়া ভাবিতেছি এমন সময় भूछ