পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ ছেড়েছি। উপন্যাস আমার দু-চোখের বিষ । ফেনিরে ফেনিয়ে দুঃখের কাহিনীকে এত করুণ করবার কি দরকার । আরে মর, যেখানে নায়ক-নায়িকা নিয়ে তোর কারবার সেখানে ও-সব ত ঘটবেই । হাসি চাপিয়া বলিলাম,—তা বটে ! কিন্তু বিয়ে করলে ও-কথা বলতে না, বন্ধু । দেখচ, ওদের নিয়েও, ব’লতে নেই, চেহারার জলুষ কিছু কমেনি । বরং— ফু: ; অতুল উপেক্ষার হালি হাসিয়া কহিল, -চেহার ! ও-ত ভোজবাজি । সালসা শরীরকে ফাপায়, শক্তিকে করে হরণ । কহিলাম,-“কি জানি, ডাক্তারেরা সালসার এতবড় গুণের সার্টিফিকেট ত দেন নি। যাক, ও-সব কথা । সত্যিই কি বিয়ে করবি নে ? বিয়ে ? — পরম আশ্চৰ্য্যভরে প্রশ্ন করিয়া সেই ঘৃণাভরে উত্তর দিল,—এ জীবনে ত নয়ই, পরজীবনেও— তাড়াতাড়ি কহিলাম,—পরজীবন আপাতত মুলতবী থাক । বিয়ে না করার কারণ ? —কারণ ?- হঁ৷ সত্য কথাই ব’লবো । আমি, আমি ওদের ঘৃণা করি। —সৰ্ব্বনাশ! কিন্তু—কেন ? বন্ধুর প্রদীপ্ত চক্ষুর পানে চাহিয়া কহিলাম,—থাক, থাক, এই এক-বাস লোকের সামনে— স্বর চড়াইয় অতুল কহিল,—তাতে কি ? স্পষ্ট সতা সবার সামনেই বলা যায়। বিয়ে করবে না, কারণ, ওরা অসার অপদার্থ জাত । এক কথায় হষ্টির আবর্জন । ভাগ্যে ভিড় ছিল। তৰু নিকটবৰ্ত্তী লোকগুলার হালি দেখিয়া আশঙ্কা হুইল । চৈত্রের গরম না হউক, বাক্যের উষ্ণতায় যদি অতুলের বক্তৃতার গ্রাম চড়িয়া যায় ত অবিলম্বে দুর্ঘটনা ঘটিতে বিলঙ্গ হুইবে না। তাড়াতাড়ি বাসের বেল বাজাইয় অতুলের হাত ধরিয়া নামিয়া পড়িলাম। 事 馨 臺 घरबद्र भाषा हेजिरष्झाँक्नाइ बगिब्राहे चड्रण पखिब्र জীক্ষণফল १९S নিঃশ্বাস ত্যাগ করিল,—বাঃ ঘরখানি বেশ লাজিয়েচিল ত ! —তুই বোস, আমি কাপড় ছেড়ে আসি । ফিরিয়া দেখি, অতুল দেওয়ালে টাঙানো ছবিগুলি " খুটিয়া খুটিয়া দেখিতেছে। আমায় দেখিয়া উষ্ণস্বরে কহিল,—ম্যাডোনার ছবি রাখ ক্ষতি নেই, কিন্তু ওর পাশে য়্যাষ্টির ওই ছবিখানা কেন ? ভালবাসার অভিব্যক্তি ! স্রেফ দ্যাকামী । আবার মজুমদারের পঙ্কে পদ্ম—ব্রজের ঢেউ,— ছত্তোরী, যত সব রাবিশ ! বলিলাম,—ম্যাডোনাও নারী, পঙ্কে পদ্মও নারী। একজন জননী, অপর প্রিয়া । বন্ধু মুখ বিকৃত করিয়া কহিল,—মাঝগঙ্গার জলও জল, কিনারার জলও জল । তবে কাদা-গোলা জল না খেয়ে লোকে জলের মধ্যে দাড়িয়ে জল আনে কেন ? নারী । মাথা খেলে ঐ নারী ! নারীর শেষ দিকট। বরং সহ করা যায়, কিন্তু, প্রথমটা ওই পেকে জলের মতই আপেয় । বলিলাম,—তোমার কথায় যুক্তি কম। যদি তুমি প্রমাণ করতে পার— —করবো, আলবৎ করবো ; নারী— —থাক, আপাতত চায়ের সদ্ব্যবহার করা যাক । আপত্তি নেই ত ? —কিছু না—বলিয়া অতুল খাবারের ডিশখানি টানিয়া লইল । ফল এবং খাবার কিছুই সে ফেলিয়া রাখিল না। বেশ তৃপ্তিসহকারেই খাইল । খাওয়া শেষ হইলে চায়ে চুমুক দিয়া একটা তৃপ্তিস্থচক ধ্বনি করিয়া সে কহিল,—আঃ, চমৎকার চা । যেমন রং তেমনি টেষ্ট । খাবারগুলোও ঘরের বুঝি ? ফলছাড়ানোতেও রুচির পরিচয় আছে । ঠাকুরটি পেয়েচিল ভাল। কত মাইনে রে ? রহস্ত করিয়া কছিলাম,—বিনামূল্যে। —কি রকম ? কি রকম ? —ব’লচি। আর এক কাপ চা চলবে । —মন্দ কি । মেসের ঠাকুরটার ষা হাত দিন-দিন পাকচে। কোন দিন না হাত কেটে রস বার হয় ।