পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર૬છે . --- - - - - { তারপর, নোট বইয়ের ভেডর থেকে থানকয়েক নোট বার ক’রে আমার হাতে গুজে দিয়ে সে ব’ললে,—এ-সব বিষয়ে একটুও যদি কিন্তু কর ত আমি মাথা খুড়ে মরব। কোন বিবয়ে ঋণ আমরা স্বাকার করবে না । পৌরুবে আঘাত লাগল, কিন্তু উপায় কি ! সে আরও একটু স’রে এসে ব’ললে,—কাল তোমায় বাড়ি দেখিরে আনবো । যাবে ত ? সম্মতি দিলাম । —চমৎকার । তারপর = --তারপর বিয়ের দিন । রাত্রি দুৰ্য্যোগময়ী । যেমন জল তেমনি ঝড় । ছোট বাড়িখানি – লোকালয় হতে একটু দুরে । এমন বিয়ের উপযুক্তই বুঝি । বন্ধু অসীমের কৃতিত্বের খ্যাতি ছিল। কুলো-ডাল, ঐ, শালগ্রাম শিলা, নাপিত, পুরোহিত পৰ্য্যস্ত প্রস্তুত । লগ্নের আধঘণ্টা আগে নীলিমা এল। বর্ষাতিটা খুলতেই দেখি, চেলি চন্দন পরে সে তৈরি হ'য়েই এসেচে। আমিও চেলি প’রে পিড়িতে গিয়ে ব’সলাম । বন্ধু অসীম শাঙ্ক হাতে ক’রে যেমন ফু দিয়েচে, অমনি যেন ভোজবাজি আরম্ভ হ’ল । णाण श्रीश्रफ़ौ निदग्न छन-कूफ़ि ८लारू श्छभूफ़ क'tब्र বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়লো, এবং ঢুকেই কোন কৰা না ৰ’লে আমাদের চার জনকেই তার বেঁধে ফেললে । —কি সৰ্ব্বনাশ । তারপর ? এক হবেশ স্বন্দর যুবক এগিয়ে এসে এক সৌম্যদর্শন বুদ্ধকে ব’ললে,—ভাগ্যে এই পথ দিয়ে আমি যাচ্ছিলাম ! তাই নীলার চীৎকার শুনে এ বাড়িতে ঢুকে পড়ি । ওকে দেখেই আমার সন্দেহ হয় – কিন্তু ওদের মত গুণ্ডার গলাধাক্কা খেয়ে আমায় বাড়ি ছাড়তেই হ’ল । ছুটে চ'লে গেলাম থানায় । নলপেক্টরকে সব জানিয়ে আপনাকে ফোন করলাম। বৃদ্ধ তার দু-হাত চেপে ধ’রে কৃতজ্ঞ-উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বললেন,—বাৰ, তুমি আমার মান বাচিয়েছ আজ। ভুল করেছিলাম, তোমার হাতে নীলাকে দিতে SO86 अशेौकांब्र क'tब्र । छूमि भइ९ । दण, चांभाइ क्रम করলে ? অার নীলার মান শেষ অবধি তোমাকেই রাখতে হবে । বল, বাবা, বল । যুবক মাথা নামিয়ে স্বীকার করলে । তারপর নীলাকে জিজ্ঞাসাবাদ আরম্ভ হ’ল । নির্লজ্জা মেয়েটা আমানবদনে ব’ললে,--এ বিয়ের লে কিছুই জানতে না । আমার সঙ্গে তার না-কি পথের সামান্ত পরিচয় ছিল ; আজ বিকেলে আমি তাকে জানাই যে, আমার স্ত্রী এখানে এসে বড়ই পীড়িত হ’য়ে পড়েছে। যদি নীল দয়া ক’রে গিয়ে তাকে একবার সাভূনা দিয়ে আসে । বাড়িতে কোনো স্ত্রীলোক নেই ব’লে ভারি অনুবিধে হচ্ছে । প্রথমট নীলা যেতে স্বীকার পায় না। শেষে আমার কাম৷ দেখে সে থাকতে পারে নি । কিন্তু এখানে এসে ব্যাপার দেখে তার আত্মাপুরুষ উঠল শুকিয়ে । আমরা ন-কি তাকে জোর ক’রে চেলি-চন্দন পরালাম । ছোরা দেখিয়ে পিড়িতেও বসালাম । ভয়ে সে চীৎকার ক’রে উঠেছিল । সেই সময়ে ভাগ্যে উনি এসে পড়েছিলেন ---ব’লে নীলা কঁাদতে লাগল — সেই মুহূর্তে মনে হ’ল, প্রভাতের স্বৰ্য্য অকস্মাৎ আকাশের মাঝখানে গিয়ে উঠেচে এবং সেটা গ্রীষ্মকালের আকাশ ! যেমন দাহ তেমনি যন্ত্রণ। মাটি দু-ফাক হ’লে আমি অনায়াসে তার মধ্যে চ’লে যেতে পারতাম । —তা তো পারতে । কিন্তু তারপর—? —তারপর অনেক ব্যাপার ঘটলো । আসল নামটা লুকিয়ে মাটির মধ্যে আর গেলাম না, গেলাম জেলে । একেবারে আড়াই বছর । বলিতে বলিতে অতুলের মুখ ঘৃণা ও বেদনায় রেখাসস্কুল হইয়া উঠিল । সেই অসহ বেদনাকে বিলীন করিবার মানসে ক্ষণপরে সে সশব্দে হাসিয়া উঠিল । বলিল,—এখন বল দেখি, নারীকে ঘৃণা করা কি এতই শক্ত ! বঞ্চনাকারিণীর জাতকে, যদি ক্ষমতা থাকত, পৃথিবী থেকে আমি নিশ্চিহ্ন ক'রে দিতাম ।