পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৪ স্বরেশ্বর যামিনীর সঙ্গে আলাপ জমাইবার বৃথা চেষ্টা করিতে লাগিল । এক ত সে নিজে নিঃসম্পৰ্কীয়া মেয়েদের সঙ্গে কথা বলিতে অভ্যস্ত নয়, সৰ্ব্বদাই ভুল করিবার ভয়ে এস্ত হইয়া থাকে, তাহার পর কায়ক্লেশে যেটুকুও বা গুছাইয়া বলে, যামিনী তাহার অধিকাংশ কথারই উত্তর দেয় না । ক্ষুঃ এবং অপ্রভিভ হইয়া সে যখন উঠিবার জোগাড় করিতেছে, তখন আয়া श्रागिब्बा छानांहेण ८ष cयभगाcश्य ऊांश८क ७कवाब्र ডাকিতেছেন । মুরেশ্বর উঠিয়া পড়িয়া আয়ার খামিনীও তাহাঁদের অনুসরণ করিল। জ্ঞানদা খাটের উপর উঠিয়া বসিয়া আছেন, লেপকম্বলগুলিকে পায়ের দিকে ঠেলিয়া দিয়াছেন । জুরেশ্বরকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার চা খাওয়া হয়েছে ত বাবা ?” স্বরেশ্বর অবাক হইয়া গেল। এতখানি আত্মীয়তা জ্ঞানদা ইতিপূৰ্ব্বে ফরেন নাই, তাহাকে এত দিন "আপনি’ বলিয়াই সম্বোধন করিয়া আসিতেছিলেন। যাহা হউক, বিস্ময় এবং আনন্দটা কোনোমতে সামূলাইয়৷ লইয়া সে বলিল, “হ্যা হয়েছে বইকি । কিন্তু আপনি যে এলেই আবায় অস্থখে পড়লেন, এতে ভারি মুস্কিল יין הש"s জ্ঞানদা বলিলেন, “কি আর করা যায় বল ? অম্বথের উপর ত হাত নেই ? তা এখন বেড়াতে যাচ্ছ বুঝি ?” স্বরেশ্বরকে অগত্যা বলিতে হইল, “হ্যা, একটু পরেই বেরব।” জ্ঞানদা বলিলেন, "খুকি তুইও ধ। আয়াকে নিয়ে। ঘরের কোণে বসে শরীর খারাপ করার জন্তে এখানে ত আসা হয়নি ।” যামিনী অবাক হইয়া গেল। মা তাহাকে কি-না শেষে স্বরেশ্বরের সঙ্গে বেড়াইতে পাঠাইতে চান ? বলিল, “আজ থাক না মা । তোমার অম্বখ ” छांनन डांप्ल लिंच्चा बलि८लन, “श्रांभांब्र चादाग्न कि অর্থ ? তুই যা ও-ঘরে, কাপড় প’রগে যা।” যামিনী আস্তে আস্তে চলিয়া গেল। জ্ঞানদা তখন সঙ্গে চলিল । ় প্রবাসী ; SనDBO মৃদ্ধ হাসিয়া বলিলেন, “এখনও ও সেই কচি মেয়েটির মতই আছে। মায়ের কোন কথার অবাধ্য হয় না। আজকালকার মেয়েদের মত না ।” স্বরেশ্বর চুপ করিয়া রহিল । জ্ঞানদা বলিলেন, “কাল দুপুয়ে তোমরা এখানে খেও । পড়ে আছি ত কি হয়েছে ? মরা হাতী সওয়া লাখ। তোমার মা আসেন নি ব’লে যে এখানে অযত্ব হৰে, তা আমার সইবে না।” আয়৷ আলিয়া খবর দিল যে, খুকি বাধা প্রস্তুত হইয়া याश्८िब्र मैंॉफ़ाईब्रl व्षाद्दछ्न । כאסו নৃপেন্দ্রবাবুতে আর জ্ঞানদাতে ঝগড়া চলিতেছিল । স্ত্রীর অস্থখ বলিয়া কৰ্ত্ত আরও বেকাদায় পড়িয়া গিয়াছেন, বেশী কিছু বলিতে ভরসা পান না, অথচ গৃহিণীর আচরণে এত আপত্তি অনুভব করেন যে, একেবারে চুপ করিয়া থাকিতেও পারেন না। জ্ঞানদা বলিতেছেন, “আমার শরীরের ভালমন্দ্ব আমি বুঝব বাপু, তোমাদের অত আদিখ্যেতা করতে হবে না। সব কাজে বাগড়া দেওয়া তোমার এক স্বভাব হয়ে দাড়িয়েছে।” নৃপেন্দ্রবাবু বলিলেন, “না ব'লে পারি না, যদিও জানি তোমাকে যুক্তিতর্ক দিয়ে কিছু বোঝাবার চেষ্টা পণ্ডশ্রমমাত্র। ছোকুরাকে নিয়ে তুমি অতি বাড়াবাড়ি আরম্ভ করেছ, এর পর লোকের কাছে হস্তাম্পদ হতে হবে।” জ্ঞানদ। ঠোট উন্টাইয়া বলিলেন, “ইস, ভারি লোকের ক্ষমতা ! কেন, হাস্তাস্পদ হব কেন শুনি ? জমিদার জামাই নিয়ে বখন কলকাতায় ফিরব, তখন সব খোতা মুখ ভোতা হয়ে যাবে না ?” নৃপেন্দ্রবাবু বলিলেন, “জমিদারটি কি তোমার জামাই হ’তে চেয়েছে ? অার কারে মতামতের না হয় কোনো দরকার নেই ধরেই নিলাম।” জ্ঞানদা বলিলেন, “স্পষ্ট ক’রে না চা’ক, তার হে সম্পূর্ণ মত আছে, তা আমি বেশ জানি ।”