পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-জ্যৈষ্ঠ মাঝে মাঝে বলতেন, “ষে-গাছটিতে যত ফল, সেগাছটি তত কুন্দর-দেখিস তো । এ-ও তাই । মেয়েমানুষের অনেকগুলি ছেলেমেয়ে না হ’লে কি মানায় ?” অন্ধুদের বাড়ির দরজায় গাড়ী থামতেই একপাল ছোট-বড়-মাঝারি ছেলেমেয়ে কোলাহল ক’রে ছুটে এল, “ওরে কাকা এসেছে, কাকীমা এসেছে।” অন্থ প্রায় বছর-তিনেক আসেনি, এর মধ্যে বাড়িতে দুটি নূতন শিশুর আবির্ভাব হয়েছে। অল্প যে-ছেলেমেয়েগুলিকে আগে দেখেছে, তাদের কাউকে আদর করে, কারও সঙ্গে দুটো কথা কয়ে, কারও হাত ধরে, ভিতরে এসে বড়-জাকে প্রণাম করলে । কোলের ছ-মাসের মেয়েকে কোলে নিয়ে বললে, “কি ফরসা হয়েছে দিদি— তোমার রং এ-ই পাৰে। আর ত কেউ তোমার ধার দিয়েও গেল না । এ মেয়ে মার মান রাখবে কিন্তু ।” মোটাসোটা মস্ত মেয়ে ; কে বলবে ছ-মাসের মেয়ে, মনে হয় যেন এক বছরের। তবু জা বললেন, “এখন মেয়ের কি আছে ? শুধু হাড় কখানা। ধাতুড়ে যখন হ’ল, ফরসা ধব-ধব করছে, মোটাসোটা এতখানি মেয়ে —তখন দেখতিসূ ত বলতিস হ্যা মেয়ে বটে। এখন ত দাত উঠেছে, পেটের অস্থখ—মেয়ে কালি হয়ে যাচ্চে দিন দিন।•••ত কই, তোর মেয়ে ত তোরই মত রোগা তৈরি করছিস দেখছি। ও মা পশ্চিমে থাকিস জলহাওয়া ভাল, অমন দুধ ওদিককার, তা মেয়ে আমন কেন ? হ্যা রে ও খুকী, মা বুঝি তোকে খেতে দেয় না ? আয় ত দেখি কত বড়টি হয়েছিস। ওমা, ওকি, আমি ধে জ্যাঠাইমা হুই—ছি, অমন করে না, জ্যাঠাইমার কাছে আসতে হয় ।” সারাদিন হৈ হৈ । এ আসে দেখা করতে, ও অাসে নিমন্ত্রণ করতে । এদিকে বাড়ির ছেলেমেয়ের দল অস্থর খুর্কীকে নিয়ে মহা গণ্ডগোল বাধিয়েছে ; সকলেই তার সঙ্গে বেশী ক'রে ভাব করতে ব্যস্ত ; ভাল জিনিষটি ধার যা সম্পত্তি আছে খেলাঘরে, কে এনে আগে খুন্ধীর হাতে দিতে পারে এই নিয়ে খুব কড়াকড়ি চলেছে। খুকী কখনও এত গোলমালের ভেতর খীকেনি—সে ছকটকিয়ে গিয়ে বোকার মত তাকিয়ে बiंनङ्ग एषांशैक्षितः $4& ब्रहेण । छाॉठाहेध जांनब्र क'८ब्र अछ नर ८छ्रज८भ८ब्रटशब्र সঙ্গে তাকে নিয়ে ভাত খাওয়াতে বসে যেই ভাতের গ্রাস মুখে তুলে দিয়েছেন, অমনি খুকী সব বমি ক’রে দিলে। অন্তু তাড়াতাড়ি মেয়ে তুলে নিয়ে গেল, বললে, “ও বড় গরম, মুখে দিতে পারে না দিদি । মেয়ের যেন গলায় ফুটে নেই—একটু ভাতেই বমি একটু তাতেই ওয়াক-জালাতন ৷” বড়-জা অপ্রস্তুত হয়ে বললে, “জানিনে বাপু, তিন বছরের মেয়ে হ’ল, এখন কোথায় খাবা খাবা ক’রে ডালভাত খাবে তবে ত গায়ে মাংস লাগবে। অমন পার্থীর আহার, তাই তো অমন চেহারা। নে নে, মণি ই কয়, বড় ক’রে—হাতের ভাত .আমার খবরদার যেন ফিরে না আসে। খুকীর দেখাদেখি তোদেরও সব মুখ ছোট হয়ে গেল না কি ? দেখে আর বঁাচিনে ৷” কানপুরে তাদের ছোট সংসারে দু-এক রকমের বেশী তরকারী একসঙ্গে কোনদিন রান্না হ’ত না । এখানে কম ক'রে সাত-আট রকমের তরকারী তিন রকম মাছ দিয়ে বেলা তিনটের সময় ভাত খেয়ে উঠে অঙ্কুরও যেন মনে হ’তে লাগল খুকীর মত অবস্থা হব-হব হয়েছে। খেয়ে উঠতেই বড়-জা বললেন, “হঁ্যা রে, ঠাকুরপে তো এখন . দিব্যি মোটা মাইনে পায় ; তুই গয়না-গাটি কি কি গড়ালি দেখা না সব ।---আমাদের কথা আর বলিস নে। ছেলেমেয়েগুলোর মোট জামা কাপড়ই কুলিয়ে উঠতে পারি নে, তা আবার গয়না। একটার জামা করি তো অার একটার কোট ছেড়ে, আবার তার কোট করাই তো অন্তর্টার কামিজ ছেড়ে । যেমন ধোপার কষ্ট, তেমনি ছেলেমেয়েগুলো কাপড়ও ছেড়ে । বাবা, পেরে উঠা যায় না আর । স্বর্ণটার তো বারো পূরল, আবার মেয়ের বিয়ের ঠেলা আসছে এর পর। ভাগ্যে নবুটা ছেলে, না হ’লে প্রখম | মেয়ে হলেই হয়েছিল আর কি—এতদিনে বিয়ে চুকিয়ে । দিতে হ’ত তাহলে•••নে নে, দেখা কি গড়ালি।” অল্প বাক্স খুলে দেখালে একটি মন্ত বড় লকেট-দেওয়া সর হার, আর এক জোড়া কঙ্কণ দিল্লী খেকে কে গুৰুর কানপুরে একবার এসেছিল, তার কাছে ঐ দুটি জিনিষ গড়ান ছিল, ললিত পছন্দ ক’রে কিনে দেয়। বড় s