পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S6ύ झञ्ज...ञ्जल्ल জায়ের পছন্দ হ’ল নী—“যেমন নিজে সরু কাটি, তেমনি সবই বাপু তোর সরু সরু পছন্দ। ও কি ফিন্‌ফিনে গয়না । ও কি টিকবে ? অার গলায় পরলেও তো ও হার মিলিয়েই থাকবে। দশ-বার ভরি দিয়ে বেশ চ্যাটালো ক’রে পাথর-মুক্তে-বসান একটা নেকলেস করলি নে কেন ? বেশ জম জম্ করত গলাটা ।” অস্থ ক্ষুণ্ণ হয়ে ভাবলে, দিদির যে কি পছন্দ তার ঠিক নেই। রাত্রে খাওয়া-দাওয়ার পর বড়জায়ের অনেক রকম বন্দোবস্ত করতে হয়। মণি শেযরাত্রে উঠে বিস্কুট খায়, তার জন্তে দু-খানি ক’রে লিলি বিস্কুট তার বালিশের তলায় রাখতে হয়। কিক কোনও দিন সন্ধ্যাবেলা খায় না, সে অন্ধকার হাতে-না-হতেই রোজ ঘুমিয়ে পড়ে আর স্বাত বারটায় ঠিক জেগে ওঠে, তখন তাকে কিছু থেতে না দিলে আর রক্ষা থাকে না । কাজেই ছোট একটি রেকাবীতে ছ’খানি লুচি, একটু তরকারী, আর হয় একটি রসগোল্লা নয় একটু গুড় প্রতিরাত্রে তার জন্তে শোবার ঘরের কোণে ঢাকা থাকে, সে বারটা রাত্রে উঠে নিজেই ঢাকা খুলে যায়। ঠাকুরই অবশ্য খাবারটা ঠিক ক’রে রেখে যায় কিন্তু তবু কিঙ্কর মাকে প্রতিদিন শোবার আগে সব দেখে শুতে হয় যে সকলের বন্দোবস্ত ঠিক আছে কি-না। তারপর খুকী তে রাত তিনটেয় উঠে য়্যালেনবেরি ফুড খাবে, তার জন্তে জল গরম করবার স্পিরিট টোভ, ছোট একটি বাটি, দেশলাই, ফুডের বোতল ইত্যাদি সব মাথার কাছে গুছিয়ে শুতে হয়, না হ’লে সেই রাত্রে কোথায় দেশলাই, কোথায় কি নিজেই তো খুঁজে মরতে হবে। অন্ত্র এ সব কিছুই জানত না ; রাত্রে খাবার পর বড়জায়ের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে যেটুকু পারলে সাহায্য করলে।

  • কাজকৰ্ম্ম শেষ ক'রে গুতে এগারটা বেজে গেল। রাত কত হবে অল্প জানে না, হঠাৎ কি একটা শৰে ললিত অকু জু-জনেরই ঘুম ভেঙে গেল। পাশেই দাদার ঘর, সেখান থেকে দাদার গল এল "বড়বে, ও বড়বে), ওগো सनइ f”

জয় ভাবলে হয়ত জেগে উঠে কেউ মাকে ডাকছে— দিদি ঘুমোচ্ছেন, তাই দাদা তাকে ডেকে দিচ্ছেন।. SSD8O অঙ্গ ভাগুরকে দাদাই বলে—প্রথামত বড়ঠাকুর বলতে পারে না। ভাশুরকে সে দাদার মত, নয় বাপের মতই শ্রদ্ধা করে। ভাগুরকে দাদা বলা নিয়ে পাড়ার কেউ কিছু বললে সে প্রথম প্রথম রাগ করত, বলত, “বেশ করি দাদা বলি। ওঁর দাদা আমারও দাদা— কি হয় বললে ?” ললিত উঠে বসে বললে, “দাদা কেন অমন ক’রে কেবল কেবল ডাকছেন অন্ধু ! কি হ’ল বৌদির ?” অজানা কি আশঙ্কায় অঙ্কুর বুক কেঁপে উঠল—বললে, “ওঠ না গো, দেখ না” ব’লে নিজেও স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে খাট ছেড়ে নেমে দাড়াল। দু-জনেই একসঙ্গে দাদার ঘরের সামনে যেতেই দেখে, দাদা দরজা খুলে ছুটে বেরুচ্ছেন। ললিত বললে, “কি হয়েছে দাদা ?” দাদা হাপাতে ইপিাতে বললেন, “জানি নে ভাই, বুঝতে পারছি নে। সাড়া দিচ্ছে না, এত ডাকছি, সাড়া দিচ্ছে না। দেখবি उपांग्न ।” অঙ্গ ললিত ছুটে ঘরে ঢুকল। অস্থ জোর ক’রে মশারির দড়ি ছিড়ে খাটখানা উন্মুক্ত করে দিলে। প্রকাণ্ড বিছানা—তিনখানা চৌকী একসঙ্গে পাশাপাশি ক’রে লাগিয়ে বিছানা করা হয়েছে ; তার মধ্যে লম্বালম্বি আড়াআড়ি পাশাপাশি কত রকম ভাবে আটটি ছেলেমেয়ে শুয়ে, তারই একপাশে তাদের মা। মুখের পাশ দিয়ে রক্তের মত কি একটা গড়িয়ে পড়ছে, চোখ অধিখোলা, একটি হাত অসহায় ভাবে বালিশের উপর এলিয়ে পড়েছে । অস্থ কোনদিন মৃত্যুকে সাম্ন-সাম্নি দেখে নি। এই প্রায় অচেনা জায়গায় এই স্তিমিত আলোকে গভীর রাত্রে অকস্মাৎ নিজের এত কাছে এই ভীষণ মৃত্যুমূৰ্ত্তি লে সদ্ধ করতে পারলে না, "মা গো’ ব’লে প্রথমে লে জুই হাতে নিজের মুখ ঢাকলে, তারপর মাটিতে পড়ে গেল । তারপরে বে গোলমালে গোলমালে কোথা দিয়ে কি হয়ে গেল, অঙ্ক আর পরে ভাল ক’রে কিছুই স্মরণ করতে পারে না। ডাক্তার এল, আত্মীয়স্বজন এল, পাড়ার লোকে বাড়ি ভরে গেল, খুকী উঠে পড়ে তারস্বরে চীৎকার করতে লাগল। তৰু স্বর্ণ বারীণ রৰি সকলেই সমস্বরে