পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাদতে লাগল। খাট এল, ফুল এল, সিদ্ধর এল—কে বন্দোবস্ত করলে.কি ক’রে কি হ’ল, অল্প কিছুই জানে না । মৃতদেহ বহন ক’রে নিয়ে কার-কারা চলে গেল— ছেলেপিলে-ভরা বাড়িটা যেন শেযরাত্রে থম থম করতে লাগল । পাড়াপ্রতিবাসী বোঝালে, তোমার একটি ছিল, ন’টি হ’ল । তুমি ছাড়া এদের আর কেউ নেই, তুমিই এখন ७0¢भन्न नt ॥ একটির মা ছিল—একরাত্রে একেবারে নয়টি ছেলের মা। বারীণ কোন স্কুলে পড়ে, সে কি প’রে স্কুলে যায়, মণির কি খাওয়া অভ্যাস, খুকীকে ক’বার দুধ আর ক’বার য়্যালেনবেরি ফুড খাওয়াতে হয়, কিরু ক-দিন অন্তর স্নান করে-বড়ঞ্জায়ের মুখে কাল দিনের বেলা একবার শুনেছিল বটে, কিন্তু অঙ্গ তো জানত না যে, বড়জা তাকে শেষ হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন, তাই সে মন দিয়ে ও-সব কিছুই শোনে নি । শ্মশান থেকে ললিতের দাদা দলবল নিয়ে তখনও ফেরেন নি। সকালবেলাবার আলো হ’তেই অন্থ চেয়ে দেখলে বারান্দায় শুয়ে কিরু ঘুমোচ্ছে। বিছানা বালিশ ছেড়া মশারিতে বড়ঞ্জায়ের ঘর নিতান্তই এলোমেলো, তারই মাঝে ভিজা বিছানার উপর জায়ের ছোটখুকী ঘুম থেকে উঠে আপন মনে নিজের পায়ের বুড়ো আঙলটা মুখের মধ্যে পোরবার চেষ্টায় ব্যস্ত আছে। বারীণ চৌকাঠের উপর বসে হাটুর মধ্যে মাথা রেখে তখনও ফোপাচ্ছে, স্বর্ণ ভাইটির পাশে শোকাহত মূৰ্ত্তিতে নীরবে দাড়িয়ে । অল্প চারদিক চেয়ে দেখলে, এ সংসারের সে কিছুই জানে না । ছেলেমেয়েদের মুখ কার কোন রকম তাও একটু ভাল ক’রে চেয়ে দেখে তবে বুঝতে হয়। কনেবে হয়ে সে বছর-দুই এ সংসারে ঘর করেছিল, ভারপর থেকে প্রায়ই বিদেশে-বিদেশে ঘোরে, সবই তার অজানা, সবই তার নূতন। খুকীকে ভিজা বিছানা থেকে কোলে তুলে নিয়ে সে দিশেহারা হয়ে ভাবলে, এ কি হ’ল । যদিও সে-ই এদের মাতৃস্থানীয়া তৰু সে বুঝলে স্বর্ণ এ-বাড়ির বড় মেয়ে, তার চেয়ে সে এ সংসারে জানে বেশী। عاج ماسه سنت মাক্সের আশীৰ্ব্বাদ্ধ s(ta খুকীৰুে কোলে নিয়ে স্বর্ণর কাছে দাড়িয়ে সে অত্যন্ত অসহায় ভাবে বললে, “স্বর্ণ এ কি হ’ল মা ।” স্বর্ণ ফুপিয়ে কেঁদে উঠল, “আমি তো জানিনে কাকীমা।” বছর আড়াই পরে বৈশাখের ২রা তারিখে স্বর্ণর বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে। এ কয় বৎসর ধ’রে আন্থ ভাণ্ডরের সংসারে পাকা গিল্পীর মত চালিয়ে এসেছে। খুকীকে তিন বছরেরটি করে তুলেছে, নৰু কলেজে পড়ে, স্বর্ণর বিয়ের ঠিক । তাদের ম৷ থাকলে যা করতেন অল্প প্রাণপণে সে-সবই করেছে। ভাণ্ডর আদর করে বলেন, “মা আমার লক্ষ্মী। এমন ক’রে এদের ষত্ব করতে আর কেউ পারত না।” ললিত অনেক চেষ্টা ক’রে কলকাতায় বদলি নিয়ে আজ বছর-দেড়েক দাদার কাছেই আছে। বাড়ির বড়মেয়েটি সকলেরই বেশী আদরের, তার বিয়েতে সকলেরই, বিশেষ ক’রে তার কাকার, উৎসাহ খুবই বেশী। মাছ-কোটার তদারক থেকে বাড়ি বাড়ি নিমন্ত্রণ ক’ৱে বেড়ান অবধি অত্যন্ত আনাড়ি ভাবে উৎসাহের সঙ্গে ললিত ক’রে চলেছে। দাদাকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করতে এলে তিনি বলছেন, “কি জানি তা তো জানিনে । আমায় আর কেন ভাই ? আমি তো ও-সব কোনও খবরই রাখি নে—যা করছে ললিত, ঐ ওকেই তোমরা বলগে, বলে পাচজনে যা ভাল বোঝ তাই করগে । বাইরে ললিত আছে—ভেতরে বেীমা আছেন, আমি তো কিছুই পেরে উঠিনে ভাই ।” ভিতরে স্বর্ণকে ঘিরে মালী পিসী খুড়ি জ্যোঠ দিদিদের দল। দরজীপাড়ার পিসীমা বললেন, “ষত সব ছেলেমামুষের কাগু । ব্যবস্থ-পত্তর যে-রকম দেখছি তাতে দেখে রাত একটার আগে কখখনো বরষাত্তর খাওয়ান চুকবে না। স্বর্ণর মা হাজার হোক গিন্নিবান্ত্ৰি ভারিকে মাস্থ্য ছিল, ললিতের বেী তো ছেলেমান্থব, ও জানে কি ? তাই আমরা সব মাখার উপর রয়েছি, দু-দিন আগে যদি আমাদের নিয়ে আগে তে হয়। সাত-সাতটা মেয়ের বিয়ে এক হাতে দিয়েছি, ধরুক দেখি কেউ একটা খুৎ ”