পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ কিন্তু পরমপুকৰ আছেন সেই সমস্তকে অধিকার ক’রে এবং অতিক্রম ক’রে,—নাটকের স্রষ্টা ও দ্রষ্ট। বেমন আছে নাটকের সমস্তটাকে নিয়ে এবং তাকে পেরিয়ে । সত্তার এই দুই দিককে সৰু সময়ে মিলিয়ে অঙ্কুম্ভব করতে পারিনে। একল! আপনাকে বিরাট থেকে বিচ্ছিন্ন ক’রে স্বখে-দুঃখে আন্দোলিত হট । তার মাত্রা থাকে না, তার বৃহৎ সামঞ্জস্য দেখিনে । কোনো এক সময়ে সহসা দৃষ্টি ফেরে তার দিকে, মুক্তির স্বাদ পাই তপন । যখন অহং আপন ঐ কাস্তিকতা ভোলে তখন দেখে সভ্যকে । আমার এই মহন্ডুতি কবিতাতে প্রকাশ পেয়েচে জীবনদেবতা শ্রেণীর কাব্যে ।

  • ওগো আস্তরতম মিটেছে কি তব সকল জিয়াব

অাসি অস্তরে মম।” আমি ষে-পরিমাণে পূর্ণ অর্থাৎ বিশ্বভূমিন, সেই পরিমাণে জাপন করেচি তাকে, ঐক্য হয়েচে তার সঙ্গে । পেই কথা মনে ক’রে বলেছিলেম, তুমি কি খুলি হয়েচ আমার মধ্যে তোমার লীলার প্রকাশ দেখে ? বিশ্বদেবতা আছেন, তার আসন লোকে লোকে, গ্রহচন্দ্র তারায় । জীবনদেবতা বিশেষভাবে জীবনের আসনে হৃদয়ে হৃদয়ে যার পীঠস্থান, সকল অনুভূতি সকল অভিজ্ঞডার কেন্দ্রে । বাউল তাকেই বলেচে মনের মহিষ । এই মনের মানুষ, এই সৰ্ব্বমামুষের জীবনদেবতার কথা বলবার চেষ্টা করেচি Religion of Man বক্তৃতাগুলিতে । সেগুলিকে দর্শনের কোঠায় ফেললে ভুল হবে । তাকে মতবাদের একটা আকার দিতে হয়েচে, কিন্তু বস্তুত সে কবিচিত্তের একটা অভিজ্ঞতা। এই আস্তরিক অভিজ্ঞতা অনেক কাল থেকে ভিতরে ভিতরে আমার মধ্যে প্রবাহিত—তাকে আমার ব্যক্তিগত চিত্তপ্রকৃতির একটা বিশেষত্ব বললে তাই আমাকে মেনে নিতে হৰে । খিনি সৰ্ব্বজগদগত ভূম উাকে উপলব্ধি করবার সাধনায় এমন উপদেশ পাওয়া যায় যে, লোকালয় ত্যাগ মানবসভ্য ২৬১৪ করে, গুহাগহবরে যাও, নিজের সভাসীমাকে বিলুপ্ত ক’রে অসীমে অস্তহিত হও । এই সাধন সম্বন্ধে কোনো কথা বলবার অধিকার আমার নেই। অন্তত আমার মন ষে-সাধনাকে স্বীকার করে তার কথাটা হচ্চে এই যে, আপনাকে ত্যাগ না ক’রে আপনার মধ্যেই সেই মহান পুরুষকে উপলব্ধি করবার ক্ষেত্র আছে,—তিনি নিখিল মানবের আত্ম।। তাকে সম্পূর্ণ উত্তীর্ণ হয়ে কোনো অমানব বা অতিমানব সত্যে উপনীত হওয়ার কথা যদি কেউ বলেন তবে সে-কথ। বোঝবার শক্তি. আমার নেই । কেন-ন, আমার বুদ্ধি মানববুদ্ধি, আমার হৃদয় মানবহৃদয়, আমার কল্পনা মানবকল্পনা । তাকে যতই মার্জনা করি, শোধন করি, তা মানবচিত্ত কখনোই शस्त्राप्ड भात्त्व म । चाभब्र। बा८रू बिब्ल्यान বলি তা মানববুদ্ধিতে প্রমাণিত বিজ্ঞান, আমরা যাকে ব্ৰহ্মানন্দ বলি তাও মানবের চৈতন্যে প্রকাশিত আনন্দ । এই বুদ্ধিতে এই আনন্দে ধাকে উপলব্ধি করি তিনি জুম किख् भानविक छूमा । डाब्र बाइं८ब्र अछ किछु षाकी-नথাকা মানুষের পক্ষে সমান । মানুষকে বিলুপ্ত, ক'রে তবেই যদি মাহবের মুক্তি, তবে মানুষ হলুম। কেন ? এক সময় বলে বসে প্রাচীন মন্ত্রগুলিকে নিয়ে ঐ আত্মবিলয়ের ‘ভাবেই ধ্যান করেছিলেম। পালাবার ইচ্ছে করেছি । শাস্তি পাই নি তা নয় । বিক্ষোভের মধ্যে সহজেই নিষ্কৃতি পাওয়া যেত। এভাবে দুঃখের সময় সাস্তুনা পেয়েচি । প্রলোভনের হাত থেকে এমনি ভাবে উদ্ধার পেয়েছি । আবার এমন একদিন এল যেদিন. সমস্তকে স্বীকার করলেম, সবকে গ্রহণ করলেম । দেখলেম— মানব-নাট্যমঞ্চের মাঝখানে ষে-লীলা তার অংশের অংশ আমি । সব জড়িয়ে দেখলেম সকলকে । এই ষে দেখা একে ছোট বলব না। এও সত্য । জীবনদেবতার সজেজীবনকে পৃথক ক’রে দেখলেই ছঃখ, মিলিয়ে দেখলেই মুক্তি। শান্তিনিকেতনে প্রদত্ত কবির বক্তৃত।